Caulophylum (কলোফাইলাম) গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
Caulophylum (কলোফাইলাম থ্যালিকট্রোয়িডস)।
♣ সমনামঃ ব্ল্য কোহোশ, স্কোয়াউ রুট,
♣ মায়াজমঃ সাইকোটিক।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ স্ত্রীলোকদের এটি বেশি প্রয়োগ হয়। গর্ভাশয়ের পেশির স্হিতিস্হাপক ও জৈব উত্তাপের অভাব। প্রসবকালে যখন ব্যথা মিলিয়ে যায় এবং রোগী অত্যন্ত অবসন্ন ও খিটখিটে হয়ে পড়ে তখন উপযোগী। আঙুলের এবং আঙুলের সন্ধিস্হলের বাতের বিশেষতঃ স্ত্রীলোকদের এবং অন্তঃসত্ত্বাবস্হায় বেশি উপযোগী।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ স্ত্রী-যৌনাঙ্গ, স্নায়ুমণ্ডলী, মাংসপেশি, ঘাড়, নিম্নাঙ্গ, ছোট ছোট সন্ধিস্হল, জরায়ু।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ কলোফাইলাম একটিয়া রেসিমোসার কাছাকাছি। যদিও গাছ দুটি আলাদা গোত্রভূক্ত। এটি উল্লেখযোগ্যভাবে স্ত্রীজননতন্ত্র ও বাতের ওপর ক্রিয়া করে। বাতরোগে কলোফাইলামের বিশেষ ক্ষেত্র হলো ছোট সন্ধি ও মাংসপেশিতে। এর বিশেষ ক্রিয়াক্ষেত্র হচ্ছে প্রসব ক্ষেত্রে-০১. যখন ব্যথা নিয়মিত আসে না; ০২. যখন ব্যথা অদৃশ্য হয়ে যায় বলক্ষয়ের পর; এবং ০৩. রোগী যখন মারাত্মক ব্যথা কাতর হয়ে পড়ে।
♣ সারসংক্ষেপঃ জরায়ু পীড়াগ্রস্তদের রোগী ও জৈব উত্তাপের অভাব। ছোট সন্ধির ও স্হান পরিবর্তনশীল বাতজব্যথা। জরায়ুতে রক্তসঞ্চয়ের অনুভূতি। রাত ১টায়, ঋতুস্রাবের সময়ে, মাসিক অবরুদ্ধে, গর্ভাবস্হায় ও কফি পানে বাড়ে। উত্তাপে, ঘরের মাঝে ও পেটের বায়ু বের হলে কমে। অনিদ্রা ও অস্হিরতা, অত্যন্ত নার্ভাস প্রকৃতির স্ত্রীলোক, গর্ভপাতের পর ও মাসিকের সময় উত্তেজনাপ্রবণ। ছোট ছোট মেয়েদের প্রদরস্রাব। পিপাসার সাথে প্রসবব্যথা। ঋতুস্রাবের গোলযোগ অথবা গর্ভপাত প্রবণতার যুগপৎ সম্মিলন।
♣ অনুভূতিঃ জরায়ুতে রক্তসঞ্চয়ের অনুভূতি।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) গর্ভপাতের ক্ষেত্রে মানসিক উত্তেজনা বা খিটখিটে মেজাজ।
২) ভ্রুণের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়।
৩) পিপাসার সাথে প্রসবব্যথা।
< বৃদ্ধিঃ বিকেলে, সন্ধ্যাকালে, রাত ১টায়, ঋতুস্রাবের সময়ে (আক্ষেপ), মাসিক অবরূদ্ধে, খোলা বাতাসে, গর্ভাবস্হায়, কফি পানে।
> হ্রাসঃ উত্তাপে, ঘরের মাঝে, পেটের বায়ু বের হলে।
♣ কারণঃ গর্ভাবস্হায়, প্রসবকালে, স্তনদানকালে, জরায়ুবিকৃতি।
♣ ইচ্ছাঃ প্রচণ্ড পানি পিপাসা এবং ক্ষুধার্থ।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ কফিয়া।
