Clematis Erecta (ক্লিমেটিস ইরেকটা): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
Clematis Erecta (ক্লিমেটিস ইরেকটা)।
♣ সমনামঃ আপরাইচ ভার্জিনস বাওয়ার।
♣ কমননামঃ ভার্জিনস বাওয়ার।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক।
♣ সাইডঃ বামদিক, ডানদিক(নিচে)।
♣ কাতরতাঃ উভয়কাতর।
♣ উপযোগিতাঃ গণ্ডমালা দোষযুক্ত, বাতরোগযুক্ত, গনোরিয়া সিফিলিস ও স্ক্রোফুলা রোগযুক্ত রোগী। বিশেষ করে চামড়া, গ্রণ্হিগুলো, জননেন্দ্রিয় ও প্রস্রাব সম্বন্ধীয় যন্ত্র, বিশেষ করে অণ্ডদ্বয়ের ওপর কাজ করে। বাধাপ্রাপ্ত ঘুম ও শরীরের বিভিন্ন অংশের স্নায়শূলের ওপর ভালো কাজ করে।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ চামড়া, লিম্ফ্যাটিক গ্ল্যান্ড, মূত্রযন্ত্র, স্নায়ুশূল, গর্মী, প্রমেহ ও স্ক্রুফুলাধাতু, অণ্ডকোষ, স্তন, ওভারি, গনোরিয়া/সিফিলিস রোগে, ডানদিক।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ রেনানকুলেসি গোত্রের অন্যান প্রজাতির মতো ক্লিমেটিস একটি উদ্দীপকে পদার্থ যা চামড়ার ওপর প্রদাহ ও ফুস্কুড়ি উৎপন্ন করে। প্রমাণের সময় মাথার বাইরে(বাম), চোখ ও দাঁত(বাম), চামড়া, প্রস্রাবযন্ত্র এবং পুংজননযন্ত্রে সবচেয়ে বেশী লক্ষণ প্রকাশ পায়।
♣ সারসংক্ষেপঃ গণ্ডমালা দোষযুক্ত, বাতরোগযুক্ত, গনোরিয়া সিফিলিস ও স্ক্রোফুলা রোগযুক্ত রোগী। প্রস্রাবদ্বারের সঙ্কীর্ণতা এবং থেমে থেমে প্রস্রাব। গ্রন্হি বা গ্ল্যান্ড ফুলে পাথরের মতো শক্ত হয়ে ওঠে। পেশিগুলোতে আকস্মিভাবে আপনা হতে কম্পিত হওয়া; শরীরের মাঝে স্পন্দিত হবার অনুভূতি। রাতে, শয্যার উত্তাপে, গোসলে, পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় বাড়ে। শীতল পানীয়ে, খোলা বাতাসে, চুলকালে ও চোখের রোগে গরমে কমে। লোকসঙ্গ বিতৃষ্ণা: তবু রোগী একা থাকলে ভয় পায়, অলসভাব, খিটখিটে, উত্তেজনাপ্রবণতা, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, বিষণ্নতা, মানসিক কাজে আসক্তি ও গৃহকাতরতা। গোসলে ভীতি, নিদ্রালুতা, মূত্রত্যাগকালে মূত্রনালি ও লাম্বার অঞ্চলে কামড়ানোমতো ব্যথা হয়।
♣ অনুভূতিঃ ১) অনুভূতি যেনো চোখের মাঝদিয়ে আগুনের মতো গরম বেরোচ্ছে। ২) পেশিগুলোতে আকস্মিভাবে আপনা হতে কম্পিত হওয়া; শরীরের স্পন্দিত হবার অনুভূতি ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) চোখ হতে ঝাঁঝালো বা হাজাকর পানি পড়ে। ২) রাতে অণ্ডকোষ প্রদাহ হয়। ৩) গরম বিছানায় অণ্ডকোষের প্রদাহ বেড়ে যায় ।
