Opium (ওপিয়াম): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
♣ সমনামঃ পপী, অহিফেন, আফিম।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক, টিউবারকুলার।
♣ সাইডঃ ডানপাশ, বামপাশ, ওপরে বামপাশ।
♣ কাতরতাঃ গরমকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ শিশু ও বুড়ো যাদের পাতলা চুল, শিথিল মাংসপেশি ও দৈহিক উত্তেজনা থাকে না এরূপ লোকদের পক্ষে উপযোগী।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মন, অনুভূতি, স্নায়ুবিধান, মস্তিষ্ক, পৃষ্ঠবংশীয় মজ্জা,
নার্ভস-ব্রেন, সেরিব্রোস্পাইন্যাল, সিমপ্যাথেটিক, ফুসফুস, শ্বাস-প্রশ্বাস,
পরিপাক স্থল, হজম পথ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ হ্যানিম্যান বলেছেন যে, অন্যান্য সকল ওষুধ অপেক্ষা ওপিয়ামের
লক্ষণগুলো সংগ্রহ করা অধিকতর কঠিন কাজ। স্নায়ুমন্ডলের বোধশক্তিহীনতাই এটার
প্রধান কাজ।হোমিওপ্যাথি মতে ব্যবহারের জন্য এটার প্রধান লক্ষণ- উদ্যমহীনতা,
তন্দ্রাচ্ছন্নতা, ব্যথার অনুভূতিশূন্যতা, জড়তা, অবসাদ এবং প্রতিক্রিয়া
শক্তির অভাব। সকল অবস্থাতেই নিদ্রাচ্ছন্নতা এটার বিশেষ লক্ষণ।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজঃ বেশি মাত্রায় অথবা বার বার সেবনে তন্দ্রা এসে উপস্থিত
হয় এবং রোগী সামান্য তন্দ্রা হতে গভীর ঘুমে নিমগ্ন হয়ে পড়ে। আফিমের এ
প্রকার তন্দ্রাভাব মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়ার আধিক্যতা বশতঃ উৎপন্ন
হয়ে থাকে। কেবল যে মস্তিষ্কে বেশি রক্ত সঞ্চালন উৎপন্ন করেই এরূপ অবস্হা (
তন্দ্রাভাব) আনয়ন করে তা নয়- রক্ত যথাযথ ভাবে মস্তিষ্ক হতে হৃদপিন্ডে
সঞ্চালিত হতে বাধাপ্রাপ্ত বশতঃও হয়।
♣ সারসংক্ষেপঃ প্রতিক্রিয়াহীনতার ও উত্তেজনা প্রবণতার অভাব, বুড়ো,মোটা
রক্তপ্রধান ধাতু বিশিষ্ট ব্যক্তি। অর্ধনিমীলিত চোখ ও নিদ্রালুতা। যেনো
বাতাসের মাঝে ভেসে বেড়াচ্ছে যেনো মাতাল হয়েছে। মদে, বিছানায় শুলে, চর্মপীড়া
ও স্রাব চাপা পড়লে, ভয়, সূর্যাঘাতে, জাগরণে, ঘুমের শুরুতে, সময়ে ও পরে
বাড়ে। মুক্ত বাতাসে, আচ্ছাদনে, কফিপানে ও বমিতে কমে। ক্রোধ, মানসিক
দুর্বলতা, ঔদাসীনতা, ইন্দ্রিয়শক্তির মন্থরতা, অলসভাব, প্রলাপ, ভ্রান্ত
বিশ্বাস, প্রসন্নতা ও রসিকতা। নিদ্রাকালে নাসিকাধ্বনি বা গলার মাঝে ঘড়ঘড়
শব্দ। তার শ্রবণশক্তি এতো তীক্ষ্ণ যে দূরবর্তী শব্দেও তার অনিদ্রা দেখা
দেয়। ঋতুস্রাবকালে জরায়ুতে অসহনীয় ব্যথা হয়।
♣ অনুভূতিঃ ১) রাতজাগার পর হতে তার মাথায় ঘুম ঘুমভাবের একটি অনূভূতি। ২) নিম্নাঙ্গের বা ঊর্ধাঙ্গের শক্তি বাড়ার অনুভূতি।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) রাগের সাথে পর্যায়ক্রমে আনন্দ। ২) ঘুমাতে গেলে অনাবৃত থাকতে চায়।
