Graphitis (graph) গ্র্যাফাইটিস
পরিচয়ঃ কার্বো-মিনারেলিস বা কাল সীসক, চলতি কথায় সুরমা বলে । ইহা একটি গভীর এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক ও এন্টিসিফিলিটিক ঔষধ ।
ধাতুগত বৈশিষ্ট্যঃ রোগীণি মোটা, গৌরবর্ণ, কিন্তু রক্তশূন্য । মোটা অথচ সুগঠিত দেহ, নখগুলি পুরু ও বিবর্ণ, গৌরবর্ণ, চর্মরোগের প্রবনতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, সহজেই শীতবোধ করে; বিলম্বিত ঋতুস্রাবের ঐতিহ্য, যাহাদের সহজেই ঠান্ডা লাগে।
Antidote food/ ঔষধের ক্রিয়ানাশক খাদ্য: কফি, কর্পূর, মিষ্টি ।
ক্রিয়ানাশকঃনক্স ভমিকা, একোনাইট, আর্সেনিক, চায়না।
- গ্রাফাইটিস মোটা / স্থুলু তবে দেহ শিথিল নহে। ঘাম কম হয় বলিয়া দেহ নরম নহে।
- নখ অত্যন্ত মোটা ও শক্ত।
- চর্ম ফাটা ও চটচটে রস।
- চর্মরোগ হইতে অত্যন্ত গাঢ় চটচটে রস নির্গত হয়।
- মোটাসোটা ও ক্রমেই মোটা হইবার প্রবণতা।
- মনের অবস্থাটি আশঙ্কা, ভীতি, বিষন্নতা এবং স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে অপারগতা।
-
মাছ, মাংশ, সঙ্গীত ও সঙ্গমে অনিচ্ছা।
গ্র্যাফাইটিস পুনঃপুনঃ প্রয়োগে রোগ বৃদ্ধি হয়, তজ্জন্য ২/৩ মাত্রা প্রয়োগ করিয়া ফলাফলের জন্য ১০/১৫ দিন অপেক্ষা করিতে হয়। এর মধ্যে সুফল পাওয়া না গেলে অন্য ঔষধ প্রয়োগ করা দরকার।
নিম্ন শক্তি অপেক্ষা উচ্চ শক্তিই অধিক ফলদায়ক।
গ্র্যাফাইটিসের পর অধিকাংশ পীড়ায় ফেরাম ফস প্রয়োগে উপকার হয় ।
কাতরতাঃ
শীতকাতর (প্রথম গ্রেড) : [Dr. Robert Gibson Miller এবং James Tyler Kent]
গরমকাতর (তৃতীয় গ্রেড) : [James Tyler Kent]
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি)
- এন্টি-সোরিক (প্রথম গ্রেড)
- এন্টি-সাইকোটিক (দ্বিতীয় গ্রেড)
- এন্টি-সিফিলিটিক (দ্বিতীয় গ্রেড)
- এন্টি-টিউবারকুলার (তৃতীয় গ্রেড)
মূল কথাঃ
- মনটি অতিশয় আশঙ্কা পরায়ণ-কি জানি কি হইবে-এমন আশঙ্কা।
- কোনও একটি পত্র বা সংবাদ আসিবার পূর্বে মনটি আরও চঞ্চল হয়-আশঙ্কা, না জানি কি সংবাদ।
- সর্বদাই হতাশা ও দুঃখ ভারাক্রান্ত মন।
- মুখমন্ডলটি যেন মাকড়সার জাল দ্বারা বেষ্টিত এবং সর্বদা হাত দ্বারা ঐগুলিকে মুছিবার চেষ্টা করে।
- কানের পশ্চাৎভাগে চটা-ঘা এবং সেখান হতে চটচটে রস বাহির হয়।
- অত্যন্ত সতর্ক ও সর্বদাই শঙ্কিত।
-
মাছ, মাংশ, সঙ্গীত ও সঙ্গমে অনিচ্ছা।
ব্যবহারস্থলঃ দেহের প্রায় সকল স্থানে বিশেষতঃ মুখে, কানের পশ্চাতে, কানের উপরে, চক্ষুর পাতায় ও জননেন্দ্রিয়ে ফুস্কুড়ির মত কিংবা কাউর ঘায়ের মত কোনও প্রকার উদ্ভেদ হইতে মধুর ন্যায় খুব চট্চটে্ রস নিঃসৃত হইলে ইহা অব্যর্থ মহৌষধ। একজিমার উপর মাছের আশেঁর মত কোন পদার্থ আবৃত থাকিলে; কানে একজিমা হইয়া ক্রমশঃ রস লাগিয়া মাথাটি জুড়িয়া যাইলে গ্র্যাফাইটিস উপকারী। ইহা সকল স্থানের একজিমায় উপযোগী হইলেও হাতের চেটোর উল্টাদিকের একজিমায় বেশি ফলপ্রদ। আক্রান্ত স্থানের চামড়া ফেটে যায়।
ক্রিয়াস্থলঃ চর্ম, লসিকা গ্রন্থি, পরিপাকযন্ত্র এবং জননেন্দ্রিয়ের উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া ।
উপশম/হ্রাসঃ অন্ধকারে উপশম, বস্ত্রাদির দ্বারা আবৃত করিলে উপশম, বিশ্রামে উপশম, আহারান্তে উপশম, উষ্ণ দুগ্ধপানে উপশম।
বৃদ্ধিঃ উত্তাপে, স্নান করলে, গরমে বৃদ্ধি, ঋতুকালের মধ্যে এবং পরে বৃদ্ধি, বায়ু সেবনে, রাত্রিকালে বৃদ্ধি।
ক্রিয়া স্থিতিকালঃ ৩৫-৫০ দিন।
ঔষধের পরিপন্থী বা অনিষ্টকর খাদ্য (Inimical food): ঠান্ডা পানীয়, ঠান্ডা খাদ্য, মিষ্টি, গরম খাদ্য ।
লক্ষণ সূত্রঃ এম, ভট্রাচার্য্য: পৃষ্ঠা-৪০০, এন, সি ঘোষ: পৃষ্ঠা-৩৩৭, উইলিয়াম বোরিক: পৃষ্ঠা-২২০, নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: পৃষ্ঠা-২২২, অতুল কৃষ্ণ দত্ত: পৃষ্ঠা-৪৬১, ই. এ. ফ্যারিংটন: পৃষ্ঠা-৩৮১, জেমস টেইলর কেন্ট: পৃষ্ঠা-৩৯৪, নীলমনি ঘটক: পৃষ্ঠা-৩৫১, ই. বি ন্যাশ: পৃষ্ঠা-৩৬৮, জে এম মিত্র: পৃষ্ঠা-৩৮৭, এস কে সাহা: পৃষ্ঠা-২২৬, এইচ. সি এলেন: পৃষ্ঠা-১২৬, জন হেনরি ক্লার্ক: পৃষ্ঠা-৭০২ ।