কৃমি, চিড় - Worm, helminth - Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

ফোনে অর্ডার দিতে: 01720000039 অর্ডার করার জন্য প্রোডাক্ট কোডটি লিখে কল বা SMS, Whatsapp, IMO করুন. সারা বাংলাদেশ কুরিয়ারে ডেলিভারি । Ginseng Alkushi Ashwagandha জিনসিং আলকুশি, অশ্বগন্ধা শিমুল

SUBTOTAL :
homeo
কৃমি, চিড় - Worm, helminth

কৃমি, চিড় - Worm, helminth

Short Description:

Product Description

 


কৃমি, চিড় - Worm, helminth. Homeo Medicine



স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ক্রিমি একটি বড় বাধা। ক্রিমির কারণে এলার্জি বা চুলকানি, রক্তশূণ্যতা, কোষ্টকাঠিন্য বা শক্ত পায়খানা, পেট ব্যথা, দুর্বলতা, পেট ফাঁপা, বদমেজাজ প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। শিশুরা যখন পায়খানার রাস্তায় আঙুল দিয়ে খোঁচাতে থাকে, তখন তাকে ক্রিমির ঔষধ খাওয়ানো

 উচিত। ক্রিমি থাক বা না থাক, শিশুদের প্রতি ছয়মাস পরপর অবশ্যই ক্রিমির ঔষধ খাওয়ানো উচিত। ক্রিমির ঔষধ এক বা দুই মাত্রা খাওয়ানোই যথেষ্ট, তবে প্রয়োজনে আরো কয়েক মাত্রা খাওয়ানো যেতে পারে।সমপ্রতি এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধ খেয়ে আমাদের দেশের অনেকগুলি নিষপাপ

 শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে মর্মে জাতীয় দৈনিকগুলোতে সংবাদ বেড়িয়েছে। 



এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধ খেলে কেনো প্রায়ই শিশুদের মৃত্যু ঘটতে দেখা যায়, তার কারণ আমাদের অনেকেই জানি না। প্রথম কথা হলো কৃমিও একটি প্রাণী, আবার শিশুরাও প্রাণী। কাজেই যে ঔষধের কৃমি হত্যা করার ক্ষমতা আছে, সে ঔষধ শিশুদেরকেও হত্যা করার ক্ষমতা রাখে।

 সুস্থ-সবল শিশুকে না পারলেও অসুস্থ-দুর্বল শিশুকে খুন করার ক্ষমতা তার আছে। এই সহজ সত্যটি আমাদের বুঝতে হবে। দ্বিতীয় কথা হলো আসলে ঔষধ মাত্রই বিষ। ঔষধ এবং বিষের মধ্যে পার্থক্য হলো মাত্রা। মাত্রার মধ্যে থাকলেই ঔষধ আর মাত্রার চাইতে বেশী হলেই সেটি হয়ে যায় বিষ।

 আবার মাত্রা নিয়েও আছে মানুষ ভেদে পার্থক্য। একই মাত্রার ঔষধে একজন মানুষের রোগ সারাতে পারে আরেকজনের উল্টো ক্ষতি করতে পারে।



এটা হয়ে থাকে ঔষধের প্রতি মানুষের সেনসিটিভিটির তারতম্য অনুযায়ী। একটি ঔষধের প্রতি কোন একজন মানুষ কম সেনসেটিভ হতে পারে আবার অন্য একজন বেশী সেনসিটিভ হতে পারে। এক্ষেত্রে যে ঔষধের প্রতি একজন মানুষ বেশী সেনসেটিভ, সেই ঔষধ সঠিক মাত্রায় খেলেও

 সেই ব্যক্তির বড় ধরণের সর্বনাশ হতে পারে : এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। অধিকাংশ মানুষের ঔষধ খাওয়ার বদভ্যাস দেখলে মনে হয়, এ যেন ঔষধ নয় বরং পহেলা বৈশাখের পান্তা ভাত। এমনভাবে তারা ঔষধ খায় যেন, মনে হয় ঔষধ কেবল উপকারই করে : কস্মিনকালেও ক্ষতি করে না।

