Moschus মস্কাস (mosch)
Moschus (mosch) মস্কাস
পরিচয়ঃ মৃগনাভী কস্তুরী । প্রথমে বিচুর্ণ পরে তরল ক্রমে প্রস্তুত হয়। Moschus বা Musk
Antidote food/ ঔষধের ক্রিয়ানাশক খাদ্য: কফি, কর্পূর ।
ক্রিয়ানাশকঃক্যাম্ফর, কফিয়া।
-
ডান গাল লাল ও ঠান্ডা, বাম গাল বির্বণ ও গরম।
-
রোগী প্রায়ই বলে, সে বোধ হয় মারা যাবে।
-
অত্যন্ত চঞ্চল, ক্রুব্ধ ও কলহপ্রিয়।
-
একটি গাল লাল ও ঠান্ডা অন্য গাল গরম ও ফ্যাকাসে।
-
একটি হাত লাল ও ঠান্ডা অন্য হাত গরম ও ফ্যাকাসে।
কাতরতাঃ
শীতকাতর (প্রথম গ্রেড): [Dr. Robert Gibson Miller এবং James Tyler Kent]
গরমকাতর (দ্বিতীয় গ্রেড): [Synthesis]
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি):
-
এন্টি-সোরিক (তৃতীয় গ্রেড)
-
এন্টি-সাইকোটিক (তৃতীয় গ্রেড)
মূল কথাঃ
- উৎকন্ঠাসহ বুক ধড়ফড়ানি।
- ডান গাল লাল ও ঠান্ডা, বাম গাল বির্বণ ও গরম।
- ঠান্ডা সহ্য হয় না, ঠান্ডায় ব্যথা বৃদ্ধি হয়।
- বাতাস সহ্য হয় না।
- স্নায়বিক দুর্বলতার জন্য সহজেই মূর্চ্ছা হয়।
- পেটে খুব বায়ু জন্মে।
- শরীরের বাহিরে ঠান্ডা ও ভিতরে গরমবোধ।
- হঠাৎ স্নায়বিক উত্তেজনা হইয়া বুকে চাপবোধ।
- রোগ আক্রমনের সময় সর্বঙ্গ ঠান্ডা হইয়া যায় ও মুখশ্রী বিবর্ণ দেখায়।
-
মাথার পেছনে ও ডান রগে ব্যথা।
ব্যবহারস্থলঃ মৃগী, হিষ্টিরিয়া, হৃৎশূল, মাথাঘোরা হিক্কা, গর্ভাবস্হার পীড়া, ফুসফুসের পীড়া, ঘুংড়ী ও ধ্বজভঙ্গ প্রভূতি ক্ষেত্রে উপযোগী। “ঠান্ডায় রোগের বা রোগ লক্ষণের বৃদ্ধি, খোলা বাতাস অসহনীয়”এই ঔষধ নির্বাচনের নির্দেশক।
ক্রিয়াস্থলঃ স্নায়ুমন্ডলী, ফুসফুস ও রক্তসঞ্চালন ক্রিয়ার উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া। ডাঃ হিউজেস বলেন, হিষ্টিরিয়া ও স্নায়বীয় হৃৎকম্পের জন্য ইহা উপযোগী ঔষধ। ডাঃ ফ্যারিংটন বলেন, মূর্চ্ছা-রোগে রোগিণী অচৈতন্য অবস্হায় থাকিলেও মস্কাস ব্যবহৃত হয়; ইহার রোগিণী এই ক্রন্দন করে ও পরমুহূর্তেই আবার অত্যধিক হাস্য করে, হাসি কিছুতেই থামে না। মুর্চ্ছা বা হিষ্টিরিয়ার আক্রমণের সমস্ত শরীরের শীতলতা, মুখমন্ডলের রক্তশূন্যতা, শ্বাসরোগের আবেশ ইত্যাদিও ইহার নির্ণায়ক লক্ষণ। ডাঃ গ্যারেন্সি ডাঃ ফ্যারিংটনের উক্তিকে সমর্থন করিয়া বলেন, হিষ্টিরিয়া রোগে রোগিণীর শরীর অতিশয় ঠান্ডা থাকিলেই মস্কাসই ঔষধ। আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসকগণও রোগীর সর্বশরীরের অত্যন্ত শীতলতা, ঘন ঘন মোহ ও শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি আসন্ন মৃত্যু লক্ষণে এই ঔষধের “মুল-অরিষ্ট”প্রয়োগ করিয়া উপকার পাইয়াছেন। ইহার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শক্তি ব্যবহার না করিলে উপকার হয় না, কারণ “মৃগনাভীর”গন্ধ না থাকিলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় না।
উপশম/হ্রাসঃ গরমে উপশম, খোলা বাতাসে মাথাব্যথার উপশম
বৃদ্ধিঃ ঠান্ডায় রোগের বা রোগ লক্ষণের বৃদ্ধি, হেঁট হইলে, রতি ক্রিয়ার পর, খাইবার পর, খাইবার সময়, নড়াচড়ায়, চাপে রোগ লক্ষণের বৃদ্ধি।
ক্রিয়া স্থিতিকালঃ ১ দিন।
লক্ষণ সূত্রঃ এম,
ভট্রাচার্য্য: পৃষ্ঠা-৫৯৮, এন, সি ঘোষ: পৃষ্ঠা-৪৮৩, উইলিয়াম বোরিক:
পৃষ্ঠা-৩১৩, নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: পৃষ্ঠা-২৪৯, অতুল কৃষ্ণ দত্ত:
পৃষ্ঠা-৬৪০, ই. এ. ফ্যারিংটন: পৃষ্ঠা-১০৪, জেমস টেইলর কেন্ট: পৃষ্ঠা-৫৫১,
ই. বি ন্যাশ: পৃষ্ঠা-৬২২, জে এম মিত্র: পৃষ্ঠা-৫৫১, এস কে সাহা: পৃষ্ঠা-৩৬২
।