Lachesis (ল্যাকেসিস): ডা.এইচ.সি.এলেন - Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

ফোনে অর্ডার দিতে: 01720000039 অর্ডার করার জন্য প্রোডাক্ট কোডটি লিখে কল বা SMS, Whatsapp, IMO করুন. সারা বাংলাদেশ কুরিয়ারে ডেলিভারি । Ginseng Alkushi Ashwagandha জিনসিং আলকুশি, অশ্বগন্ধা শিমুল

SUBTOTAL :
Lachesis (ল্যাকেসিস): ডা.এইচ.সি.এলেন

Lachesis (ল্যাকেসিস): ডা.এইচ.সি.এলেন

Short Description:

Product Description

 

Lachesis (ল্যাকেসিস): ডা.এইচ.সি.এলেন

#নিজস্বকথাঃ
(১) নিদ্রায় বৃদ্ধি।
(২) ঈর্ষা, স্পর্শকাতরতা ও বাচালতা।
(৩) বাম অঙ্গে রোগাক্রমণ বা প্রথমে বামদিকে পরে ডান দিকে।
(৪) নির্গমণে নিবৃত্তি।
#মূলকথাঃ
১। অত্যন্ত বাচাল, আনন্দ প্রিয়, ঠাট্টা প্রিয়, মহান ব্যক্তি হওয়ার অনুভূতি, ঈর্ষাপরায়ণ, সন্দেহবাতিক, ক্রমাগত কথা বলে, গান গায় ও শীষ দেয়, অপকার করার ইচ্ছা, প্রতিহিংসাপ্রবণ, থুথু দেয়, উপহাস করে, তার উপর কর্তৃত্ব সহ্য করতে পারেনা।
২। মানসিক ও শারীরিক সকল সমস্যা নিদ্রার সময় ও পরে বৃদ্ধি, ঋতুস্রাব শুরু হলে উপশম।
৩। চামড়ায় অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা, সামান্য স্পর্শও অসহ্য, বিশেষ করে গলায়।
৪। রোগ বামদিকে আরম্ভ হয়ে ডানদিকে যায়।
৫। সময়ের গোলমাল অনুভূতি হয়, সকালেকে বিকাল মনে হয়।
৬। কঠিন জিনিসের চেয়ে তরল পদার্থ গিলতে কষ্ট, শুধু ঢোক গিলতে আরও বেশী কষ্ট।
# উপযোগিতাঃ
১। চোখে-মুখে বিষণ্নতার ছাপ অল্প হলেও আছে, চোখ কালো, উৎসাহশূন্য ও আলসে প্রকৃতির রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী।
২। পিত্তপ্রধান মহিলাদের দেহে তিল ও আঁচিল থাকে, চুল লাল (ফসফো) এমনক্ষেত্রে উপযোগী।
৩। যারা রোগা, দেহ শুকিয়ে গেছে এবং দৈহিক ও মানকি উভয়দিকেরই পাল্টে গেছে তাদের পক্ষে উপযোগী।
৪। রজোনিবৃত্তিকালীন সময়ে চোখে-মুখে আগুনের হলকা লাগার মত ও গরম ঘাম বের হয়। মাথার ঠিক উপরে জ্বালা, মাথাযন্ত্রণা (স্যাঙ্গুনে, সালফ)। রজোনিবৃত্তিকালের রোগ থেকে বা সেই সময় থেকে আর কখনো ভালবোধ করেনি এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে উপযোগী।
৫। দীর্ঘদিনের শোক, দুঃখ, ভয়, রাগ, ঈর্ষা বা প্রেমে হতাশা এসব থেকে রোগ হলে প্রযোজ্য (অরাম, ইগ্নে, এসি-ফস)। মাতালদের মাথায় রক্তসঞ্চয়জনিত মাথাযন্ত্রণা ও অর্শরোগে ও চর্মে ইরিসিপেলাস হলে ও সন্ন্যাসরোগ হলে প্রযোজ্য।
