নিজস্বকথাঃ
(১) শরৎকালীন অসুস্থতা (কলচি, কেলি বাই, ল্যাকে)।
(২) ঠান্ডা লাগিয়া প্রস্রাবের বেগ বা শ্লেষ্মার প্রকোপ।
(৩) উত্তাপে ও অস্থিরতায় উপশম।
(৪) ঘর্ম বা চর্মরোগ চাপা দেয়ার কুফল (শোথ)।
#মূলকথাঃ
১। দাম্ভিক ও সহজে নতিস্বীকার করবে না এমন ব্যক্তি।
২। ঠান্ডা ও স্যাঁৎসেঁতে স্থানে অসুস্থ।
৩। স্যাঁৎসেঁতে স্থানে শুয়ে থাকার ফলে অসুস্থ।
৪। ভিজা মাটি বা জলীয় আবহাওয়ায় উদরাময়।
৫। হঠাৎ গরম হতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় পরিবর্তনে রোগ।
৬। শরীরে উত্তাপ লাগলে রোগের উপশম অনুভূত হয়।
৭। ঠান্ডা লেগে হঠাৎ ঘাম বন্ধ হয়ে শোথ ও অন্যান্য অসুস্থতা।
৮। ঋতুস্রাবের পূর্বে শরীরে আমবাত দেখা যায়।
# উপযোগিতাঃ
১। সহজেই সর্দি-কাশি ও গ্লাণ্ডের অসুখে ভোগে, অস্থিরতা ও সহজেই উত্তেজিত হয় এমন লোকের পক্ষে উপযোগী। সর্দি হয়ে বাতরোগ ও চর্মরোগ হয়।
২। ঠান্ডা, ভেজা ও বর্ষাকালের আদ্র বাতাস গায়ে লেগে বা হঠাৎ আবহাওয়া ঠান্ডা
থেকে গরম হয়ে উঠলে (ব্রায়ো) রোগ লক্ষণ দেখা দেয় বা বেড়ে যায়।
৩। ঠান্ডা লেগে ঘাম বসে গিয়ে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি হতে স্রাব বেড়ে যায়। যেমন- সর্দি-কাশি, চোখে পিচুটি বা আমাশয় ইত্যাদি।
৪। যারা ঠান্ডা মেঝেতে বা ঠান্ডা স্থানে বাস করে বা কাজ করে (এরানিয়া, আর্স, নেট-সালফ) তাদের অসূখে উপযোগী।
৫। গায়ের চামড়া কোমল, ঠান্ডা অসহ্য, চর্মোদ্ভেদ বিশেষ করে আমবাত হওয়ার
প্রবণতা থাকে, যতবার সর্দি হয় ও গায়ে ঠান্ডা লাগে ততবারই চর্মোদ্ভেদ দেখা
দেয়। সর্বাঙ্গে আমবাত বের হয়, জ্বর থাকে না, চুলকানি থাকে, চুলকালে জ্বালা
করে, গরমে বাড়ে, ঠান্ডায় কমে।
৬। মানসিক বিশৃঙ্খলা, মনের ভাব প্রকাশ করার উপযুক্ত শব্দ খুজে পায় না।
৭। কাপুনী দিয়ে জ্বর, বাত ও স্কারলেট জ্বর হয়ে সারা দেহে ভয়ঙ্কর শোথরোগ বা
ফুলে যায়। ঘাম বন্ধ হয়ে চর্মোদ্ভেদ চাপা পরে বা ঠান্ডা লেগে সর্বাঙ্গীন
সাধারণ শোথ হলে ব্যবহার্য।
৮। উদরাময়: ভেজা জায়গায় থেকে ঠান্ডা লেগে, ভেজা কুয়াসা পূর্ণ আবহাওয়ায়, গরম আবহাওয়া পরিবর্তিত হযে ঠান্ডা হলে দেখা দেয় (ব্রায়ো)।
৯। যুবকদের বা উঠতি বয়সের বালকদের সর্দি হয়ে প্রস্রাব কমে যাওয়া- প্রস্রাব
দুধের মত সাদা, ঠান্ডা পানিতে খালি পায়ে হাটার ফলে ঐরূপ প্রস্রাব বা অসারে
প্রস্রাব হয়।
১০। ঋতুস্রাবের আগে গায়ে উদ্ভেদ দেখা দেয় (কোনি),(ঋতুস্রাব বেশি হয়ে উদ্ভেদ বের হয়= বেল, গ্রাফাই)।
১১। মাথার চামড়ায়, মুখে, কপালে, টেম্পলে (কানের লতির ঠিক উপরে), চিবুকে, ঘন
বাদামী হলদে রঙের মামড়ি পড়ে- মামড়ির ধারগুলো লালচে, চুলকালে রক্ত বের হয়।
১২। মুখে, হাতের উল্টেপিঠে, হাতের আঙুলে- বড়, মসৃন, মাংসল আচিল দেখা যায় (থুজা)।
১৩। অনুপূরক- ব্যাটাইটা-কার্ব ও কেলি-সালফ। ক্যাল্কে, ব্রায়ো, লাইকো,
রাসটক্স, সিপিয়ার পর ভাল খাটে। অনিষ্টকারক- এসিড, বেল ও ল্যাকেসিস।
১৪। সমগুণ: লালাস্রাব, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ব্রঙ্কাইটিস, উদরাময়, আবহাওয়ার
পরিবর্তনে অসুস্থ হওয়া ও রাতে ব্যথা বেদনা বেড়ে যাওয়া লক্ষনে মার্কসল এর
সদৃশ। কেলি-সালফ এর সদৃশ কারণ এ ঔষধ রাসায়নিক সদৃশ। পারদের কুফল বা
অপব্যবহারে এই ঔষুধ ব্যবহৃত হয়।
১৫। সাধারণত ঠান্ডায়, ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা ভেজা আদ্র বাতাসে, ঋতুস্রাব,
চর্মোদ্ভেদ ও ঘাম বন্ধ হলে রোগ লক্ষণ বেড়ে যায়। হাটা-চলায় উপশম (ফেরাম,
রাসটক্স)।