♦♦ স্তনের টিউমার - Breast tumour
পত্রিকার রিপোট মতে, বতর্মানে ১০০ জন মহিলার মধ্যে ২০ থেকে ২২ জনই স্তন টিউমার-ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং তাদের সিংহভাগই শহরবাসী কমর্জীবী নারী। যদিও ক্যান্সার বিশেষ(+অ)জ্ঞদের মতে, শহরবাসী নারীদের জীবনে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ কম
হওয়ার কারণে তারা এই রোগে আক্রান্ত হন বেশী। কিন্তু আসলে এটি একটি মিথ্যে কথা। বরং প্রকৃত কারণ হলো কমৰ্জীবী মহিলারা (পেশাগত ঝামেলার হাত থেকে বাঁচার জন্য পরিবার ছোট রাখতে গিয়ে) জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি এবং ইনজেকশান বেশী ব্যবহার করেন
এবং (সময়ের অভাবে অথবা সৌন্দর্স নষ্ট হওয়ার ভয়ে তাদে) শিশুদেরকে যথাযথভাবে বুকের দুধ খেতে দেন না।
তাছাড়া কমর্জীবী মহিলারা বড় বড় ঔষধ কোম্পানীগুলোর মতলবী প্রচারণায় বিশ্বাস করে অতিমাত্রায় স্বাস্থ্য সচেতনতা দেখাতে গিয়ে বেশী বেশী টিকা (Vaccine) নিয়ে থাকেন, যা টিউমার- ক্যানসারের একটি সবচেয়ে বড় কারণ। শুধু তাই নয়, শহরবাসী কমর্জীবী নারীরা তাদের
শিশুদেরকেও বেশী বেশী। টিকা দিয়ে থাকেন এবং শিশুদের পায়খানা, প্রস্রাব, থুতু, নাকের শ্লেষ্ম ইত্যাদি স্পর্শ করার মাধ্যমেও সে-সব টিকার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ক্যান্সার বিশেষ(+অ)জ্ঞরা আরো বলেন যে, ২০ বছর বয়সের আগে বিয়ে হলে অথবা ৩০ বছরের পর প্রথম
সন্তানের জন্ম হলে স্তন টিউমার-ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
কিন্তু এগুলো একেবারেই ফালতু কথা : বিয়ের সাথে স্তন টিউমার-ক্যান্সারের কোন সম্পর্কই নাই।তবে ইহা ঠিক যে, বিড়ি- সিগারেট, তামাক, জর্দা এবং অন্যান্য মাদকসেবী নারীদের স্তন টিউমার-ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী। ব্রেস্ট টিউমারের একটি বড় কারণ হলো মানসিক
অশান্তি। যেহেতু শহরবাসী পুরুষদের একটি বিরাট অংশ চরিত্রহীন লম্পট। সেহেতু তাদের স্ত্রীরা সারাক্ষণই তাদের দাম্পত্য জীবনের সম্ভাব্য খারাপ পরিণতি নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। সে যাক, হোমিওপ্যাথিতে অধিকাংশ
ক্ষেত্রে মাত্র দশ পয়সার ঔষধে স্তন টিউমার নির্মূল করা যায়।
বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। Conium Maculatum : স্তন টিউমারের এক নাম্বার ঔষধ হলো কোনায়াম। এক লক্ষ (CM) শক্তিতে এক ড্রাম বড়ি কিনে আনুন এবং তা থেকে মাত্র দুটি বড়ি খনি। তারপর দুই মাস অপেক্ষা করুন। তখন যদি দেখেন যে,
আপনার স্তনে আর কোন টিউমার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তবে হিসাব করে দেখলে দেখতে পাবেন আপনার চিকিৎসায় খরচ হয়েছে সাকুল্যে দশ পয়সা !!! অবশ্য আমার চেম্বারে এসে প্রেসক্রিপশান নিলে তার সাথে আরো ৫০০ টাকা যোগ করতে হবে।
সে যাক, যদি দুই মাস পর দেখেন যে আপনার টিউমার পরোপুরি নির্মূল হয় নাই রবং তার সাইজ অনেক ছোট হয়ে গেছে। তাহলে আরেক মাত্রা খেতে পারেন। Thuja Occidentalis : সাধারণত যাদের অতীতে নানা রকমের টিকা নেওয়ার ইতিহাস আছে,
তাদের ক্ষেত্রে থুজা ঔষধটি খেতেই হবে। আপনি ২০০ শক্তিতে সপ্তাহে এক মাত্রা করে কয়েক মাস খান অথবা এক লক্ষ শক্তিতে (CM) দুই মাস পরপর এক মাত্রা করে খেতে পারেন। Phytolacca Decandra : ফাইটোলেক্কা ঔষধটি স্তন টিউমারের আরেকটি সেরা ঔষধ।
এটি নিম্নশক্তিতে (Q) ২০ ফোটা করে রোজ দুই বেলা হিসাবে খান দুই মাস ছয় মাস যত দিন লাগে।