৬। প্রধানতঃ রোগ লক্ষণ দেহের বাঁদিকে শুরু হয়ে ডানদিক আক্রান্ত হয়। অন্ডকোষ, ডিম্বকোষ বা বুকের বাঁদিকে অসুখ হলে প্রযোজ্য। ঘাড়ে বা কোমরে কোন আটোসাটো বাধন সহ্য করতে পারে না। অতিরিক্ত শীত বা গরমে অত্যন্ত দূর্বলতাবোধ করে।
৭। গলায়, পাকস্থলীতে, তলপেটে অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা। গলায় বা পেটে বিছানার চাদর বা পোষাকের ছোঁয়াও সহ্য করতে পারে না। এপিস ও বেলাডোনাতে যেরূপ ব্যথা-যন্ত্রণা অত্যনুভূতি থাকে সেরূপ থাকেনা তবে কাপড়ের ছোঁয়ায় সে অস্বাচ্ছন্দবোধ করে, তাকে স্নায়ুবিক করে তোলে।
৮। মাথাযন্ত্রণা: দুইকানের পাশে চেপে আছে বা ফেটে যাচ্ছে এমন যন্ত্রণা হয়- নড়াচড়ায়, চাপদিলে, সামনে ঝুঁকলে, শুয়ে থাকলে ও ঘুমের পরে ঐ যন্ত্রণা বাড়ে। ভয়ে ঘুমাতে যায় না কারণ ঘুম ভাঙ্গলেই মাথাযন্ত্রণা শুরু হবে। মাথায় রক্ত যেন ঠেলে উঠে, মদ খেলে, মানসিক আবেগে, ঋতুস্রাব চাপা পড়ে বা অনিয়মিত হয়ে ঐরূপ মাথাযন্ত্রণা হয়। বাঁদিকে সন্ন্যাসরোগ হলে ব্যবহার্য। মাথার উপরে চাপ ও ভারবোধ (সিপিয়া), শাথার পেছনে সীসার মত ভারবোধ।
৯। সবলক্ষণ বিশেষতঃ মানসিক লক্ষণ ঘুমের পর বাড়ে বা ঘুমের মধ্যেই বেড়ে গিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে, বৃদ্ধি অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়ে। অসুখী- যেন যাতনাগ্রস্থ, উদ্বিগ্ন, দুঃখিত। ঘুম থেকে জেগে উঠলে ঐ অবস্থা বেড়ে যায়।
১০। মানসিক উত্তেজনা, উল্লাস করে, ঐসাথে ভবিষ্যৎ বক্তার মত ভবিষ্যদ্বানী করে, কল্পণাশক্তি প্রবল, অত্যন্ত বকবক করে (এগারি, ষ্ট্র্যামো), সবসময়ই কথা বলা চাই, এক বিষয়ে কথা বরতে বলতে অন্য বিষয়ে চলে যায়। একটা কথা বলেই অন্য বিষয়ের গল্প করতে থাকে।
১১। কোষ্ঠবদ্ধতা: অন্ত্রের নিষ্ক্রিয়তা, মলদ্বারে মল জমে থাকে, কোন বেগ হয়না, মলদ্বার পেশীতে যেন সঙ্কোচনবোধ (কষ্টি, এসি-নাই)।অর্শরোগ সাথে স্বল্প ঋতুস্রাব, রজোনিবৃত্তির সময়ে অর্শরোগ, আটকে থাকার অনুভূতির সাথে ছূঁচফোটানো ব্যথা যেন উপরদিকে ঠেলে উঠছে (এসি-নাই)।
