নিউমোনিয়া, ফুসফুসের প্রদাহ - Pneumonia - Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

ফোনে অর্ডার দিতে: 01720000039 অর্ডার করার জন্য প্রোডাক্ট কোডটি লিখে কল বা SMS, Whatsapp, IMO করুন. সারা বাংলাদেশ কুরিয়ারে ডেলিভারি । Ginseng Alkushi Ashwagandha জিনসিং আলকুশি, অশ্বগন্ধা শিমুল

SUBTOTAL :
নিউমোনিয়া, ফুসফুসের প্রদাহ - Pneumonia

নিউমোনিয়া, ফুসফুসের প্রদাহ - Pneumonia

Short Description:

Product Description

  নিউমোনিয়া, ফুসফুসের প্রদাহ - Pneumonia



 ঈদ উপলক্ষে সেদিন বেড়াতে গিয়েছিলাম শ্বশুরবাড়িতে। সকালে শুনলাম ওদের এক প্রতিবেশীর দুতিন বছরের একটি ছেলে মারা গেছে। নিজের দুই বাচ্চাকে নিয়ে দেখতে গেলাম। ঐ বাড়ির এক মুরব্বী শিশুটির মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে দেখার সুযোগ করে দিলেন। মৃত শিশুটির

 নিস্পাপ মুখটি দেখে মুহূর্তের মধ্যে মনটি বিষাদে ভরে উঠল।একবার ভাবলাম এই শিশুটির মতো আমার বাচ্চাদের এই অবস্থা হলে আমার মনের অবস্থা কেমন হতো? ভেতরের রুম থেকে শিশুটির মায়ের বুকফাটা কান্নার আওয়াজ আসছিল। এতো বড়ো শোক কী সহ্য করার মতো ?

 শুনেছি আল্লাহ্ এই শিশুদেরকে তাদের পিতা-মাতার চাইতেও শতগুণ বেশী ভালোবাসেন। তাহলে এই নিষ্পাপ শিশুদের মৃত্যু কি তাকে ব্যথিত করে না ? 



মনে হয় করে না।কারণ মৃত শিশুরা মা-বাবার চোখের আড়ালে চলে গেলেও আল্লাহর চোখ থেকে আড়ালে যেতে পারে না। বরং তারা আল্লাহর আরো অধিকতর নিকটেই চলে যায়। পাপ-পঙ্কিলতায় জড়িত হওয়ার সুযোগ না পাওয়ার কারণে এসব শিশুরা বিনা হিসাবে বেহেশতে চলে

 যাবে বলে কোরআন-হাদীসে বলা হয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এসব শিশুরা তাদের পাপী মাতা-পিতাকে দোযখে রেখে নিজেরা বেহেশতে যেতে অস্বীকার করবে বলে, মহান আল্লাহ শিশুদের সন্তুষ্টির জন্য দয়াপরবশ হয়ে তাদের পিতা-মাতাকেও দোযখ থেকে মুক্তি দিয়ে একসাথে

বেহেশতে প্রবেশের অনুমতি দিবেন।শোনলাম শিশুটির পিতা রংপুরের কৃষি ব্যাংকে চাকরি করেন। ঢাকা এসেছিল ঈদ করার জন্য। শিশুটি হয়ত জান্নাতে চমৎকার ঈদ করবে কিন্তু তার মা-বাবার ঈদকে একেবারে মাটি করে দিয়ে গেলো। মুরব্বীর কাছে জানতে পারলাম যে, শিশুটির

নিউমোনিয়া হয়েছিল। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশগুলোতে একশটি শিশু মারা গেলে দেখা যায় তার পঁচানব্বই জনেরই মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া।



 নিউমোনিয়ার মূল লক্ষণ হলো ঘনঘন শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। সাথে জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, ভীষণ শীত বোধ করা ইত্যাদি থাকে।শিশুদের শ্বাস নিতে কষ্ট হলে প্রত্যেক পিতা-মাতাকে অবশ্যই বিষয়টিকে একটি ইমারজেন্সী সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

