Borax (বোরাক্স): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
♣ কমননামঃ বাই বোরেট অফ সোডিয়াম।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, টিউবারকুলার।
♣ সাইডঃ ডানপাশ, ওপরে ডানপাশ নিচে বামপাশ।
♣ কাতরতাঃ গরমকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ যে সব যুবতীদের নাকের আগা উজ্জ্বল লালবর্ণ, চেহারা অনুজ্জ্বল (দুগ্ধদায়িনী মহিলাদের), মলিন ও মাটির মতো, মুখমণ্ডলের ডানপাশে অনুভূতি যেন একটি মাকরশার জালে আবৃত, মুখের কোণের মাংসপেশির কম্পন। ক্ষত: ধীরে সরছে। স্নায়বিক প্রকৃতির লোক। স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ পুষ্টি, নার্ভ, মিউকাস মেমব্রেন, মুখ, চর্ম, কিডনি, মূত্রথলী, মাথার পেছনদিক, মুখাভ্যন্তর অন্ত্র, গর্ভাশয়, যোনিপথের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, শ্বাসপথ, রক্ত, মলদ্বার ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- হঠাৎ কোনো শব্দের প্রতি আতঙ্কভাব। নিচের দিকের গতি অসহ্য। প্রদাহিত যে স্হানে ক্ষতের সৃষ্টি হয় সে স্হান অত্যন্ত গরম। ক্ষত হতে প্রচুর স্রাব নির্গত হয়। স্রাব ঝাঁঝালো ও হাজাকর। এটি শিশু ও মহিলাদের ওপর অধিক ক্রিয়া করে।
♣ সারসংক্ষেপঃ যে সব যুবতীদের নাকের আগা উজ্জ্বল লালবর্ণ, চেহারা অনুজ্জ্বল ও স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু। স্নায়বিক প্রকৃতির রোগীদের পরিপোষণ ক্রিয়ার দুর্বলতা হেতু রোগোৎপত্তি। পাকস্হলী ও খাদ্য যন্ত্রাদি পথের কোমল আবরণীর ওপর অস্বাভাবিক উত্তেজনা উপস্হিত করে। বেশি পরিমাণে পাতলা, গরম, সাদা চটচটে, ঝাঁঝালো ও হাজাকর স্রাব। ঘুমের সময়ে, স্পর্শে, নিম্নগতিতে, ঋতুস্রাবের পরে, মল ও প্রস্রাব ত্যাগের আগে বাড়ে। চাপে, শীতল পানীয়ে ও মলত্যাগের পর কমে। ভয় (নিম্ন গতিতে, শব্দে ও রোগসংক্রমণের), চমকে ওঠে, অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ, উচ্চ চিৎকার করে ও কাঁদে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হাতের অঙ্গভঙ্গী করে, ঘুমের মাঝে মা-কে আঁকড়ে ধরে। চুলে জটা ও আগা ফাটা।
♣ অনুভূতিঃ ১) স্তনে শূন্য বা খালি বোধ। ২) সাদাস্রাবের ক্ষেত্রে এরূপ অনুভূতি যেনো গরম পানি নিচের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতের অঙ্গভঙ্গী করে, ঘুমের মাঝে মা-কে আঁকড়ে ধরে। ২) শরীরের বাহ্যিক অংশে কম্পন ; হাঁচিতে বাড়ে। ৩) দুধপায়ী শিশুদের মাথা গরম থাকে।
< বৃদ্ধিঃ প্রাতে, পূর্বাহ্নে, সকাল ১০ টায় (মাথাব্যথা), সন্ধাকালে, রাত ৩টায়, সাধারণভাবে ঠাণ্ডায়, শুষ্ক ও আর্দ্র আবহাওয়ায়, আহারকালে, খাদ্য: শীতল পানীয়ে, বরফ জমানো খাদ্যে, ফলে, নাসপাতি খাওয়ার পর, টক খাদ্যে, ভিনেগারে, বিছানায় শুলে, পাহাড়ের নিচে, ঘর্ষণে, ট্রেনের কামড়ায় বা গাড়িতে, জাগরণে, ঘুমের সময়ে, গ্রীষ্মকালে, কোনো কিছু স্পর্শ করলে, গরমে, উষ্ণতায়, আবরণে, নিম্নগতি অথবা ঊর্ধ্বগতিতে, ভেজা ঠাণ্ডা আবহাওয়া, হঠাৎ শব্দে, ধুমপানে, গরম হাওয়াতে, ফল খেয়ে, ঋতুস্রাবের পরে, খাবারের সময় বা পরে (মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে), দোল দেওয়ায়, হাস্য করলে, ঋতুস্রাবের পরে, মল ও প্রস্রাব ত্যাগের আগে, প্রস্রাব না হওয়া পর্যন্ত।
> হ্রাসঃ রাত ১১ টায়, চাপে, গোসলে, শীতল পানীয়ে, একপাশে চেপে শুলে, তামাকে, উনুনের গরমে, মলত্যাগের পর, বিকালে, সন্ধ্যার আগে, যে দিকে ব্যথা সেই দিকে চেপে রাখলে, শীতের দিনে।
♣ কারণঃ ধুমপানে, সকস (Socks) অথবা বুটের ঘর্ষণে, ভারি বোঝা তোলা, পেশি ও কন্ডুরাগুলোতে চাপ লাগার কুফল।
♣ ইচ্ছাঃ অম্ল, টক পানীয়, খোলা বাতাস।
♣ অনিচ্ছাঃ ধুমপান, তামাক।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ অ্যাসি-অ্যাসে, ভাইনাম, ভিনিগার মদ।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ টকফল, ভিনিগার, অ্যাসিড-অ্যাসেটিক, ক্যামো, কফিয়া, লবণ, মদ।
