♦♦ স্বরভঙ্গ এবং তজ্জনিত কাশি - Laryngitis, Hoarseness
ধুমপান, সর্দি-কাশি, হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন, উচ্চস্বরে বেশী কথা বলা, নিঃশ্বাসের সাথে বিষাক্ত ধােয়া গ্রহন করা প্রভৃতি কারণে ল্যারিঞ্জাইটিস হয়ে থাকে। কাজেই ঔষধ খাওয়ার সাথে সাথে কথা বলা বন্ধ রাখতে হবে, গরম চা- কফি খাওয়া উচিত এবং সিগারেট বা অন্যান্য ধােয়া
থেকে দুরে থাকতে হবে। ভাত রান্না বা পানি সিদ্ধ করার সময় যে গরম বাষপ উঠে সেগুলো নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে কাগজ বাঁকা করে এমনভাবে নিতে হবে যাতে গরম বাষপ চোখের মধ্যে না লাগে। Causticum :- গলাভাঙ্গার এক নাম্বার ঔষধ
হলো কষ্টিকাম। কষ্টিকামের লক্ষণ হলো সর্দি লেগে বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হওয়া গলাভাঙা। এতে শুকনো কাশি থাকতে পারে এবং মুখের ভেতরটা লাল হয়ে যায়। গলাভাঙ্গার সাথে যদি একটু জ্বালা-পোড়া ভাব থাকে তবে নিশ্চিনেত কষ্টিকাম খেতে পারেন। কষ্টিকামের
কাশি ঠান্ডা পানি খেলে কমে যায়। কষ্টিকামের গলাভাঙা সাধারণত সকালে শুরু হয়।
Spongia Tosta : গলাভাঙার সাথে যদি কাশি থাকে এবং কাশিতে যদি ঢােলের মতো আওয়াজ হয় কিংবা কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ের মতো শব্দ হয়, তবে সপঞ্জিয়া টোস্টা ঔষধটি আপনাকে মুক্তি দেবে। Hepar Sulphur :- স্বরভঙ্গের সাথে যদি কাশি থাকে এবং
কাশির সাথে কফ বের হয়, তবে হিপার সালফার ঔষধটি খেতে পারেন। হিপারের কাশি ঠান্ডা বাতাসে বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ ঠান্ডা বাতাস লাগলে যদি কাশি বৃদ্ধি পায় তবে হিপার সালফারই হবে আপনার সেরা ঔষধ। Aconitum Napellus :-যে-কোন রোগই হউক (জ্বর-কাশি
-ডায়েরিয়া-আমাশয়-পেট ব্যথা-মাথা-ব্যথা প্রভৃতি), যদি হঠাৎ করে মারাত্মক রূপে দেখা দেয়, তবে একোনাইট হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। গলাভাঙাও যদি তেমনি হঠাৎ করে মারাত্মকরূপে দেখা দেয়, তবে একোনাইট সেবন করুন।
Phosphorus :- গলাভাঙার সাথে যদি কথা বললে বা কাশি দিলে গলায় প্রচণ্ড ব্যথা হয় অথবা জ্বলে-পুড়ে যায়, তবে ফসফরাস খৈতে হবে । Argentum Metallicum :- কয়েকদিনের পুরনো গলাভাঙ্গায় আজেন্টাম মেটালিকাম খেতে পারেন। বিশেষত গায়ক-
গায়িকা-ক্যানভাসার এবং বক্তৃতা- ভাষণ দিয়ে বেড়ানো লোকদের স্বরভঙ্গে এটি বিশেষ উপকারী। Thuja Occidentalis : যে-কোন টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে স্বরভঙ্গ হলে তাতে থুজা একটি অতুলনীয় ঔষধ।
Ammonium Causticum : এমোন কষ্ট স্বরভঙ্গের অথবা কথা একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আরেকটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। গলায় জ্বালাপোড়া, পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়া, অত্যধিক পিপাসা ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে এমোন কষ্ট খেতে হবে।