Baptisia (ব্যাপটিসিয়া): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
Baptisia Tinc (ব্যাপটিসিয়া টিংটোরিয়া)।
♣ সমনামঃ ইন্ডিগো উইড, ওয়াইল্ড ইন্ডিগো।
♣ মায়াজমঃ সোরিক।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ রসপ্রধান ধাতুর লোকদের পক্ষে
উপযোগী। এটি তরুণ রোগে ব্যবহার্য।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মন, মুখ, গলমধ্য, অন্ত্র, রক্ত, স্নায়ুমন্ডলী, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, পরিপাক তন্ত্র, হজমপথের মিউকাস মেমব্রেন।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ দুর্বলতা, সামান্য জ্বর, রক্তের দূষিত অবস্হা, প্রচন্ড দুর্বলতার সাথে মানসিক অস্হিরতা ও আচছন্নতা।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজঃ ব্যাপটিসিয়ার যে জ্বর উৎপন্ন হয় তা টাইফয়েড জ্বরের প্রথমাবস্থার সম্পূর্ণ অনুরুপ। যাই হোক এটি নিশ্চিত যে, ব্যাপটিসিয়া নিচের পেটে টাটানি এবং উদরাময়সহ অন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে রক্তাধিক্য এবং শেষ্মা উৎপন্ন করার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে।
♣ সারসংক্ষেপঃ রসপ্রধান ধাতুর লোকদের দ্রুতগামী রোগাক্রমণ, রক্তদূষণ ও সংজ্ঞাশূন্যতা। দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব। শয্যা কঠিন মনে হওয়ার অনুভূতি। ব্যথাযুক্ত পাশে শুলে, চাপে, ঠান্ডা বাতাসে বাড়ে। নড়াচড়ায়, পাশ পরিবর্তনে ও উত্তাপে উপশম। মনের বিশৃঙ্খলা ; প্রলাপ বা স্বল্পবাক। অলসভাব, উদাসীন, শারীরিক ও মানসিক কাজে এবং স্ত্রীলোকের প্রতি বিতৃষ্ণা। কুকুর কুন্ডলীবৎ হয়ে থাকা। সংবেদনশীলতা বা যন্ত্রণাবিহীন উপসর্গ (মিলিফো)। প্রচন্ড দুর্বলতা সাথে মানসিক অস্হিরতা।
♣ অনুভূতিঃ ১) মাথার মাঝে অদ্ভূত অনুভূতি যা জ্বর ছাড়া কখনো অনুভব করা যায় না।
২) মাথা বড়ো হওয়ার অনুভূতি। ২) ঘ্রাণে একটি ভ্রান্ত ধারণা ‘যেনো পালক পুড়ছে ‘। ৩) শয্যা কঠিন মনে হওয়ার অনুভূতি।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) প্রচন্ড দুর্বলতার সাথে মানসিক অস্হিরতা। ২) টাইফাস জ্বর সে সাথে জিব সাদা বা হলদেটে সাদা ভারী প্রলেপযুক্ত।
৩) ইনফ্লুয়েঞ্জা সে সাথে থ্যাঁতলানো ব্যথা।
♣ ইচ্ছাঃ দুধ।
♣ অনিচ্ছাঃ খাদ্য।
♣ বৃদ্ধিঃ আর্দ্রতাযুক্ত গরমে, কুয়াশায়, শুয়ে থাকলে, ব্যথাযুক্ত পাশে শুলে, ঘরের ভেতরে, ঘুম ভাঙ্গার পর, চলার সময়, ঠান্ডা বাতাসে, মদপানে, গরম আবহাওয়ায়, শরৎকালে, রাত ২টার পরে, চাপপ্রয়োগে প্রকোপ বাড়ে, হাঁটলে।