< বৃদ্ধিঃ মদ জাতীয় উত্তেজক পদার্থে, নিদ্রাকারক ওষুধে, জাগরণে, ঘুমের
শুরুতে, সময়ে ও পরে, নিদ্রাহীনতা হেতু, গরমে, ট্রেনের কামড়ায় বা গাড়িতে,
বিছানায় শুলে, স্টোভ বা উনুনের গরমে, সূর্যাঘাতে, রোগের কথা চিন্তা করলে,
চর্মপীড়া ও স্রাব চাপা পড়লে, ঘাম হতে থাকলে।
> হ্রাসঃ ঠান্ডায় ক্রমাগত ভ্রমণে, আচ্ছাদনে, মুক্ত বাতাসে, বমিতে, পানি পানে, মলত্যাগের পর, খাদ্য : কফিপানে, ভিনেগারে।
♣ কারণঃ ভয়, নেশা, ক্রোধ, হঠাৎ আনন্দের কারণ, উত্তেজনা, ভীতি, স্রাব
নির্গমন বন্ধ হলে, সূর্যে, মদ, সীসা, কাঠ কয়লার গ্যাস বা ধোঁয়া, লজ্জা।
♣ ইচ্ছাঃ মদ, রুটি, মিষ্টি।
♣ অনিচ্ছাঃ মাংস, তামাক।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ অ্যাসি-অ্যাসে, অ্যাসি-মিউর, বেল, ক্যামো, সাইকু, কফি,
কুপ্রাম, জেলস, ইপি, মার্ক, নাক্স-ভ, পালস, ভিরেট, জিঙ্ক, কড়া কফিপানে।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ বেল, ডিজি, ল্যাকে, মার্ক, নাক্স-ভ, স্টিকনি, প্লাম্বা, স্ট্র্যামো, অ্যান্টি-টা।
♣ প্রয়োগঃ সবিরাম জ্বরের পর্যায়শীল অবস্হায় শীতাবস্হা চলাকালীন পরিমিত
মাত্রায় ওপিয়াম প্রয়োগে রোগীর জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা থাকে।—– ডা.
হ্যানিম্যান।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা ওপিয়াম প্রয়োগ করতে পারবো।
১) ক্রোধ : বিরক্তি প্রভৃতি পরবর্তী পীড়া হেতু- A= অ্যাকোন, ক্যামো, ককুল, কলো, ইগ্নে, ইপি, নাক্স-ভ, ওপি, স্ট্যাফি।
২.১) প্রলাপ (Delirium)- A= অ্যাগারি, আর্স, অরাম-ট্রি, বেল, ব্রায়ো, ক্যানা-ই, চেলিডো, হায়োস, ল্যাকে, লাইকো, নাই-অ্যাসি, ওপি, রাস, সিকেলি, স্ট্র্যামো।
২.২) প্রলাপ (Delirium)- ক্রোধোন্মাত্ত,গর্জনশীল- A= অ্যাগারি, বেল, ক্যান্থা, হায়োস, লাইকো, নাই-অ্যাসি,,ওপি স্ট্র্যামো, ভিরেট।
৩.১) ভ্রান্তবিশ্বাস : জীবজন্তু সম্বন্ধে – A= ওপি। B= আর্স, বেল, ক্যাল্ক, সিমিসি, ক্রোটেল, হায়োস, স্ট্র্যামো।
৩.২) ভ্রান্তবিশ্বাস : দেহ বাতাসের চেয়েও হালকা – B= ওপি। C= ল্যাকে, থুজা।
৪) স্বপ্ন দেখে : সুন্দর- A= ওপি। B= ক্যানা-ই।
৫) অলস ভাব: পড়ার সময়- A=অ্যালু, কোনি, ওপি । B= কার্বো-ভে, গ্লোন, ল্যাকে, লাইকো,ন্যাট্র-কা ফস-অ্যাসি, সালফ ।
৬) কল্পনায় ডুবে থাকে : সুখকর – A= ক্যানা-ই, ওপি।
৭) ভয় (Fright) হতে রোগ- A= অ্যাকোন, ইগ্নে, লাইকো, ন্যাট্র-মি, ওপি, ফস-অ্যাসি, ফস, পালস, সাইলি।
