Berberis Vulgaris (berb) বার্ব্বেরিস ভাল্গারিস
পরিচয়ঃ বারবেরি বৃক্ষের ছাল হতে মুল অরিষ্ট তৈরী হয়। ইহা এন্টিসোরিক ঔষধ। ইহার সংক্ষিপ্ত নাম বার্বেরিস ।
Antidote food/ ঔষধের ক্রিয়ানাশক খাদ্য: কফি, কর্পূর ।
ক্রিয়ানাশকঃক্যাম্ফর, বেলেডোনা।
-
প্রস্রাবের প্রবল বেগ সত্ত্বেও অল্প অল্প প্রস্রাব; তৎসহ বামদিকে ভীষণ যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
-
পাথরিজনিত (মূত্রপাথর বা পিত্তপাথর) যন্ত্রণা বাম দিকের মূত্রকোষ বা কিডনী হইতে আরম্ভ হইয়া বামদিক ধরিয়া ব্লাডার পযর্ন্ত ছুটিয়া আসে।
-
ব্যথা কেন্দ্রস্থল হইতে চারিদিকে ছুটিয়া যায় (থুজা)।
-
সঙ্গমকালে সুখানুভূতির অভাব।
-
মাথায় যেন টুপি পরিয়া রহিয়াছে-এমন অনুভুতি।
বার্বারিস ব্যবহারের সময় মাঝে মাঝে দুই এক মাত্রা লাইকোপোডিময়াম প্রয়োগ করিলে উহার ক্রিয়ার সাহায্য হয়।
কাতরতাঃ
জানা যায়নি।
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি)
- এন্টি-সোরিক (তৃতীয় গ্রেড)
- এন্টি-সাইকোটিক (তৃতীয় গ্রেড)
- এন্টি-সিফিলিটিক (তৃতীয় গ্রেড)
মূল কথাঃ
- প্রধান ক্রিয়াকেন্দ্র: মূত্র, কিডনি, মূত্রাশয় বা ব্লাডার;
- যৌনি এত স্পর্শকাতর যে সঙ্গম সহ্য হয় না (ক্রিয়োজোট, নেট্রাম, প্ল্যাটিনা, থুজা, ষ্ট্র্যাফি)
- ঋতুস্রাব অত্যন্ত কম, কালোবর্ণের ফোঁটা ফোঁটা স্রাব কিংবা দুর্গন্ধযুক্ত।
- বাম কিডনীতে পাথরজনিত সূচঁ ফোঁটান বা কর্তনবৎ বেদনা-যা মূত্রনালী দিয়া মূত্রথলী পযর্ন্ত যায়।
- পিত্তশূল বেদনা লিভার প্রদেশ হইতে আরম্ভ হইয়া বাম স্কন্ধ প্রদেশ পযর্ন্ত যায়-যা চাপ ও সঞ্চালনে বৃদ্ধি।
- কোমড়ে কাপড় আঁটিয়া পড়িতে পারে না।
- কিডনীর স্থানে বুড়বুড়/বুজবুজ শব্দ-নড়িলে বা পা ছড়ালে বৃদ্ধি।
- নানাবিধ ভীতিপ্রদ মূর্তি দেখিতে থাকে।
- একাকী অন্ধকারে যাইতে চাহে না।
- অত্যধিক ভুতের ভয়।
- নাড়ীর গতি অত্যন্ত মন্থর (ক্যালমিয়া)।
-
ব্যথার স্থান পরিবর্তন, তৃষ্ণার সহিত তৃষ্ণাহীনতা, ক্ষুধার সহিত অক্ষুধা এইরূপ অবস্থা।
ব্যবহারস্থলঃ মুত্রপাথরী, মুত্রাধারের পীড়া, পিত্তশুল, বাধক, কোমরের অত্যধিক বেদনা, যকৃত প্রদাহ, সন্ধি প্রদাহ, হাটুর বেদনা, শ্বেত প্রদর, দুধের ন্যায় প্রস্রাব, শুক্রবাহী নালীর স্নায়ুশুল, যকৃতের বিবিধ পীড়া, প্লীহার বিকৃতি, যোনিদ্বারের স্নায়ুশুল, কিডনীর প্রদাহ, কিডনীর শুল প্রভৃতি পীড়ায় উপযোগী।
ক্রিয়াস্থলঃ বার্বেরিসের প্রধান ক্রিয়াস্থল কিডনী বা বৃক্কদ্বয় ও পিত্ত প্রণালী। ইহা একটি অ্যান্টি-সাইকোটিক ঔষধ।
উপশম/হ্রাসঃ খোলা হাওয়ায় হ্রাস।
বৃদ্ধিঃ চলাফেরা করিতে গেলে; ঘোড়ায় চড়িলে; পরিশ্রমের পর; রাত্রে; চাপ দিলে; উঠিয়া দাঁড়াইলে; সকালে ঘুম হইতে উঠিবার পর বৃদ্ধি।
ক্রিয়া স্থিতিকালঃ২০-৬০ দিন।
লক্ষণ সূত্রঃ এম, ভট্রাচার্য্য: পৃষ্ঠা-১৭৬, এন, সি ঘোষ: পৃষ্ঠা-১৬৩, উইলিয়াম বোরিক: পৃষ্ঠা-৮৫, অতুল কৃষ্ণ দত্ত: পৃষ্ঠা-২২৭, নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: পৃষ্ঠা-১২৯, নীলমনি ঘটক: পৃষ্ঠা-১৪২, ই. এ. ফ্যারিংটন: পৃষ্ঠা-৩৫১, জেমস টেইলর কেন্ট: পৃষ্ঠা-১৭৭, ই. বি ন্যাশ: পৃষ্ঠা-৪০৫, জে এম মিত্র: পৃষ্ঠা-১৭৪, এইচ. সি এলেন: পৃষ্ঠা-৬০, এস কে সাহা: পৃষ্ঠা-৩৪৫, জন হেনরি ক্লার্ক: পৃষ্ঠা-২৬৭।