< বৃদ্ধিঃ বেলা ৩টায়, গোসলে, খাদ্য: রুটিতে, শীতল পানীয়ে, বিছানায় শুলে, চাপ দিলে ব্যথাহীন স্হানে ব্যথা বাড়ে, তামাকে, গনোরিয়া শয্যাতাপ, রাতে, তামাকে, ঠাণ্ডা পানিতে ধৌত করলে, ঠাণ্ডা বাতাসে (চোখের পীড়া), পারদ, কফি, পূর্ণিমা ও অমাবস্যায়, স্পর্শে, সঞ্চলনে, ঘামে, উজ্জ্বল আলোকে, শরীরের যেদিকে ব্যথা সেদিক চেপে শুলে।
> হ্রাসঃ শীতল পানীয়ে, শুয়ে থাকলে উপশম পরে বাড়ে, একপাশে চেপে শুলে, চাপে, খাবার পর, ঘামে, খোলা বাতাসে, চুলকালে, মুখে ঠাণ্ডা পানি রাখলে, ঠাণ্ডা পানিতে, চোখের রোগে গরমে।
♣ কারণঃ গনোরিয়া চাপ পড়া, গৃহকাতরতা, সূর্যালোকে থাকার ফলে, পারদের অপব্যহার, ভেজালাগা, ভিজে যাওয়া।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ ব্রায়ো, ক্যাম্ফ, ক্যামো, অ্যানাকা, ক্রোটন-টিগ, রাস,র্যানান-বাল্ব, র্যানানকুলাস।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা ক্লিমেটিস প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) লোকসঙ্গ বিতৃষ্ণা: তবু একা থাকলে ভয় পায়- B= ক্লিমে, কোনি, ন্যাট্র-কা, সিপি। C= বিউফো, ইল্যাপ্স, ক্যালি-ব্রো, লাইকো।
২) ভয় : একাকি থাকলে- A= আর্জ- নাই, আর্স, ক্রোটন, হায়োস, ক্যালি-কা, লাইকো, ফস। B= অ্যাপিস, ক্যাম্ফ, ক্লিমে, কোনি, ইল্যাপ্স, জেলস, ক্যালি-ফস, ল্যাক-ক্যান, লাইসি, পালস, সিপি, স্ট্র্যামো।
৩) ভয়, দুর্বিপাকের- A= চিনি-সাল, ন্যাট্র-মি, সোরিন। B= অ্যানাকা, ক্যাল্ক, ক্লিমে, গ্র্যাফ, আই, পালস ।
৪) বাইরে যেতে বিতৃষ্ণা (Going out, aversion to)- B= সাইক্লে। C= অ্যামন-কা, অ্যান্হেমি, ক্লিমে, হাইড্রা।
৫) গৃহকাতরতা (Home, sickness)- A= ক্যাপসি, কার্বো-অ্যানি, ফস-অ্যাসি। B= অরাম, কস্টি, ক্লিমে, ইগ্নে, ক্যালি-ফস, মার্ক, ন্যাট্র-মি, সাইলি, স্ট্যাফি।
৬) পরিশ্রমী (Industrious)/ কর্মশীলতা (Activity), ইচ্ছে করে- A= অরাম, ট্যারেন্টু। B= ব্যারা-কা, হায়োস, ইগ্নে, ল্যাকে, ওপি, সিপি । C= অ্যাগারি, আর্নি, আর্স, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাপসি, সিরিয়াস, চায়না, ক্লিমে, ককুল, ডিজি, ইন্ডিগো, ইপি, ক্রিয়ো, লিডাম, ম্যাগ-কা, মেজের, মস্কাস, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-সাল, ফস, পাইপা-মে, প্লাম্বা, রাস, স্ট্যানা, সাল-অ্যাসি, ভিরেট।