♣ প্রয়োগঃ অম্ল ও মদ বোরাক্সের বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন সম্বন্ধ।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা বোরাক্স প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১.১) ভয় ( Fear) – A= অ্যাকোন, আর্জ-নাই, অরাম, বেল, বোরা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, কার্বো-সাল, সাইকু, গ্র্যাফ, ক্যালি-আর্স, লাইকো, লাইসি, ন্যাট্র-কা, ফস, প্ল্যাটি, সোরিন, সিপি, স্ট্র্যামো।
১.২) ভয়, আসন্ন রোগের – A= ক্যালি-কা, ফস। B= আর্জ-নাই, বোরা, ক্যাল্ক, ল্যাসি, ল্যাক-ক্যান, লিলি-টি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস-এসিড, সিপি।
১.২) ভয়, নিম্নগতিতে – B= বোরা। C= জেলস।
১.৩) ভয়, রোগসংক্রমণের- B= বোরা। C= বিউফো, ক্যালাডি, ক্যাল্ক, ল্যাকে।
১.৪) ভয়, গোলমাল হতে- B= অ্যান্টি-ক্রু, অরাম, বোরা, কস্টি, ককুল, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-সাল।
১.৫) ভয়, সামান্য ব্যাপারে- B= আর্স, ক্যালি-কা, লাইকো, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি। C= বোরা, ইগ্নে।
২) ভয়প্রাপ্ত সহজে (Frightened easily) – A- আর্জ-নাই, আর্স, ব্যারা-কা, বোরা, গ্র্যাফ, লাইকো, ন্যাট-আর্স, ন্যাট্র-কা, সিপি, স্ট্র্যামো।
৩) অঙ্গভঙ্গী করে : হাতনাড়া, কিছু আকড়ে ধরার বা স্পর্শ করার মতো- B= বেল, বোরা, ক্যামো, হায়োস, লাইকো, ফস-এসিড, সোরিন।
৪) নম্রতা (Mildness) / শান্তভাব ( Gentleness) – A= আর্নি, আর্স, বোরা, ককুল, ন্যাট্র-মি, পালস, রাস, সাইলি।
৫) অত্যানুভূতিযুক্ত, অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ ( Sensitive, oversensitive) – A= আর্জ-নাই, বেল, বোরা, চায়না, চিনি-আর্স, চিনি-সাল, কফি,জেলস, ইগ্নে,ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, পালস, র্যানান-বা, সাইলি, সালফ, থেরিডি, ভ্যালের।
৬.১) উচ্চ চিৎকার করে : শিশুদের – A= বোরা, ল্যাক-ক্যান। B= অ্যাপিস, ক্যামো, সিনা, হেলি, ইগ্নে, জ্যালাপা, ক্রিয়ো, রিউম, স্যান্না।
৬.২) উচ্চ চিৎকার করে : ঘুমের মাঝে- A= বোরা, লাইকো, পালস, জিঙ্ক।
৬.৩) উচ্চ চিৎকার করে : মূত্রত্যাগের আগে- A= বোরা, লাইকো। B= সার্সা। C= ল্যাকে, নাক্স-ভ।
৭.১) চমকে ওঠে : সহজেই – A= বোরা, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, ন্যাট্র-ফস।
৭.২) চমকে ওঠে : ভয় হতে- A= বেল, বোরা, হায়োস, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, ন্যাট্র-সাল, নাই-অ্যাসি, স্ট্র্যামো।
৭.৩) চমকে ওঠে : গোলমাল হতে- A= বোরা, ক্যালি-কা, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, ন্যাট্র-ফস, ন্যাট্র-সাল, নাক্স-ভ, সাইলি।
৭.৪) চমকে ওঠে : ঘুম হতে- A= বেল, বোরা, কস্টি, হায়োস, স্পঞ্জি।
৭.৫) চমকে ওঠে : হাঁচি দিলে- A= বোরা।
৮.১) কাঁদেঃ মূত্রত্যাগেরর আগে- B= বোরা, লাইসি, সার্সা।
৮.২) কাঁদেঃ মলত্যাগকালে- B= ইথু, বোরা, ক্যামো। C= সিনা, ফস, রাস, সাইলি, সালফ।
৯) রক্তাল্পতা ( Anaemia) – A= আর্স, বোরা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, চায়না, ফেরাম, ফেরা-আর্স, গ্রাফ, হেলি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ম্যাঙ্গে, মেডো, মার্ক, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, ফস, প্লাম্বা, পালস, স্কুই, স্ট্যাফি, সালফ।
১০) ঋতুস্রাবের পরে- A= বোরা, গ্র্যাফ, ক্রিয়ো, ল্যাকে, নাক্স-ভ, সিপি।
১১) স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু ( Nursing children) – A= বোরা, ক্যাল্ক, ন্যাট্র-ফস, পালস, সিপি।
১২) সূঁচফোটানো ব্যথা: অভ্যন্তরীকভাবে- A= অ্যাসাফ, বার্বে, বোরা, ব্রায়ো, ক্যানা-ই, ক্যান্হা, কার্বো-সাল, চেলিডো, চায়না, ক্যালি-কা, ক্যালি-সাল, ল্যাকে, লিডাম, মার্ক, মার্ক-কর, নাই-অ্যাসি, ফস, প্ল্যাটি, পালস, সিপি, সাইলি, স্পাইজে।
১৩) পাহাড়ের নিচে- A= বোরা। C= সোরিন।
১৪) ঘুমের সময়ে বাড়ে (during)- A= আর্নি, আর্স, বেল, বোরা, ব্রায়ো, হিপার, হায়োস, মার্ক, ওপি, পালস, সাইলি।