১২। মুখ বা নাকের কাছে কোন বস্তু থাকলেই শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয়। দূর হতে ও ধীরে ধীরে পাখার বাতাস থেকে চায় (দ্রুত পাখার বাতস চায়- কার্বভেজ)। ঘুম আসলেই নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে (এমন-কা, গ্রিন্ডেলিয়া, ল্যাক-ক্যা, ওপিয়াম)।
১৩। দেহ ও মনে অত্যন্ত দূর্বলতা, সর্বাঙ্গে কাঁপুনি, দূর্বলতার জন্য সর্বদা অবসন্নভাব- এসব সকালে বেড়ে যায় (সালফ, টিউবার)।ঘুমের মধ্যে মৃগীরোগ (বিউফে), জৈব পদার্থের অপচয়, হস্তমৈথুন করে বা ঈর্ষার কারণে মৃগী হলে ব্যবহার্য।
১৪। রক্তস্রাব প্রবণতা, সামান্য কেটে গেলে সহজেই প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হতে থাকে (ক্রোটে, ক্রিয়ো, ফস)। কালচে রক্ত ও জমাট বাঁধেনা (ক্রোটে, সিকেলি)।
১৫। ফোড়া, কার্বঙ্কল ও ঘা- এতে ভীষণ যন্ত্রণা (টেরেন্টুলা), সাংঘাতিক ফোড়া- তাতে পুঁজ হয়, বিষাক্ত ঘা। শয্যাক্ষত- কালচে, নীলাভ, বেগুনীবর্ণ ও সাংঘাতিক হবার প্রবণতা। শব কাটা-ছেড়া করে অসুখ হলে ব্যবহার্য (পাইরো)।
১৬। মূত্রথলীতে যেন একটি গোলাকার বস্তু গড়িয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে- এই অনুভূতি হয়।
১৭। জ্বর প্রতি বছর ফিরে ফিরে আসে, প্রতি শরৎকালের কুইনাইন চাপা জ্বর প্রতি বসন্তকালে ফিরে আসে (কার্বভেজ, সালফার)।
১৮। টাইফয়েড, টাইফাস জ্বরে নিদ্রাচ্ছন্নভাব, বিড়বিড় করে প্রলাপবকে। চোখ-গাল চুপসে যায়, নিচের চোয়াল ঝুলে পড়ে। জিহ্বা শুকিয়ে যায়, জিহ্বা কালচে, জিহ্বা কাঁপে- অতিকষ্টে জিহ্বা বের করে, জিহ্বা দাঁতে আটকে যায়। চোখের সাদা অংশ হলদে বা কমলা রঙ হয়ে যায়, ঠান্ডা ঘাম, কাপড়ে হলদে দাগ পড়ে। ঘামের সাথে রক্ত বের হয় (লাইকো)।
১৯। ডিপথেরিয়া ও টনসিল প্রদাহ, বাঁদিকে শুরু হয়ে ডানদিকে বেড়ে যায় (ল্যাক-ক্যান, স্যাবাডিলা)- তা ঘন বেগুনিবর্ণ হয়ে যায় (ন্যাজা)।গরম পান করলে ও ঘুমের পরে যন্ত্রণা বাড়ে। শক্ত অপেক্ষা তরল গিলতে বেশী কষ্টবোধ হয় (বেল, ব্রায়ো, ইগ্নে)। গলার অবস্থা দেখে যা মনে হয় সেই তুলনায় অবসন্নতা বেশী।
২০। অনুপূরক- হিপার, লাইকো, এসি-নাই। অনিষ্টকারক- এসি-এসে, এসি-কার্ব। সবিরাম জ্বরের প্রকৃতি পাল্টে গিয়ে ল্যাকেসিসের পর নেট-মির প্রয়োজন হয়। বৃদ্ধি: ঘুমের পরে, ছোঁয়া লাগলে, ঠান্ডা বা গরম বেশী হলে, অম্নদ্রব্যে, মদ খেলে, চায়না ও পারদের অপব্যহারে, চাপে বা পিষে গেলে, সূর্যের কিরণে, বসন্তকালে, গ্রীষ্মকালে রোগলক্ষণ বাড়ে।