 এই রকম বিপজ্জনক অবস্থায় শিশুকে অবশ্যই সুদক্ষ, নামডাকওয়ালা, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন- তা সে এলোপ্যাথিক ডাক্তার হউক আর হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হোক। নিউমোনিয়া রোগটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খুব সহজেই সারানো যায়, এমনকি এলোপ্যাথিক

 চিকিৎসায়ও সারানো যায়।তবে নিউমোনিয়ার এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় যে-সব হাই পাওয়ারের ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এন্টিবায়োটিক শিশুদের খাওয়ানো হয়, তাদের বিষাক্ত ছোবলে শিশুদের স্বাস্থ্য চিরস্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কেউ কেউ কয়েক বছরের জন্য এবং কেউ কেউ সারাজীবনের

জন্য কঙ্কালে পরিণত হয়ে থাকে। যেহেতু অধিকাংশ শিশুই এসব তিতা সিরাপ খেতে চায় না অথবা খেলেও বমি করে ফেলে দেয়, সেহেতু এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা তাদেরকে ইনজেকশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।



যেহেতু অধিকাংশ শিশুরই শরীরে মাংশ কম, ফলে ইনজেকশান নিতে এই নিস্পাপ শিশুদের যে অবনর্ণীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়, তা স্বচক্ষে না দেখলে কেউ অনুভব করতে পারবেন না। অথচ হোমিওপ্যাথিতে কেবল মিষ্টি মিষ্টি ঔষধ মুখে খাওয়ানোর মাধ্যমে খুব সহজেই নিউমোনিয়া

এবং টাইফয়েডসহ শিশুদের অধিকাংশ জটিল ইমারজেন্সী রোগ সারিয়ে দেওয়া যায়।এমনকি ঔষধ খাওয়াও লাগেনা, কেবল জিহ্বার ওপরে রাখতে পারলেই চলে। তাছাড়া খরচও এলোপ্যাথিক চিকিৎসার তুলনায় অন্তত এক হাজার গুণ কম। আর সময় ? যদি রোগীর সমস্ত লক্ষণের সাথে

 মিলিয়ে সঠিক হোমিও ঔষধটি রোগীকে দেওয়া যায়, তবে রোগমুক্তি হবে অন্য যে-কোন চিকিৎসার চাইতে অন্তত দশগুণ দ্রুত গতিতে।



পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ?বিষক্রিয়া ? এসব হোমিও ঔষধের ক্ষতিকর কোন প্রতিক্রিয়া তো নাই-ই; বরং এগুলো একই সাথে শরীরের জন্য ভিটামিনের কাজও করে থাকে। Bryonia Alba : ব্রায়োনিয়া ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহর একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। সাধারণত নিম্নশক্তিতে

 খাওয়ালে ঘনঘন খাওয়াতে হয় কয়েকদিন কিন্তু (১০,০০০ বা ৫০,০০০ ইত্যাদি) উচশক্তিতে খাওয়ালে দুয়েক ভোজই যথেষ্ট। হ্যাঁ, অধিকতর জটিল কেইসের ক্ষেত্রে কয়েকদিন খাওয়ানো লাগতে পারে। আপনি যদি বড়িতে উচ্চশক্তি এক ড্রাম ব্রায়োনিয়া কিনে আনেন এবং তা থেকে একটি

বড়ি আধা বোতল পানির সাথে মিশান এবং তা থেকে এক চায়ের চামচ পানি করে রোগীকে রোজ ৩ বার করে অথবা আরো ঘনঘন খাওয়ান : এভাবে দুইদিন, চারদিন অথবা ছয়দিন পর যখন নিউমোনিয়া সেরে যাবে, তখন যদি আপনি হিসেব করেন তবে দেখতে পাবেন যে, নিউমোনিয়া

 সারাতে আপনার খরচ হয়েছে ১০ পয়সা অথবা বেশীর পক্ষে ২০ পয়সা। অথচ এলোপ্যাথিতে নিউমোনিয়া সারাতে ৫০০ টাকা দামের হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিক ইনজেকশান দিতে হয় ১৪টি। ডাক্তারের ফি, নানা রকমের টেস্ট, হাসপাতালের বেড চার্জ ইত্যাদি সব মিলিয়ে অনেক ক্ষেত্রে

