হার্নিয়া - Hernia

 হার্নিয়া - Hernia

 সাধারণত আমাদের পেটের ভেতরে যত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আছে, তাদের প্রত্যেকটিকে একটি থলিতে ভরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু কোন কারণে সেটি থলিকে লম্বা করে অথবা ছিদ্র করে অন্যদিকে চলে গেলে তাকে হার্নিয়া বলা হয়। হার্নিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো আক্রান্ত

স্থানে চাকার মতো অনুভব করা এবং ব্যথা হওয়া। হার্নিয়ার অবস্থান যেখানে ব্যথাও হয় সেখানে। তাছাড়া বমি, বমিবমিভাব, জ্বর ইত্যাদি লক্ষণ থাকতে পারে।তবে কোন কোন হার্নিয়ায় ব্যথাও থাকে না। অন্য কোন লক্ষণও থাকে না। সাধারণত অপুষ্টি, ধূমপান, মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম,

গর্ভধারণ ইত্যাদি কারণে হার্নিয়া হয়ে থাকে। হ্যাঁ, হোমিও চিকিৎসায় আক্রান্ত অঙ্গটি ধীরে ধীরে মেরামত হয়ে আবার নরমালে চলে আসে। কাজেই দু’চার মাস সময় লাগলেও ধৈর্য্য ধরে ঔষধ খাওয়া উচিত। কেননা অপারেশন করলে সাধারণত কয়েক বছরের মধ্যে রোগটি আবার ফিরে

আসতে দেখা যায়। লক্ষণ অনুযায়ী এক বা একাধিক ঔষধ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেবন করতে হবে। Nux Vomica : যারা অধিকাংশ সময়ে পেটের অসুখে-বদহজমে ভোগে, বদমেজাজী, ঝগড়াটে, বেশীর ভাগ সময় শুয়ে-বসে কাটায়, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না, সারাবছর

 কোষ্টকাঠিন্যে ভোগে, পেটের ভেতরে ছুরি মারার মতো ব্যথা এবং অল্প শীতেই কাতর হয়ে পড়ে, এটি তাদের হার্নিয়ার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। 

Lycopodium Clavatum : লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়,এদের রোগ ডান পাশে বেশী হয়, রোগ ডান পাশ থেকে বাম পাশে যায়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা হজমের সমস্যা

 লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়স্ক মনে হয়, এদের স্বাস্থ্য খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই সেনসিটিভ-আবেগপ্রবন এমনকি ধন্যবাদ দিলেও কেঁদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও কোন রোগীর মধ্যে থাকলে

লাইকোপোডিয়াম তার হার্নিয়া সারিয়ে দেবে। Opium : ব্যথা হওয়ার কথা কিন্তু ব্যথা নাই, ঘুমঘুম ভাব কিন্তু ঘুম আসে না, খুবই সেনসিটিভ,ঘড়ির কাটার শব্দ কিংবা দূরের কোন মোরগের ডাকেও তার ঘুম ভেঙ্গে যায়, দুঃস্বপ্ন দেখে, কুকুর, বিড়াল, প্রেতাত্মা, বোবায়ধরা

 স্বপ্নে দেখে, ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসে, পায়খানার বেগই হয় না, এমনকি সাত দিন পনের দিনেও পায়খানার বেগ হয় না, পায়খানা হয় ছাগলের লাদির মতো ছোট ছোট, গোল গোল, কালো, শক্ত শক্ত, আঙুল দিয়ে পায়খানা বের করতে হয় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে

 অপিয়াম ঔষধটির কথা সর্ব প্রথম চিন্তা করা উচিত।

Oxalicum Acidum : ছিড়ে ফেলার মতো ভয়ংকর ব্যথা, ব্যথার কথা চিন্তা করলে ব্যথা বেড়ে যায়, প্রস্রাবের কথা মনে হলে সাথে সাথে প্রস্রাব করতে হয় নইলে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, চামড়া ঠান্ডাঁ, পিঠ-কোমর-পায়ে অবশ অবশ ভাব, কুঞ্চিত চামড়া, নখ নীলচে, বাম পাশের বাতের ব্যথা, বাম ফুসফুসের নীচের দিকে তীব্র ব্যথা, নার্ভাস রোগীদের হৃদরোগ, কোমর ব্যথা, আলো সহ্য হয় না ইত্যাদি

লক্ষণ থাকলে অক্সালিক এসিড খেতে হবে। Plumbum Metallicum : রক্তশূণ্যতা, দীর্ঘ দিনের কোষ্টকাঠিন্য/শক্ত পায়খানার সমস্যা, এমন পেট ব্যথা থাকে যাতে মনে হবে পেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কেউ যেন সুতো দিয়ে বেঁধে পিঠের দিকে টানতেছে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে

প্লামবাম খাওয়ার কথা চিন্তা করতে হবে। Aurum Metallicum : সাধারণত তলপেটের (inguinal) অথবা নাভীর (umbilical) হার্নিয়া এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে । শিশুদের ক্ষেত্রেও এটি বেশী ব্যবহৃত হয়। Gentiana Cruciata : সাধারণত তলপেটের

ডান পাশের হার্নিয়াতে (right inguinal hernia) এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। Granatum : এটি তলপেটের হার্নিয়াতে (inguinal hernia) এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।