টনিক, ভিটামিন, শক্তিবর্ধক, পুষ্টি বৰ্দ্ধক, বল বৰ্ধক - Tonic / Vitamin

 ♦♦ টনিক, ভিটামিন, শক্তিবর্ধক, পুষ্টি বৰ্দ্ধক, বল বৰ্ধক - Tonic / Vitamin

রোগীর সমস্ত লক্ষণের উপর ভিত্তি করে প্রদত্ত যে-কোন হোমিও ঔষধই রোগীর রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি একই। সাথে রোগীর জন্য ভিটামিনেরও কাজ করে থাকে। তবে কিছু ঔষধ আছে, যাদেরকে ডাক্তাররা ভিটামিন হিসাবে বেশী ব্যবহার করে থাকেন। Alfalfa :

অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে, যৌবন বা বয়স ধরে রাখার জন্য কিংবা মোটাতাজা হওয়ার জন্য Alfalfa খান। অলিফালফা ঔষধটি নিয়মিত অনেকদিন খেলে ক্ষুধা, ঘুম, ওজন, হজমশক্তি ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। নিম্নশক্তিতে (Q) দশ ফোটা করে রোজ তিনবার করে খেতে পারেন।

দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ-ষাট ফোটা করে রোজ কয়েকবার খেতে পারেন। তবে কোন সমস্যা হলে মাত্রা কমিয়ে খাওয়া উচিত। ইহার স্বাদ যেহেতু খারাপ সেহেতু শিশুদেরকে চিনি বা গুড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

আমেরিকার ডাঃ বেন ব্র্যাডলিকে এক মহিলা বলেছিলেন যে, তার সাতটি ছেলে-মেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে জন্মেছে এবং আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত তারা সুস্বাসে’থ্যের অধিকারী থাকে। ইহার পরই তারা ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায় এবং এভাবে সাতটি সন্তানই মারা গেছে। কোন চিকিৎসাই তাদের

বাচাঁতে পারেনি। পরের বাচ্চাটি যখন আঠারোতে পৌঁছে শুকাতে শুরু করেছে, তখন ডাঃ ব্র্যাডলি তাকে দশ ফোটা করে রোজ চার মাত্রা করে আলফালফা খাইয়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। Senecio Aureus : শরীরে রক্ত কম থাকলে অর্থাৎ যারা রক্তশূণ্যতায়

 ভোগছেন, তাদের জন্য সিনিসিও অরিয়াস ভালো কাজ করে। এদের হাত-পা সব সময় ঠান্ডা এবং ঘামে ভিজা ভিজা থাকে। Ferrum Phosphoricum : দুর্বলতা, সাদাটে মুখ, বুক ধড়ফড়ানি, মুখ-চোখ ফোলা ফোলা, চোখের চারদিকে কালি পড়ে গেছে, দেখতেই মনে

হয় অসুস্থ ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ফরাম ফস, ফেরাম মেট, ফেরাম আর্স, ফেরাম পিক্রিক ইত্যাদি তাদের জন্য শ্রেষ্ট ভিটামিন হবে।

 Kali Phosphoricum : অসুখ-বিসুখে ভুগে যাদের শরীরের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গেছে, ভীষণ বদমেজাজী, অতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক পরিশ্রমে যাদের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে ইত্যাদি অবস্থায় ফেরাম ফস (শক্তি 3x, 6x) খেতে হবে। Natrum Muriaticum :

যাদের মুখ হয় সাদাটে / ফ্যাকাসে এবং ফোলা ফোলা এবং বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি তীব্র আকর্ষণ থাকে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে তাদের জন্য নেট্রাম মিউর হলো সেরা ভিটামিন। Calcarea Carbonica : শিশুদের জন্য শ্রেষ্ট টনিক বা ভিটামিন হলো

ক্যালকেরিয়া কার্ব।

 শিশু গর্ভে আসার পরই মাসে এক মাত্রা করে মোট তিন মাত্রা ক্যালকেরিয়া কার্ব (শক্তি ২০০) গর্ভবতী মাকে খাওয়ানো উচিত। এতে মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় শিশুর হাড়-মাংস-দাঁত-ব্রেন-চোখ ইত্যাদির গঠন ভালো হবে। পাশাপাশি ঠোক কাটা, তালু কাটা, পিঠ বাঁকা, একুশ-বাইশ আঙুল,

 শারীরিক প্রতিবন্ধি, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি প্রভৃতি রোগ থেকে শিশু মুক্ত থাকবে।আবার শিশুর জন্মের প্রথম তিন মাসে তিন মাত্রা ক্যালকেরিয়া কার্ব খাওয়াতে পারলে তার দাঁত ওঠবে ভালোভাবে, ব্রেন ভালো হবে, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, অসুখ-বিসুখ কম হবে, হাঁটা শিখতে এবং কথা শিখতে কোন

সমস্যা হবে না। এভাবে শিশুর দশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি বছরের শুরুতে অন্তত দুই-তিন মাত্রা ক্যালকেরিয়া কার্ব খাওয়ানো উচিত। শিশুদের ক্যালকেরিয়া খাওয়াতে পারলে আর টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নাই; কেননা ক্যালকেরিয়া কার্ব হলো শিশুদের শ্রেষ্ট টিকা। Carbo Animalis : 

কারবো এনি মারাত্মক কোন রোগের কারণে সৃষ্ট দুর্বলতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ । Vanadium : সাধারণত বয়স চল্লিশের দিকে আসলে মানুষ নানা রকমের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এজন্য এই বয়স থেকে প্রত্যকেরই (নিম্নশক্তিতে বছরে

অন্তত একমাস) ভ্যানাডিয়াম খাওয়া উচিত। তাহলে হৃদরোগ ধারেকাছে আসতে পারবে না। Aletris Farinosa : জরায়ু সংক্রান্ত যে-কোন সমস্যার জন্য (ব্যথাযুক্ত ঋতুস্রাব , সাদাস্রাব , জরায়ুর স্থানচ্যুতি , বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি) লেট্রিস ফেরিনো একটি শ্রেষ্ট ভিটামিন। এটি পাঁচফোটা

করে প্রতিদিন তিনবেলা করে দীর্ঘদিন খান। Crataegus Oxyacantha : হৃদপিন্ডের দুর্বলতায় একটি শ্রেষ্ট টনিক হলো ক্রেটেগাস (শক্তি কিউ,৩,৬) পাঁচ ফোটা করে রোজ দুইবেলা বা চারবেলা করে দীর্ঘদিন খান। Carduus Marianus : লিভারের একটি উৎকৃষ্ট টনিক

হলো কার্টুয়াস মেরিনাস (শক্তি কিউ,৩,৬)।

 ইহা ছাড়াও চেলিডোনিয়াম (Cheliconium), চিলোন (Chelone glabra), চিওনেথাস (Chionathus Virginica) ইত্যাদিও লিভারের সেরা টনিক / ভিটামিন। Ambra Grisea : বেশী বয়স্ক লোকদের জন্য একটি আদর্শ টনিক হলো এমব্রা গ্রেসিয়া

 (শক্তি কিউ, ৩,৬)। Nux Vomica : যারা অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে কাটান, সর্বদা শীতে কাপতে থাকেন এবং পেটের অসুখ বেশী, তাদের জন্য আদর্শ টনিক হলো নাক্স ভমিকা (শক্তি কিউ,৩,৬) : এটি তিনবেলা করে অনেক দিন খান।