উচ্চ রক্তচাপ - Hypertension, High blood pressure
আমাদের শরীরের রক্তনালী দিয়ে রক্ত স্বাভাবিকভাবে যে গতিতে চলাফেরা করে কোন কারণে তার চাইতে বেশী স্পীডে চলাকেই উচ্চ রক্তচাপ বলে। উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ের জন্য এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। কেননা সেক্ষেত্রে আপনাকে সারাজীবনই ঔষধ খেয়ে যেতে হবে।
তাছাড়া এসব ঔষধ অনেক বছর খাওয়ার ফলে হৃৎপিন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ফলে রোগীরা অল্প বয়সে হার্ট এটাকে মারা যায়। Passiflora Incarnata : উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে প্যাসিফ্লোরা ঔষধটি হোমিওপ্যাথিতে বেশী ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ১০ থেকে ২০ ফোটা করে
রোজ ২/৩ বার করে যতদিন প্রয়োজন খান। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে চলে আসলে এটি বন্ধ করে উচ্চ রক্তচাপের কারণ দূর করার ঔষধ খান। Natrum Muriaticum : উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো নেট্রাম মিউর। লবণ থেকে তৈরী এই ঔষধটি রক্তে লবণের পরিমাণ
কমানোর মাধ্যমে পানির পরিমাণ কমিয়ে রক্তের আয়তন কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
কাজেই এই ঔষধ খাওয়ার সময় কাচাঁ লবণ খাওয়া বন্ধ রাখা উচিত। Glonoine : গ্লোনইন ঔষধটি মাত্রাতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, মাথা একটু নাড়ালেই মনে হয় সেটি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, সাংঘাতিক
বুক ধড়ফড়ানি, চিন্তাশক্তি এলোমেলো হয়ে যায়, চেনা রাস্তা হঠাৎ অচেনা মনে হয় ইত্যাদি। Nux Vomica : অত্যধিক ব্যস্ত, অধিকাংশ সময় বসে বসে কাজ করে, শীত সহ্য করতে পারে না এবং বদমেজাজি লোকদের উচ্চরক্ত চাপে নাক্স ভমিকা একটি ভালো ঔষধ।
Rauwolfia Serpentina : রাওলফিয়া উচ্চ রক্তচাপের একটি বহুল ব্যবহৃত হোমিও ঔষধ। মোটামুটি সব ধরনের রোগীরাই এটি খেতে পারেন। নিম্নশক্তিতে ১০ ফোটা করে রোজ দুই-তিন বার করে খান। প্রয়োজনে মাত্রা আরও বাড়িয়ে খেতে পারেন। Conium
Maculatum : সাধারণত উচচ রক্তচাপের সাথে যদি মাথাঘুরানি থাকে, তবে কোনায়াম খেতে হবে। Plumbum Metallicum : প্লাম্বাম মেট উচ্চ রক্তচাপের একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সাথে যাদের আরো অনেক রকমের হৃদরোগ বা
প্যারালাইসিস জাতীয় রোগ আছে। অথবা উচ্চ রক্তচাপ যাদের বংশগত রোগ। Kali Phosphoricum : ক্যালি ফস উচ্চ রক্তচাপের একটি সেরা ঔষধ। বিশেষত এটি দীর্ঘদিন না খেয়ে উচ্চ রক্তচাপ স্থায়ীভাবে সারানোর আশা করাই অমূলক। মাঝে মাঝে সপ্তাহ
খানেক বিরতি দিয়ে দীর্ঘদিন খান। হৃদপিন্ড, স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের উপর ইহার প্রশান্তিকারক ক্রিয়া বিদ্যমান। তাছাড়া যেহেতু এটি একটি ভিটামিন জাতীয় ঔষধ, তাই ইহার কোন ক্ষতিকর সাইড-ইফেক্ট নাই বললেই চলে।