Zincum Met (জিঙ্কাম মেট): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
♣ সমনামঃ জিঙ্ক, দস্তা, মেটালিক জিঙ্ক।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, টিউবারকুলার, সিফিলিটিক।
♣ সাইডঃ ডানপাশ, বামপাশ।
♣ কাতরতাঃ উভয়কাতর।
♣ উপযোগিতাঃ খর্বতা, স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুসংক্রান্ত
দুর্বলতায় ভোগে, জীবনীশক্তির বিশৃঙ্খলা, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর শক্তি
নিঃশেষিত- এতোই দুর্বলতা যে উদ্ভেদ বের হয় না অথবা মাসিক ঋতুস্রাব হয় না।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুমন্ডলী, মাথার পেছনদিক, মেরুদন্ড,
অক্ষিকোটর মন্ডল, নাকের গোঁড়া, রক্ত, চোখের কোণ, পৃষ্ঠবংশে, চামড়া, রক্ত।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ জিঙ্কের কাজের অধিকাংশই ‘ক্লান্তি’ কথাটি দ্বারা প্রকাশ পায়।
তন্তুগুলো অতি শীঘ্র দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু দ্রুত স্বাভাবিক অবস্হায় ফিরে
আসে না। তীব্র রক্তশূন্যতা এবং নিরতিশয় অবসাদে। রক্তের লোহিত কণিকাগুলোর
ধ্বংস ও হ্রাস করে। উদ্ভেদযুক্ত রোগের আবার প্রকাশ করে।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজঃ এর প্রধান কার্যস্থর হচ্ছে মস্তিষ্ক এবং স্নায়বীয়
বিধানের ওপর। জিঙ্কাম দ্বারা বিষাক্ত হলে শরীরময় এক প্রকার সুড়সুড় বোধ হয়,
যেনো পিপীলিকা চলে বেড়াচ্ছে। এ সুড়সুড় বোধ ঘর্ষণে ও চাপে উপশম হয়। সারা
শরীরে কম্পনও হয়। এটি যে কেবল রাগী নিজেই উপলব্ধি করতে পারে তা নয়, বাইরেও
প্রকাশ পায় তারপর অত্যন্ত স্পর্শজ্ঞানশূন্যতা ও বমনেচ্ছাসহ মূর্ছার উপক্রম
হয়, পানি আদপেই সহ্য করতে পারে না, পাকস্হলীতে যাওয়া মাত্রই বমি হয়ে ওঠে
যায় এবং অম্লদ্রব্য ভিনিগার, লেবুর রস ইত্যাদি পানে অত্যন্ত বেড়ে যায়।
♣ সারসংক্ষেপঃ অলসভাব, জীবনীশক্তির বিশৃঙ্খলা, মস্তিক ও স্নায়ুর শক্তি
নিঃশেষিতের ফলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা এবং স্বাভাবিক বিকাশে রুদ্ধ ও নির্গমনে
নিবৃত্তি। শরীরময় এক প্রকার সুড়সুড় বোধ ও কম্পন। অপরাহ্নে, প্রাতরাশের পর,
সাধারণভাবে ঠান্ডায়, ঋতুস্রাবের আগে, সময়ে ও পরে, সঞ্চালনে, স্রাব ও
উদ্ভেদ চাপা পড়ায়, মিষ্ট আহারে ও দুধ পানে বাড়ে। খোলা বাতাসে, গোসলে,
ঋতুস্রাবকালে, শক্ত চাপে ও ঘর্ষণে, উদ্ভেদ বা স্রাব বেরোলে কমে। অস্হিরতা,
স্নায়বিকতা, বিষণ্নতা, শব্দে অত্যানুভূতি, উত্তেজনা, প্রলাপ, উচ্চ চিৎকার
করে, স্বল্পবাক, খিটখিটে, উত্তেজনাপ্রবণতা ও ধর্মানুরাগ। পদদ্বয়ের অস্হিরতা
বা পদসঞ্চালন। অবিরত পা নাড়াতে থাকে। হাঁটলে কোমরের লম্বার অঞ্চলে কট কট
শব্দ হয়।
♣ অনুভূতিঃ ১) গর্ভাবস্হায় মুখে রক্তের স্বাদ অনুভূব। ২) দাঁড়িয়ে থাকলে
মলদ্বারে খনন করার অনুভূতি, ভারবোধ, ওজন লাগে। ৩) রাতে বিছানায় থাকতে
সুড়সুড়ি বোধ হয়।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) যখন উদ্ভেদ ধীর গতিতে প্রকাশিত হয় তখন অজ্ঞান হয়ে
পড়ে। ২) মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা বসলে উপশম হয়। ৩) লিখতে গেলে ঘাড়ে দুর্বল
লাগে। ৩) ঋতুস্রাবকালে ঘুম থেকে চমকে ওঠে।
♣ প্রয়োগঃ জিঙ্কাম মেট এর আগে কখনও ক্যামোমিলা ও নাক্স-ভমিকা দেবেন না। — ডা. সি.সি. সরকার।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা জিঙ্ক প্রয়োগ করতে পারবো।
