ব্যাথাযুক্ত মাসিক - Dysmenorrhea, menstrual cramp, painful mense
সাধারণত মেয়েদের মাসিক স্রাবের সময় ব্যথা হওয়াকে সাইকোটিক মায়াজম (sycotic miasm) ঘটিত রোগ বলে বিজ্ঞানীরা ঘােষণা করেছেন। তাই এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রথমেই এন্টি-সাইকোটিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। মেডোরিনাম এবং থুজা হলো দুটি সেরা এন্টি-
সাইকোটিক ঔষধ। Medorrhinum : অতীতে যাদের গনোরিয়া হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামীর গনোরিয়া ছিল, তাদেরকে মেডোরিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাসিকের ব্যথা স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। মেডোরিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো পেট নীচের দিকে দিয়ে
ঘুমায়, চকোলেট-কমলা খুবই পছন্দ করে, অন্ধকারে ভয় পায়, গতকালের ঘটনাকে মনে হয় অনেক বছর আগের ঘটনা, সব কাজে তাড়াহুড়া করে ইত্যাদি ইত্যাদি। ঔষধটি ২০০ শক্তিতে বিশ দিন পরপর একমাত্রা করে খাওয়া উচিত এবং প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে খাওয়া
যেতে পারে। Thuja Occidentalis : যে-কোন টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, পোলিও, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে ব্যথাযুক্ত মাসিকের রোগ হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি অতুলনীয় ঔষধ।
থুজার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ’উপর থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, শরীরে আঁচিল
বা মেঞ্জ হওয়া, বর্ষাকালে বা ভ্যাপসা আবহাওয়ার সময় রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, বদহজম, কোষ্টকাঠিন্য, হাত-পা ছড়িয়ে রাখলে রোগের মাত্রা বেড়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। ঔষধটি অবশ্যই ৫/৬ মাত্রা খাওয়াতে হবে। এটি ২০০ শক্তিতে দশ দিন পরপর একমাত্রা করে খাওয়া উচিত।
Lapis Albus : ল্যাপিস ঔষধটিও ডিসমেনোরিয়ার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যাদের যৌনাঙ্গে চুলকানি ও রাক্ষুসে ক্ষুধার লক্ষণ আছে। Actea Racemosa : একটিয়া রেন্সি মাসিকের ব্যথার আরেকটি প্রধান ঔষধ।
√ ইহা ছাড়াও ব্যথার অধ্যায়ে যে-সব ঔষধের বর্ণনা
দেওয়া হয়েছে, তাদের যে-কোনটি লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করতে পারেন।