৮.১) ঔদাসীনতা,অনীহা,উৎসাহহীনতা (Indifference,apathy,etc.)/: শীতাবস্হায়- A= ওপি,ফস, ফস-অ্যাসি ।
৮.২) ঔদাসীনতা : কোনোরূপ অভিযোগ করে না-
A= ওপি, স্ট্র্যামো। B= হায়োস।
৮.৩) ঔদাসীনতা : জ্বর থাকাকালীন – A= কোনি, ওপি, ফস-অ্যাসি।
৮.৪) ঔদাসীনতা : আমোদ-প্রমোদে- A= হেলি, ন্যাট্র-মি, ওপি, সালফ।
৮.৫) ঔদাসীনতা : কষ্ট সম্বন্ধে – A= ওপি, স্ট্র্যামো।
৯) লাফ দেয় বিছানা হতে- A= চায়না, হায়োস, ওপি, স্ট্র্যামো।
১০) স্মৃতিশক্তি ক্রিয়াশীল ( Memory active)/ তীক্ষ্মবুদ্ধি ( Acuteness) – A= বেল, কফি, হায়োস, ল্যাকে, ওপি।
১১) অশিষ্ট ব্যবহার ( Rudenss)/ উদ্ধত ( Insolent) – A= লাইকো, ভিরেট।
১২.১) সংজ্ঞা তীব্র ( Senses) – A= আর্স, বেল, কফি, নাক্স-ভ, ওপি, ফস।
১২.২) সংজ্ঞা : খর্বতা- A= হেলি, নাক্স-ভ, ওপি।
১৩) রসিক ( Witty) – B= কফি, ল্যাকে, ওপি।
১৪) বেদনার স্বল্পানুভূতি : দেহের অভ্যন্তর দেশে- A= ওপি, প্ল্যাটি।
১৫) বাহ্য অঙ্গের কৃষ্ণবর্ণতা (Blackness) – A= আর্স, কুপ্রা, মার্ক, ওপি, সিকেলি, ভিরেট।
১৬.১) আক্ষেপ/ খিঁচুনি (Convulsions) – A= আর্স, আর্টি-ভাল, অ্যাট্রো, বেল, বিউফো, কস্টি, ক্যামো, সাইকু, সিনা, কুপ্রা, হায়োস, লোবে, নাক্স-ম, নাক্স-ভ, ওপি, প্লাম্বা, স্ট্র্যামো, স্ট্রিকনি।
১৬.২) আক্ষেপ: শিশুদের – A= আর্টি-ভা, বেল, সিনা, হেলি, ওপি, স্ট্যামো, ভিরেট, জিঙ্ক।
১৬.৩) আক্ষেপ : ক্ষণিক- A= অ্যাগারি, বেল, বিউফো, ক্যান্থা, ক্যামো, সাইকু, কুপ্রা, হায়োস, লাইসি, ওপি, প্লাম্বা, সিপি, স্ট্র্যামো।
১৬.৪) আক্ষেপ : মৃগীরোগ সদৃশ- উত্তেজনা হেতু- A= হায়োস, ওপি।
১৬.৫) আক্ষেপ : মৃগীরোগ সদৃশ- পেছনের দিকে- A= ওপি, স্পাইজে।
১৬.৬) আক্ষেপ : মৃগীরোগ সদৃশ- ভয় হতে- A= ক্যাল্ক, হায়োস, ইগ্নে, ইন্ডিগো, ওপি।
১৬.৭) আক্ষেপ : মৃগীরোগ সদৃশ- ( শিশুদের ক্ষেত্রে) মা ভয় পাওয়ার ফলে- ওপি।
১৭) নীলকৃষ্ণ রোগ ( Cyanosis) – A= ক্যাম্ফ, কার্বো-ভে, কুপ্রা, ডিজি, ল্যাকে, লরো,ওপি, ভিরেট।
১৮) বুড়ো ব্যক্তি – A= অ্যাম্ব্রা, অরাম, ব্যারা-কা, কোকা, ক্যালি-কা, লাইকো, ওপি, সিকেলি, সেলি।
১৯) বেদনাহীন উপসর্গে বেদনাপূর্ণ ( Painlessness of complaints ususlly painful)
A= হেলি, ওপি, স্ট্র্যামো।
২০) ঘুমের সময়ে বাড়ে (during)- A= আর্নি, আর্স, বেল, বোরা, ব্রায়ো, হিপার, হায়োস, মার্ক, ওপি, পালস, সাইলি।
২১) কাঁপা বাহ্যিকভাবে (Trinbling externally)- A= অ্যাম্ব্রা, অ্যান্টি-টা, আর্জ-নাই, আর্স, সাইকু, ককুল, কোনি, জেলস, ল্যাকে, মার্ক, ন্যাট্র-আর, ওপি, প্ল্যাটি, পালস, রাস, স্ট্যামো, সালফ, থ্যারিডি, জিঙ্ক ।