১) উত্তর দেয়: প্রথমে প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি করে- B= কস্টি, জিঙ্ক। C= অ্যাম্ব্রা, ক্যালি-ব্রো, সালফ।
২) চোখ বন্ধ করলে ( Closing eyes) উপশম- C= ক্যালি-কা, জিঙ্ক।
৩) দ্রুত ক্রিয়াশীল (Impetuous)- A= হিপার, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ সিপি। B= অ্যানাকা, ব্রায়ো, কার্বো-ভে, ক্যামো, ক্যালি-কা, ন্যাট্র-মি, স্ট্যাফি, সালফ জিঙ্ক।
৪) মনোভাব সুন্দর: পরিবর্তনশীল, অস্হির প্রভৃতি / পরিবর্তনশীলতা ( Changeable) / দৃঢ়তার অভাব ( Instability) / দ্বিধা ভাব ( Vacillation) – A= ইগ্নে, লাইকো, নাক্স-ভ, পালস, সার্সা, জিঙ্ক।
৫) ধর্মানুরাগ (Religious affection)- A= হায়োস, ল্যাকে, লিলি-টা, সালফ, ভিরেট, জিঙ্ক। B= আর্জ-নাই, আর্স, অরাম, বেল, ক্যাল্ক, কার্বো-ভে, ক্যামো, চেলিডো, গ্র্যাফ, ইগ্নে, ক্যালি-ফস, লাইকো, মেডো, মেজের, প্ল্যাটি, সোরিন, পালস, সিপি, স্ট্র্যামো।
৬) অনুশোচনা (Remorse)- A= কফি। B= আর্স, অরাম, বেল, ককুল কুপ্রা, ডিজি, হায়োস, ইগ্নে, মেডো, পালস, সাইলি, ভিরেট, জিঙ্ক।
৭) অস্হিরতা, স্নায়বিকতা (Restlessness, nervousness) /অস্হির (Fidgety) – অ্যাকোন, অ্যানাকা,আর্জ-নাই,আর্স,আর্স-আই,ব্যাপটি,বেল,ক্যাল্ক,ক্যাল্ক -ফস,ক্যাম্ফ,সিমিসি,সাইকু, কলো, কুপ্রা, কুপ্রা-আর্স,ফেরাম, ফেরা-আর্স, হায়োস, লাইকো, মার্ক, প্লাম্বা, পালস, রাস, সিকেলি,সিফি, সাইলি,স্ট্যাফি, স্ট্র্যামো, সালফ,ট্যারেন্টু,জিঙ্ক ।
৮) উচ্চ চিৎকার করে: ঘুমের মাঝে- A= বোরা, লাইকো, পালস, জিঙ্ক। B= অ্যাপিস, আর্জ-মে, অরাম, ব্রায়ো, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাপসি, ক্যামো, সিনা, ফ্লু-অ্যাসি, গুয়াই, হেলি, ম্যাগ-কা, ম্যাগ-মি, সালফ।
৯) কথা বলতে ইচ্ছে করে না, চুপ করে থাকতে চায়, স্বল্পবাক / নির্বাক ( Silent) – A= অরাম, কার্বো-অ্যানি, ককুল, গ্লোন, নাক্স-ম, ফস-অ্যাসি, ফস, প্ল্যাটি, পালস, সালফ, ভিরেট, জিঙ্ক।
১০) অপরাহ্নে (Afternoon) বাড়ে- A= বেল, ক্যালি-নাই, লাইকো, পালস, রাস, সিপি, সাইলি, সিনাপি-না, থুজা, জিঙ্ক।
১১) প্রাতরাশের ( Breakfast) পরে বাড়ে- A= ক্যামো, নাক্স-ভ, ফস, জিঙ্ক।
১২) নর্তন রোগ: ঋতুস্রাবকালে- A= জিঙ্ক।
১৩) ঝাঁকি দিয়ে ওঠা: পেশিগুলোতে- A= সাইকু, হায়োস, মেজের, সিপি, স্ট্র্যামো, সালফ, সাল-অ্যাসি, জিঙ্ক।
১৪) ঋতৃস্রাবের আগে ( Menses, before)- A= বোভি, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, কুপা, ল্যাকে, লাইকো, ন্যাট্র-মি, পালস, সিপি, সালফ, ভিরেট, জিঙ্ক।
১৫) ঋতুস্রাবকালে- A= অ্যামন-কা, আর্জ-নাই, বোভি, কার্বো-সাল, ক্যামো, গ্র্যাফ, হায়োস, ক্যালি-কা, ম্যাগ-কা নাক্স-ভ, পালস, সিপি, সালফ, জিঙ্ক ।
১৬) বার্ধক্যজনিত পক্ষাঘাত / অসাড়ভাব ( Paralysis agitans)- A= মার্ক, রাস, জিঙ্ক।
১৭) কাঁপা বাহ্যিকভাবে ( Trembling externally/ট্রেমবলিং এক্সটারন্যালি) – A- অ্যাম্ব্রা, অ্যান্টি-টা, আর্জ-নাই, আর্স, সাইকু, ককুল, কোনি, জেলস, ল্যাকে, মার্ক, ন্যাট্র-মি, ওপি, প্লাটি, পালস, রাস, স্ট্র্যামো, সালফ, থ্যারিডি, জিন্ক।
১৮) লাফানো ( Twitching) – A= অ্যাগারি, অ্যামন-মি, অ্যান্টি-ক্রু, অ্যাসাফ, ক্যাক্টা, হায়োস, ইগ্নে, আই, ক্যালি-কা, মেজের, ন্যাট্র-কা, স্ট্র্যামো, জিঙ্ক।