ঔষধ যে ক্ষতি করতে পারে, এ যেন তাদের কল্পনার বাইরে। আর বিশেষ করে মাগনা পেলে তো কথাই নাই।এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধগুলি কিভাবে কৃমি হত্যা করে ? এসব ঔষধকে বলা হয় বলা হয় স্পিন্ডল বিষ (spindle poison)। এগুলো কৃমির শরীরকে অবশ বা প্যারালাইজড

করে দেয়। ফলে কৃমিরা নড়াচড়া করতে পারে না। এমনকি তারা কিছু খেতে পারে না এবং যা খেয়েছে তাও হজম করতে পারে না। ফলে কৃমিগুলো মরে পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। একইভাবে এই ঔষধগুলো শিশুদের হৃৎপিন্ড এবং মস্তিষ্ককে প্যারালাইজড করে হত্যা করতে পারে। 



এজন্য ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদেরকে কৃমির ঔষধ খেতে নিষেধ করেন। কেননা এগুলো গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করতে পারে।পরিশেষে সকলের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, কৃমির হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য হোমিও ঔষধ খান। টিউক্রিয়াম

 (teucrium), স্যাবাডিলা (Sabadilla), নেট্রাম ফস (Natrum phos) প্রভৃতি হোমিও ঔষধগুলো কৃমি দূর করতে খুবই কার্যকরী এবং নিরাপদ ঔষধ। এমনকি এগুলো গর্ভবতীদেরকেও খাওয়ানো যায় : কোনো বিপদের সম্ভাবনা নাই। হোমিও ঔষধগুলো

 কৃমিকে প্যারালাইজড করে না, তাই আপনার শিশুকেও প্যারালাইজড করে মেরে ফেলার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নাই।



 হোমিও ঔষধে সম্ভবত কৃমিদের শরীরে জ্বালা-পোড়ার সৃষ্টি হয়ে থাকে : ফলে কৃমিরা মারা পড়ে না বরং জীবিতই পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়।এই ঔষধগুলোর যে-কোন একটিকে ৩০ (ত্রিশ) শক্তিতে খেতে পারেন এবং প্রতিবার এক ফোটা করে অথবা বড়িতে খেলে ১০ (দশ) টি বড়ি করে

 খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে রেজি দুইবেলা করে দুই-তিন দিন খেতে পারেন। সাধারণত একমাত্রাই যথেষ্ট। হ্যাঁ, এই হোমিও ঔষধগুলোর তেমন কোন ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নাই : কারণ এগুলোতে ঔষধের পরিমাণ থাকে খুবই কম। এমনটি ভুলবশত যদি নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে দশ গুণ

 বেশীও কেউ খেয়ে ফেলেন, তাতেও কোন ক্ষতির আশঙ্কা নাই। আবার অনেকে এমন আছেন যে, তাদের সারাজীবনই কৃমির সমস্যা লেগে থাকে এবং কিছুদিন পরপরই তাদের কৃমির ঔষধ খেতে হয়। এসব ক্ষেত্রে একজন হোমিও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 



কেননা কিছু হোমিও ঔষধ আছে, যেগুলো রোগীর শারীরিক-মানসিক গঠন বুঝে প্রয়োগ করলে বেশী বেশী কৃমি হওয়ার টেনডেন্সী সারাজীবনের জন্য চলে যায়। Teucrium Marum Verum : গুড়া ক্রিমি বা সুতা ক্রিমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম।

 পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি থাকে। Spigelia Anthelmia : হ্যানিম্যানের সময় স্পাইজেলিয়া কৃমির এলোপ্যাথিক এবং কবিরাজি ঔষধরূপে পরিচিত ছিল। হ্যানিম্যান যখন এটি দিয়ে হোমিও ঔষধ তৈরী করে রীক্ষা করলেন, তখন দেখলেন যে কৃমির ঔষধ হিসাবে তার

 সুনামের বিষয়টি সঠিক। এটি সব ধরনের কৃমি, এমনকি ফিতাকৃমি পর্যন্ত নিমূর্ল করতে পারে। অবশ্য কৃমির সমস্যা ছাড়াও হোমিওপ্যাথিতে এটি আরও অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। 