♣ প্রয়োগঃ সংকটময় অবস্হায় অল্প সময়ের ব্যবধানে ঘন ঘন প্রয়োগ করা উচিৎ। বিশেষ বিশেষ প্রবণতা দূর করার জন্য দীর্ঘ ব্যবধান অন্তর।– ডা. কে. এন. মাথুর
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা কলোফাইলাম থ্যালিকট্রোয়িডস প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) অস্হিরতা: রাতে- A= আর্স, কস্টি, হায়োস, ক্যালি-আর্স, ক্রিয়ো, লাইকো, মার্ক, পালস, রাস। সালফ। B= অ্যাপিস, আর্জ-মে, আর্জ-নাই, আর্স-আই, ব্যাপটি, বেল, ক্যাল্ক, কার্বো-ভে, কলোফা, ক্যামো, সিস্টা, সাইকু, সাইক্লে, ফেরাম, গ্র্যাফ, ইগ্নে, আইরি, ক্যালি-ব্রো, ল্যাক-ক্যান, ম্যাগ-মি, মেডো, মার্ক-কর, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-আর্স, ফস, পডো, র্যানান-বা, র্যানান-স্ক্লে, সিপি, টিউক্রি, ভ্যালের।
২) রাত ১টায় বাড়ে- C= আর্স, কলোফা, ককুল, ল্যাকনেণ্হ, ম্যাগ-মি, মিউ-অ্যাসি,সোরিন।
৩) আক্ষেপ: ঋতুস্রাবের সময়ে- A= ওনান। B= আর্জ-নাই, বেল, কলোফা, সিড্রন, সিমিসি, ককুল, কলিন, কুপ্রা, হায়োস, ইগ্নে, ক্যালি-ব্রো, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, প্ল্যাটি, সিকেলি, সালফ, জিঙ্ক।
৪) জৈব উত্তাপের অভাব, (Heat, flashes of) – A= অ্যারেনি,আর্স,ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-আর্স, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাম্ফ, কার্বে-অ্যানি, কস্টি, সিস্টা, ক্রোটেল-ক্যাস্ক, ডালকা, ফেরাম,গ্র্যাফ, হেলি,হিপার, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-বাই, ক্যালি-কা , ক্যালি-ফস, লিডাম, ম্যাগ-ফস, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস-অ্যাসি, ফস,সোরিন,পাইরো,রাস,সাইলি। B= ইস্কু, অ্যাগারি, অ্যালু, অ্যালুমেন, অ্যামন-মি, অ্যান্টি-ক্রু,,আর্জ-মে, আূজ-নাই, আর্স-আই, অ্যাসের, অরাম, ব্যারা-মি, ব্রোমি, ক্যাল্ক-ফ্লু, ক্যাল্ক-সাল, কার্বো-সাল, কার্বো-ভে, কলোফা, চেলিডো, চায়না, সিমিসি, সিন্নাবে, ককুল, ইল্যাপ্স, ফেরা-আই, গুয়াই, ইপি, ক্রিয়ো, ল্যাকে, ল্যাক-ডি, লাইকো, ম্যাগ-কা, ম্যাঙ্গে, মেডো, মার্ক, মেজের, মস্কাস, ন্যাজা, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-মি, ন্যাট্র-ফস, নাক্স-ম, ওলি-জ্যা, পেট্রো, প্লাম্বা, র্যানান-বা, রডো, রিউমেক্স, স্যাবাডি, সিমিসি, স্পাইজে, স্ট্যানা, স্ট্যাফি, স্ট্রনসি, সালফ, সাল-অ্যাসি, স্যাম্বুল, ট্যারেন্টু, থেরডি, থুজা, টিউবার।
৫) ব্যথা: টেনে ধরার মতো- A= কার্বো-ভে, চেলিডো, কলো, গ্র্যাফ, নাই-অ্যাসি, ভ্যালের, B= অ্যাকোন, ব্রায়ো, ক্যাম্ফ, কলোফা, গ্যাম্বো, ম্যাঙ্গে, ওলিয়ে, পালস।