♣ হ্রাসঃ খোলা বাতাসে, নাড়াচড়ায়, পাশ পরিবর্তনে, ঘামলে, আর্দ্র, উত্তাপ, ব্যথাশূন্য পাশে শুলে।
♣ কারণঃ অ্যান্টিটাইফয়েড সিরাম ইনজেকশনের কুফল। খারাপ খবরের শক। মানসিক অবসাদে। ফাস্টিং, আবেগ চাপা পড়লে, পায়ের পাতার ঘাম চাপা পড়লে।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ আর্স, নাক্স-ভ, ফাইটো, স্যাঙ্গুই।
♣ প্রয়োগঃ টাইফয়েড জ্বরে ব্যাপটিসিয়া সকল ওষুধের রাজা।—- ডা. ডাব্লুও এইচ বার্ড।
উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা ব্যাপটিসিয়া প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) শয্যার ( Bed) প্রতি বিতৃষ্ণা ( তা ত্যাগ করে) – A- অ্যাকোন, সিড্রন। C- আর্স, ব্যাপটি, ক্যাল্ক, ক্যাম্ফ, ক্যানা-স্যাট, ক্যান্থা, কস্টি, কুপ্রা, ক্যালি-আর্স, ল্যাকে, লাইকো, মার্ক, ন্যাট্র-কা, ইস্কু।
২) মনের বিশৃঙ্খল অবস্হা ( Confusion) : যেনো মাতালের মতো অবস্হা – ব্যাপটি, কার্বো-সাল। অ্যাকোন, কার্বো-অ্যাসি, কার্বো-ভে, ডিজি, গ্লোন, নাক্স-ভ, সাইলি।
৩.১) প্রলাপ ( Delirium) : রাতে- A- অ্যাকোন, আর্স, ব্যাপটি।
৩.২) প্রলাপ : ব্যস্তভাব – B- ব্রায়ো, হায়োস, স্ট্র্যামো,। C- ব্যাপটি, বেল, ক্যাম্ফ, রাস, সালফ।
৩.৩) প্রলাপ : চোখ বুজলে- B- বেল, ব্রায়ো, ল্যাকে। C- ব্যাপটি, ক্যাল্ক, গ্রাফা, লিডাম, পাইরো, সালফ।
৩.৪) প্রলাপ : অবিরত – B- ল্যাকে। C- ব্যাপটি, কোনি।
৩.৫) প্রলাপ : বিড়বিড় করে- A- ব্রায়ো, হায়োস, ফস,
স্ট্র্যামো। B- এইল্যান্থ, অ্যাপিস, আর্নি, ব্যাপটি, বেল, কলচি, ক্রোটেল, হিপার, ল্যাকে, লাইকো, মার্ক, মিউ-অ্যাসি, ওপি, রাস, সিকেলি, ট্যাবে, ট্যারাক্সি, ট্যারিবি, ভিরেট।
৪.১) ভ্রান্ত বিশ্বাস ( Delusions) : যেনো তার সাথে কেউ বিছানায় ছিলো- B- ব্যাপটি, পালস। C- অ্যানাকা, অ্যাপিস, কার্বো-ভে, নাক্স-ভ, ওপি, পেট্রো, রাস, সিকেলি, স্ট্র্যামো, ভ্যালের।
৪.২) ভ্রান্ত বিশ্বাস : দেহ বিছনার ওপর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে রয়েছে, এপাশ ওপাশ করে খন্ডগুলো একত্রিত করতে চায় – B- ব্যাপটি, ফস। C- পেট্রো।
৪.৩) ভ্রান্ত বিশ্বাস : দুটি ভাবে নিজেকে – B- অ্যানাকা, ব্যাপটি, নাক্স-ম, পেট্রো, স্ট্র্যামো।
৫) ভয়, হৃদরোগের- B- অরাম, লিলি-টি, স্পঞ্জি। C- ব্যাপটি, ক্যাক্টা, ক্যাল্ক, ল্যাক-ক্যান, ল্যাকে।