 অর্ধ লক্ষ টাকার মতো বিল আসতে দেখা যায়। এখন বলুন, হোমিওপ্যাথি মানবজাতির জন্য আল্লাহর এক বিরাট রহমত কি না ? Ranunculus Bulbosus : রেনানকুলাস বালবুসাস ঔষধটিও নিউমোনিয়ার আরেকটি শ্রেষ্ট ঔষধ। Antimonium Tartaricum :

এন্টিম টার্টের প্রধান লক্ষণ হলো কাশির আওয়াজ শুনলে মনে হয় বুকের ভেতর প্রচুর কফ জমেছে কিন্তু কাশলে কোন কফ বের হয় না। রেগে গেলে অথবা খাওয়া-দাওয়া করলে কাশি বেড়ে যায়। জিহ্বায় সাদা রঙের মোটা স্তর পড়বে, শরীরের ভেতরে কাঁপুনি, ঘুমঘুম ভাব এবং সাথে

 পেটের কোন না কোন সমস্যা থাকবেই। কাশতে কাশতে শিশুরা বমি করে দেয় এবং বমি করার পর সে কিছুক্ষণের জন্য আরাম পায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণে নাকের পাখা দ্রুত উঠানামা করতে থাকে। Ipecac : ইপিকাক শিশুদের নিউমোনিয়ার অ:রেকটি জরুরি ঔষধ।

ইহার প্রধান লক্ষণ হলো (যে-কোন রোগই হোক না কেন, তার সাথে) বমিবমি ভাব থাকে এবং জিহ্বা পরিষ্কার থাকে। এই ঔষধটি শিশুদের সবচেয়ে বড় বন্ধু।



 কারণ শিশুদের পেটের অসুখ এবং কাশি-নিউমোনিয়া বেশী হয় আর ইপিকাক এইসব রোগে দারুণ কাজ করে। Phosphorus : নিউমোনিয়া বা এই জাতীয় বিপদজ্জনক রোগে আমাদেরকে অবশ্যই কথা মাথায় রাখতে হবে। ফসফরাসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগী বরফের

মতো কড়া ঠান্ডা পানি খেতে চায়, মেরুদন্ড থেকে মনে হয় তাপ বেরুচ্ছে, হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া, একা থাকতে ভয় পায়, অন্ধকারে ভয় পায় ইত্যাদি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে সেটি আপনার চোখে ছানি সরিয়ে দিবে। Sulphur : সালফার হলো বহুমুখী গুণাবলীসম্পন্ন ঔষধগুলোর

 একটি। নিউমোনিয়াতে যদি সালফারের লক্ষণ পাওয়া যায়, তবে সালফার প্রয়োগ করতে হবে। কোন রোগীকে সালফার দিতে হবে, তা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, দেখবেন রোগী শরীরে যত ছিদ্র আছে সেখানকার রঙ টকটকে লাল হয়ে যাবে। যদি দেখেন যে, রোগী মুখের

ভেতরটা, নাকের ভেতরটা, পায়খানার রাস্তা অথবা প্রস্রাবের রাস্তার রঙ টকটকে লাল হয়ে আছে, তবে তাকে নিশ্চিন্তে সালফার দিতে পারেন।সালফারের অন্য কোন লক্ষণ না থাকলেও চলবে। সে যাক, সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে সকাল ১১টার দিকে ভীষণ

খিদে পাওয়া, রোগ রাতে বৃদ্ধি পাওয়া, রোগ গরমে বৃদ্ধি। পাওয়া, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, গোসল করা অপছন্দ করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে

 কোন খেয়াল নাই ইত্যাদি। Baptisia Tinctoria : (ব্রায়োনিয়া বা রেনানকুলাস ব্যবহারে) মোটামুটি নিউমোনিয়ার অবস্থা যথেষ্ট উন্নতি হলে অথবা নিয়ন্ত্রণে এসে গেলে তখন এন্টিবায়োটিক হিসাবে ব্যাপটিশিয়া ব্যবহার করতে পারেন।