♦♦ রক্তক্ষরণ, রক্তপাত - Hemorrhage, Bleeding
রক্তক্ষরণের চিকিৎসাতে রক্তক্ষরণের কারণ, রক্তক্ষরণের ধরন, রক্তক্ষরণের লক্ষণ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ঔষধ নিবার্চন করতে হবে। পাশাপাশি রক্তক্ষরণের ফলে রোগীর কি ধরনের বিপদ হতে পারে বা কত দ্রুত সে বিপদে পড়তে পারে, তার ওপর ভিত্তি করে ঔষধ ধীরে ধীরে
অথবা ঘনঘন খাওয়াতে হবে ।
√ কেটে গিয়ে বা অন্যকোন কারণে হাত, পা, দাঁত, নাক প্রভৃতি স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হলে তা বন্ধ করতে Calendula Officinalis অথবা Trillium (শক্তি কিউ,৩,৬) তুলায় নিয়ে বাহ্য প্রয়োগ করুন।
√ শরীরের কোথাও থেকে বেশী লাল রক্তপাত হলে Millefolium ঔষধটি দশ/বিশ মিনিট পরপর খেতে থাকুন।
√ অন্যদিকে কালো রক্তপাত হলে Hamamelis Virginica ঔষধটি দশ/বিশ মিনিট পরপর খেতে থাকুন।
√ নাক থেকে রক্তক্ষরণ হলে ক্যালেন্ডুলা (Calendula Officinalis) তুলায় ভিজিয়ে নাকে ঢুকিয়ে দিন। পাশাপাশি নাকের ওপর বরফ ঘষতে পারেন।
√ দাঁত ওঠানো পরে রক্তক্ষরণ হলে Phosphorus (শক্তি ৬,১২,৩০) দশ/বিশ মিনিট পরপর খেতে থাকুন। দাঁত ওঠানোর পূর্বে কয়েক মাত্রা মিলিফোলিয়াম অথবা আর্নিকা (শক্তি ৩০,২০০) খেয়ে নিলে রক্তপাত হবে না।
√ আঘাতের কারণে যদি রক্তপাত হয় সেক্ষেত্রে প্রথমে অবশ্যই কয়েক মাত্রা Arnica (শক্তি ৩০,২০০) খেয়ে নিবেন।
√ সন্তান প্রসবের পরবর্তী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে মিলিফোলিয়াম তিন ঘণ্টা পরপর খাওয়াতে থাকুন আর রক্তক্ষরণ প্রতিরোধের জন্য প্রসবের পূর্বেই দু’তিন মাত্রা Millefolium খেয়ে নিতে পারেন। প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণের কারণ যেহেতু আঘাত, তাই এতে আরনিকা ঔষধটিও
ভাল কাজ করে।
√ রক্তের রঙ যদি হয় উজ্জ্বল লাল এবং রক্তক্ষরণের সাথে যদি বমি বমি ভাব থাকে, তবে তাতে ইপিকাক Ipecac খাওয়াতে হবে।
√ রক্তক্ষরণের সাথে যদি রোগী সাংঘাতিকভাবে মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে, তবে তাতে একোনাইট (Aconitum Napellus) খাওয়াতে হবে।
√ Hamamelis Virginica হলো শিরা থেকে (কালচে) রক্তক্ষরণের জন্য আর Millefolium হলো ধমনী থেকে (লালচে) রক্তক্ষরণের জন্য প্রযোজ্য।
√ জেরানিয়াম (Geranium Maculatum) ঔষধর্টিও রক্তপাত বন্ধে এক সেরা ঔষধ। এটি প্রধানত ফুসফুল, পাকস্থলী এবং জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণে ব্যবহৃত হয়। এটি সেবনে পাতলা রক্ত ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে এবং জমাট বাধতে শুরু করে।
ডাঃ জর্জ রয়েলের মতে, ট্রিলিয়াম (Trillium Pendulum) ঔষধটি জরায়ুতে টিউমারের (uterine fibroid) কারণে রক্তক্ষরণ হওয়া বন্ধ করে এবং পাশাপাশি টিউমারের বৃদ্ধি ঠেকাতে পারে এবং টিউমারকে নির্মূল (absorb) করে দিতে পারে।
ট্রিলিয়াম প্রধানত রক্তক্ষরণের ঔষধ : তাই দাঁত-নাক থেকে রক্তক্ষরণে এবং কফ-পায়খানার সাথে রক্ত গেলে তাতেও ট্রিলিয়াম ব্যবহার করতে পারেন।