৬) অস্হিরতা, স্নায়বিকতা (Restlessness, nervousness) /অস্হির (Fidgety) – অ্যাকোন, অ্যানাকা,আর্জ-নাই,আর্স,আর্স-আই,ব্যাপটি,বেল, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক -ফস,ক্যাম্ফ,সিমিসি,সাইকু, কলো, কুপ্রা, কুপ্রা-আর্স,ফেরাম, ফেরা-আর্স, হায়োস, লাইকো, মার্ক, প্লাম্বা, পালস, রাস, সিকেলি,সিফি, সাইলি,স্ট্যাফি, স্ট্র্যামো, সালফ,ট্যারেন্টু,জিঙ্ক।
৭) স্তম্ভিতভাব ( Stupefaction) – A- অ্যাপিস, ব্যাপটি, বেল, ব্রায়ো, ককুল, হেলি, হায়োস, নাক্স-ভ, ওপি, ফস-এসিড, ফস, রাস, স্ট্র্যামো, ভিরেট।
৮) স্ত্রীলোকের প্রতি, বিতৃষ্ণা ( Women, aversion to) – B- ডায়োস্কো, ল্যাকে, পালস। C- অ্যামন-কা, ব্যাপটি, ন্যাট্র-মি, সালফ।
৯) কাজ, মানসিক কাজে বিতৃষ্ণা ( Work, aversion to mental) – A- অ্যালোজ, ব্যাপটি, চেলিডো, চায়না, ল্যাসি, নাক্স-ভ, ফস।
১০) শয্যা কঠিন মনে হওয়ার অনুভূতি ( Hard bet sensation of) – A- আর্নি, সাইলি। B- আর্স, ব্যাপটি, ফেরাম, ফেরা-ফস, পাইরো, রাস, রুটা।
১১.১) ব্যথা : ক্ষতের মতো মোচড়ানো : বাহ্যিকভাবে – A- আর্জ-মে, আর্নি, ব্যাপটি, বেল, ক্যাম্ফ, চায়না, সাইকু, ককুল, ইউপে-পার, পাইরো, রেনান-বা, রাস, রুটা, সাইলি, সালফ, ভিরেট।
১১.২) ব্যথা : ক্ষতের মতো মোচড়ানো : অভ্যন্তরীণভাবে- A- ব্যাপটি, ক্যাম্ফ, চায়না, ইউফর্বি, ইউফ্রে, ফেরাম, জেলস, ইগ্নে, মার্ক-কর, পালস, পাইরো, রেনান-বা, স্ট্যানা।
১১.৩) ব্যথা : ক্ষতের মতো মোচড়ানো : আক্রান্ত পাশে শুলে- A- আর্নি, পাইরো, রুটা। B- ব্যাপটি,হিপার, মস্কাস, নাক্স-ম, সিপি। C- থুজা।
১২) বার্ধক্যজনিত পক্ষাঘাত / অসাড়তা : ব্যথাহীন – A- কোনি, জেলস, লাইকো, ওলিয়ে, রাস। B- অ্যানাকা, আর্জ-নাই, আর্স, অরাম, ব্যাপটি, ব্যারা-কা, বিউফো, ক্যানা-ই, কার্বো-সাল, কস্টি, কুপ্রা, কিউরে, হায়োস, ওপি, পালস, সিকেলি, ভিরেট।
১৩) ডান দিকে ( Right) : A- আর্জ-মে, আর্স, অরাম, ব্যাপটি, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যান্থা, চেলিডো,
কলো, কোনি, ক্রোট-কা, ক্রোট-হ,লাইকো, নাক্স-ভ, পালস, স্যাঙ্গুই,সার্সা, সিকেলি।
১৪.১) দুর্বলতা/ক্লান্তি :জ্বরের সময়- A- আর্স, কার্বো-ভে, ফস। B- ব্যাপটি, ব্রায়ো, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-মি, পালস, রাস ।
১৪.২) দুর্বলতা/ক্লান্তি : কম্পমান – A- আর্জ-নাই, কোনি, স্ট্যানা। B- অ্যাগারি, অ্যালু, অ্যানাকা, অ্যাপিস, আর্স, ব্যাপটি, ককুল, ক্রোট-হ, জেলস, ক্যালমি, নাই-অ্যাসি, ফস, প্ল্যাট,পালস, সিপি।