পিত্তপাথরী - Gallstones, chololithiasis

 

পিত্তপাথরী - Gallstones, chololithiasis

 হোমিওপাহিক ঔষধের মাধ্যমে পিত্তপাথরীর স্থায়ী মুক্তি : পিত্তপাথরীর নিজে নিজে চিকিৎসা পদ্ধতি : পিত্তথলীর পাথর সম্পূর্ণ নিমূর্ল করার জন্য (আমার নির্দেশনা মতো) নিচে উল্লেখিত সাতটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করুন। আমার প্রণীত এই ফরমূলাটি অনুসরন করলে শতকরা

৯৯ ভাগ পিত্তপাথরী রোগী পুরোপুরি পিত্তপাথরী মুক্ত হবেন বলে আমি আশাবাদী। প্রতিটি ঔষধ আপনি প্রতিবার মাত্র এক সপ্তাহ করে খাবেন।এইভাবে ঔষধগুলি চক্রাকারে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারে বারে খাবেন (অর্থাৎ ৭ নাম্বার ঔষধটি খাওয়ার পরে আবার ১ নাম্বার থেকে একই নিয়মে খাওয়া

শুরু করবেন। আপনার পাথরের সংখ্যা যদি অনেক বেশী হয় অথবা পাথরের আকার যদি অনেক বড়, তবে দিগুণ মাত্রায় ঔষধ খেতে পারেন (অর্থাৎ ১০ ফোটা করে)। হ্যাঁ, সকল হোমিওপ্যাথিক ঔষধই খালি পেটে খাওয়া ভালো : তবে খালি পেটে খেতে ভুলে গেলে ভরা পেটেও খেতে

পারেন।এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলো অন্য যে-কোন ঔষধের সাথে একত্রে খেতে পারবেন (হোক তা ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা ইনজেকশান) : তাতে কোন সমস্যা হবে না। 

তবে অবশ্যই অন্য ঔষধগুলোর আধা ঘণ্টা আগে অথবা আধা ঘণ্টা পরে খাবেন। যদি পরীক্ষায় জানতে পারেন যে, পিত্তথলীর পাথর সম্পূর্ণ দূর হয়ে গেছে, তবে সাথে সাথে ঔষধগুলি খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিন।জার্মানী বা আমেরিকার তৈরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কেনার চেষ্টা করবেন।

 এই সাতটি ঔষধের যে-কোনটিকে আপনি বাদ দিয়ে দিতে পারেন, যদি মনে করেন যে, সেটি কোন কাজ (উপকার করছে না অথবা অনাকাঙ্খিত সমস্যার (যেমন- বুকজ্বালা, চুলকানি, ব্যথা, ডায়েরিয়া, মাথাঘুরানি ইত্যাদি) সৃষ্টি করছে অথবা স্থানীয় মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশিষ্ট

ঔষধগুলি তাদের প্রদত্ত সিরিয়াল বা ধারাক্রম অনুযায়ী খেতে থাকুন। ঔষধের শক্তি এবং মাত্রা সম্পর্কে আমার নির্দেশনা পরিবর্তন করবেন না। তবে আমার নির্দেশিত শক্তি স্থানীয় মার্কেটে পাওয়া না গেলে আপনি তার কাছাকাছি (এবং বাজারে পাওয়া সবচেয়ে নিম্মতম) শক্তির ঔষধ খেতে

পারেন।হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তিকরণ ক্ষেত্রে কিউ (0) -কে বলা হয় মাদার টিংচার, অর্থাৎ সবচেয়ে নিম্মতম শক্তি অর্থাৎ এক বা শূণ্য শক্তির ঔষধ।

 আমরা সবাই জানি যে, নিন্মশক্তির (যেমন ০, 3x, 6X, 12X, 30X, 200X, 3g, 6c, 3, 6, 12 ইত্যাদি) হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া খুবই কম, নাই বললেই চলে। মনে রাখবেন যে, হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নামসমূহ হলো বিশ্বজনীন (অর্থাৎ এগুলো

পৃথিবীর সকল দেশে একই নামে পাওয়া যায়)। এসব ঔষধের কোনটি যদি তরল আকারে পাওয়া না যায়, বরং তার পরিবর্তে বড়ি আকারে পাওয়া, তবে তা দ্বিগুন মাত্রায় খান অর্থাৎ পাঁচ ফোটার পরিবর্তে দশটি বড়ি করে খান। ঔষধ সব সময় তরল আকারে কেনার চেষ্টা করবেন এবং কিছু

পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন। কেননা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তরল আকারে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।অল্প কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি রোগমুক্তির জন্য (আমার ফরমুলা অনুযায়ী ঔষধ সেবনের পাশাপাশি) কোন একজন হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হতে পারে : যিনি

 রোগীর শারীরিক ও মানসিক গঠন বিশ্লেষণ পূবর্ক আরো উৎকৃষ্ট ও মানানসই ঔষধ নিবার্চন করে প্রয়োগ করবেন। 

পুরোপুরি রোগমুক্তির জন্য (পাথরের আকার এবং সংখ্যার অনুপাতে) এই ঔষধগুলি আপনাকে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর অথবা আরও বেশী কিছু সময় খেতে হতে পারে। [আজ থেকে দেড়শ বছর আগের কথা, পিত্তথলীতে পাথরের সমস্যা নিয়ে এক মহিলা আসলেন আমেরিকান

 হোমিও চিকিৎসাবিজ্ঞানী প্রফেসর ডাঃ জেমস টাইলার কেন্ট-এর চেম্বারে। কেন্ট তাকে বললেন যে, অপারেশন ছাড়াই কেবল হোমিও ঔষধের সাহায্যেই পিত্তথলীর পাথর গলিয়ে দূর করা সম্ভব। মহিলার আপন ভাই একজন এলোপ্যাথিক ডাক্তার : যে তাকে বলেছিল যে, ঔষধে পিত্তথলীর

পাথর দূর করা সম্ভব নয়, ইহার একমাত্র চিকিৎসা অপারেশান। মহিলার ভাই কেন্টের দাবীর কথা শুনে বললেন যে, একজন হাতুড়ে ডাক্তারের পক্ষেই দাবী করা সম্ভব যে ঔষধে পিত্তপাথর দূর করা যায়।কেন্ট শুনে বললেন যে, তাহলে আমি যদি ঔষধে পিত্তপাথর দূর করতে সক্ষম হই,

 তবে আপনার ভাইকে হাতুড়ে ডাক্তার বলা যাবে ত ? তারপর তিনি মহিলার রোগের লক্ষণ, শারীরিক গঠন, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনা করে ঔষধ দিলেন।

 কয়েক মাসের মধ্যেই তার পিত্তপাথর দূর হয়ে গেল। তাই আজ ইহা একটি প্রমাণিত সত্য যে, একজন হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই কেবল ঔষধের মাধ্যমে পিত্তপাথরী পুরোপুরি নির্মূল করার ক্ষমতা রাখেন (অপারেশন করছেন তো আপনার কপালে ক্যান্সারসহ অনেক ভোগান্তি

 আছে!)। Rx(1) Natrum Sulphuricum Q/3x/6x/3c/6c/12/30c/3/6/12/30(এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ৫ ফোটা করে রোজ দুই বেলা করে প্রথম সপ্তাহ খান। আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে)(2) Baptisia tinctora Q/3x/6x/30x/3c/6c

/12/30c/3/6/12/30(এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ৫ ফোটা করে রোজ দুই বেলা করে দ্বিতীয় সপ্তাহ খান। আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে)(3) China Officinalis Q/3x/6x/30x/3c/6c/12/30c/3/6/12/30(এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ৫ ফোটা করে

রোজ দুই বেলা করে তৃতীয় সপ্তাহ খান। আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে (4) Cholesterinum Q/3x/6x/30x/3c/6c/12/30c/3/6/12/30(এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ৫ ফোটা করে রোজ দুই বেলা করে চতুর্থ সপ্তাহ খান। আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে)(5)

Chelidonium majus Q/3x/6x/30x/3c/6c/12/30c/3/6/12/30(এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ৫ ফোটা করে রোজ দুই বেলা করে পঞ্চম সপ্তাহ খান। আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে)(6) Calcarea Carbonica Q/3x/6x/3c/6c/12/30c/

3/6/12/30(এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ৫ ফোটা করে রোজ দুই বেলা করে ষষ্ট সপ্তাহ খান। আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে)(7) Hydrastis Canadensis Q/3x/6x/30x/3c/6c/12/30c/3/6/12/30(এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি ৫ ফোটা করে রোজ দুই বেলা

করে সপ্তম সপ্তাহ খান। আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে। এরপর পূণরায় এক নাম্বার ঔষধ থেকে একই নিয়মে খাওয়া আরম্ভ করুন।)