তার মধ্যে একটি বড় রোগ হলো মাইগ্রেন বা অর্ধেক মাথা ব্যথা। Sabadilla Officinarum : স্যাবাভিলাকে বলা যায় ক্রিমির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট একটি ঔষধ। স্যাবাডিলা ঔষধটি ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়; কেননা সেবাডিলা ঔষধটি খাওয়ার পরে কৃমিরা পাগলের

 মতো দৌড়াতে শুরু করে এবং এসময় তারা মেয়েদের যোনী এবং জরায়ুতে ঢুকে পড়ে মারাত্মক বিপদের সৃষ্টি করতে পারে। Natrum Phosphoricum : নেট্রাম ফস শিশুদের কৃমির জন্য সেরা ঔষধগুলোর অন্যতম। পাশাপাশি এটি শিশুদের। অজীর্ণ, বদহজম, এলার্জি,

চুলকানি, পেটে ব্যথা, সর্দি, চোখ ওঠা ইত্যাদি সমস্যার জন্যও একটি সেরা ঔষধ । এটি শিশুদের জন্য একটি ভিটামিন হিসেবেও কাজ করে থাকে। (এই ঔষধটিও ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।) 



China : বদমেজাজী শিশুদের ক্রিমির সমস্যায় সিনা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। শিশুরা আঙুল দিয়ে নাক খোঁচাতে থাকে এবং ঘুমের মধ্যে দাঁত কটমট করে । Santoninum : সেন্টোনিনাম গুড়া ক্রিমি এবং সুতা ক্রিমির সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ। Caladium Seguinum :

গুড়া ক্রিমি ছোট মেয়েদের যৌনাঙ্গে ঢুকে উৎপাত সৃষ্টি করলে ক্যালাডিয়াম খাওয়াতে ভুলবেন না। Indigo : ইন্ডিগো কৃমির উৎপাতের ক্ষেত্রে একটি ভালো ঔষধ। কৃমির কারণে মৃগীর আক্রমণ, খিচুনি অথবা জ্বর হলে ইন্ডিগো ব্যবহার করতে পারেন। Carcinosinum :

যাদের ঘনঘন কৃমি হয় অর্থাৎ যাদের কৃমির সমস্যা খুব বেশী, তাদের কৃমি প্রবনতা দূর করার জন্য কার্সিনোসিন (শক্তি ২০০) পনের দিনে একমাত্রা করে চার বার খান। ক্যান্সারের ঔষধ কার্সিনোসিনে যেহেতু কৃমি নিরাময় হয়, সেহেতু বলা যায় মাত্রাতিরিক্ত কৃমির উৎপাত ক্যান্সারের

একটি পূর্ব লক্ষণ।



 Calcarea Carbonica : মোটা থলথলে শারীরিক গঠন, পা সব সময় ঠান্ডা থাকে, শিশুকালে দাঁত উঠতে বা হাঁটা শিখতে দেরী হয় থাকে, শরীরের চাইতে পেট বেশী মোটা, খুব সহজে মোটা হয়ে যায়, প্রস্রাব-পায়খানা-ঘাম সব কিছু থেকে টক গন্ধ আসে, হাতের তালু

 মেয়েদের হাতের মতো নরম (মনে হবে হাতে কোন হাড়ই নেই), মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়, মুখমন্ডল ফোলাফোলা, ডিম খেতে খুব পছন্দ করে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যালকেরিয়া কাব হবে তার সবচেয়ে উত্তম ক্রিমির ঔষধ। Sulphur : সালফার একটি বহুমুখী ক্ষমতা

 সম্পন্ন ঔষধ। গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে রোগীকে সালফার

খাওয়াতে পারেন। Terebinthina : টেরিবিনৰ্থিনা ক্রিমির একটি সেরা ঔষধ। পাশাপাশি এটি সর্দি, গ্যাসট্রিক আলসার এবং লো প্রেসারেরও চিকিৎসায় সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়।