Ledum Pal (লিডামপাল): ডা.এইচ.সি.এলেন
(১) ঠান্ডা পানিতে বেদনা উপশম।
(২) নিম্নাঙ্গে রোগাক্রমন বা প্রথমে নিম্নাঙ্গে ও পরে উর্ধ্বাঙ্গে।
(৩) শোথ।
(৪) স্নায়ুকেন্দ্রে আঘাত।
#মূলকথাঃ
১। ব্যথা পায়ের পাতা হতে আরম্ব হয়ে উপরের দিকে উঠে।
২। শরীরের স্বাভাবিক উত্তাপের অভাব কিন্তু বাহিরের উত্তাপ সহ্য হয় না, পায়ের তলায় বরফ ঠান্ডা দিলে উপশম।
৩। আক্রান্ত স্থান লাল, ফোলা, শীতল অথচ উত্তাপ সহ্য হয় না।
৪। আঘাত প্রাপ্ত স্থান অত্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হয়।
৫। পায়ে অত্যন্ত বেদনা, বেদনার জন্য মাটিতে পা ফেলতে পারে না।
৬। উজ্জ্বল রক্ত¯্রাব জরায়ু বা ফুসফুস হতে।
# উপযোগিতাঃ
১। যাদের দেহ সর্বদা ঠান্ডা, যারা সর্বদা ঠান্ডা বা শীত অনুভব করে, যাদের জৈব উত্তাপের অভাব (সিপিয়া, সাইলি) তাদের ক্ষেত্রে উপযোগী। আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গ বা স্থান স্পর্শে প্রচণ্ড ঠান্ডা মনে হয় অথচ রোগী নিজে ঠান্ডা বুঝতে পারে না।
২। চোখ ও চোখের পাতায় চাপ ও আঘাত লেগে রক্ত জমে গেলে বা চোখের সাদা অংশে কালশিটে পড়লে অথবা চোখের ছানি অপারেশনের পর চোখের ভিতর রক্তস্রাব হয়ে রক্তজমা হলে উপযোগী।
৩। কপালে ও গালে লাল লাল ব্রণ বা ফোড়া জাতীয় কিছু হলে- তাতে ছোঁয়া লাগলে যেন হুলফোটানো যন্ত্রণা হয় সেক্ষেত্রে ব্যবহার্য।
৪। বাত ও গিটেবাত, নিম্নাঙ্গে ব্যথা শুরু হয়ে ব্যথা উপরদিকে উঠতে থাকে (নীচেনামে- কালমিয়া), বিশেষতঃ কলচিকাম অত্যধিক ব্যবহার করে রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে, হাড়ের সন্ধিগুলো বেড়ে যায় ও বাতজ ক্যালকুলাস (গুড়ো গুড়ো পাথরের মত পদার্থ) জন্মে, ব্যথা হয়- তরুণ বা পুরাতন অবস্থায় এই ঔষধ প্রযোজ্য।
৫। বাম কাঁধ ও ডান নিতম্ব বাতরোগে আক্রান্ত হয় (এগারি, এন্টি-টা, স্ট্র্যামো)। আক্রান্ত অঙ্গ শুকিয়ে যায় (গ্রাফাই)।
৬। ব্যথা ও যন্ত্রণা বিঁধে আছে এমন, ছিড়ে ফেলার মত, দপদপ করে- বাতের ব্যথা নড়াচড়ায় বাড়ে, রাতে বাড়ে, বিছানার গরমে বা গায়ে ঢাকা দিলে (মার্ক) বেড়ে যায়। শুধুমাত্র পায়ের পাত বরফ ঠান্ডা পানিতে রাখলে (সিকেলি) উপশম পায়।
৭। কোন কোন উপসর্গে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উত্তাপ ও জ্বালার জন্য বিছানার গরম অসহ্য মনে হয়। পায়ের পাতা ও গোড়ালীতে অসহ্য চুলকানি- চুলকালেও বিছানার গরমে ঐ চুলকানি বেড়ে যা (পালস, রাসটক্স)।
৮। স্ফীতি: পায়ের পাতা হতে হাঁটু অবধি ফোলে। হাঁটতে গেলে পায়ের গোড়ালীতে অসহ্য ব্যথা মনে হয়- যেন পা মচকে গেছে বা থেৎলে গেছে। পায়ের বুড়ো আঙুলের সামনের দিকে ব্যথা, ফুলে যায়। সহজেই পায়ের পাতা ও গোড়ালী মচকে যায় (কার্ব-এনি)।
৯। ছুঁচালো মুখওয়ালা কোন কিছুতে যথা- সূই, আলপিন, তারকাটা, পেরেক ইত্যাদি বিঁধে ক্ষত হলে (হাইপেরি), ইঁদূরে কামড়ালে বা পোকামাকড়ে হুলফোটালে বিশেষতঃ মশা কামড়ালে এঔষধ প্রয়োগে সেরে যায়।
১০। আঘাত লেগে দীর্ঘদিন যাবৎ চামড়াতে স্বাভাবিক রঙ ফিরে না এলে বা কালো ও নীলচে স্থানগুলো ক্রমশঃ সবুজ হয়ে গেলে এ ঔষধ ব্যবহার্য।
১১। আঘাতে তুলনীয়- আর্নিকা, ক্রোটন, হেমামে, বেলিস, রুটা। আঘাতের দীর্ঘস্থায়ী কুফলে তুলনীয়- কোনিয়াম।