৭) মানসিক কাজে আসক্তি/অধ্যয়ন (Study)- A= ট্যারেন্টু। B= ব্রোমি। C= অ্যানান্থে, অ্যালোজ, আর্নি অরাম, ব্যাডি, কার্বো-অ্যাসি, চায়না, ক্লিমে, কোবাল্ট, ক্রোকা, জেলস, লরো, ন্যাজা, রাস, সেনেগা, সালফ, থেরিডি।
৮) গোসলে (Bathing) ভীতি- A= অ্যামন-কা, অ্যান্টি-ক্রু, ক্লিমে, সোরিন, রাস, সিপি, স্পাইজে, সালফ।
৯) গোসলে বাড়ে- A= অ্যামন-কা, অ্যান্টি-ক্রু, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ক্লিমে, রাস, সিপি, সালফ।
১০) গনোরিয়া (Gonorrhdea)- অবরুদ্ধ- B= ক্যাল্ক, ক্লিমে, নাই-অ্যাসি, পালস, সার্সা, স্ট্যাফি। C= অ্যাগ্নাস, অরাম, ব্যানজো-অ্যাসি, ব্রোমি, ক্রোটেল, ড্যাফ, ক্যালমি, মেডোর, মার্ক, মেজের, থুজা, ভিরেট, জিঙ্ক।
১১) ভারবোধ, বাহ্যিভাবে ( Heaviness, externnally) – A= ইস্কু, বেল, ব্রায়ো, ক্লিমে, কোনি, জেলস, নাক্স-ভ, ফস, পালস, রাস, সিপি , স্পাইজে, স্ট্যানা, সালফ।
১২.১) কঠিনতা ( Indurations) / শক্তভাব ( Hardness) – A= ব্যাডি, বেল, ক্যাল্ক-ফ্লু, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-ভে, চায়না, ক্লিমে, কোনি, ল্যাকে, ম্যাগ-মি, ফস, রাস, সেলি, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি।
১২.২) কঠিনতা : গ্রন্হিগুলোতে – A= ব্যাডি, ব্যারা-মি, বেল, ব্রোমি, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফ্লু, কার্বো-অ্যানি, ক্লিমে, কোনি, আই, ফাইটো, স্পঞ্জি, সালফ।
১৩.১) প্রদাহ : হাড়গুলোতে – A= ক্লিমে, ফ্লু-অ্যাসি, মার্ক, মেজের, ফস-এসিড, পালস, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি।
১৩.২) প্রদাহ : গ্রন্হিগুলোতে – A= ব্যারা-মি, বেল, ক্যাল্ক, ক্লিমে, মার্ক, ফস, সালফ।
১৪) শিহরিত হওয়া ( Quivering) – A= বেল, ক্যাপসি, কোনি, সালফ। B= অ্যামন-কা, ক্যাল্ক, ক্লিমে, নাই-অ্যাসি, সিপি।
১৫) বামদিক ( Left) – A= আর্জ-নাই, অ্যাসাফ, অ্যাসার, ক্যাপটিস, সিনা, ক্লিমে, ক্রোকা, গ্র্যাফ, ক্রিয়ো, ল্যাকে, স্যালে, সিপি, স্কুই, সালফ।
১৬) সাধারণ ফোলা: গ্রন্হিগুলোতে (glands)- A= আর্স-আই, ব্যারা-কা, ব্যারা-আই, ব্যারা-মি, বেল, ব্রোমি, ক্যাল্ক-আই, ক্যাল্ক-সাল, ক্যাপসি, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-ভে, সিস্টা, ক্লিমে, ডালকা, গ্র্যাফ, হিপার, আই, লাইকো, মার্ক, মার্ক-কর, নাই-অ্যাসি, ফস, প্লাম্বা, রাস, সাইলি, স্পঞ্জি, স্কুই, সালফ, থুজা।
১৭) ভেজালাগা ( Wet applications) – A= ক্যাল্ক, ক্যামো, ক্লিমে, রাস, সাইলি।