Arsenicum Iodatum আর্সেনিকাম আয়োডেটাম (ars-i)
পরিচয়ঃ আর্সেনিক ও আয়োডিনের মিশ্রনে এই ঔষধটি প্রস্তুত হয় । ইহা একটি গভীর ক্রিয়াশীল এন্টিসোরিক ঔষধ ।
গায়ের রং ব্রোঞ্জের মত দেখায়, রোগী রক্তহীন হয়ে পড়ে, সামান্য পরিশ্রম করিতে গেলে বুক ধড়ফড় করিতে থাকে, মাথা ঘুরিয়া যায়।
ক্রিয়ানাশক খাদ্য: কফি, কর্পূর ।
ক্রিয়ানাশকঃ ব্রায়োনিয়া
কাতরতাঃ
গরমকাতর (তৃতীয় গ্রেড): [James Tyler Kent]
শীতকাতর (তৃতীয় গ্রেড):
অল্প শীতে যেমন কাতর, তেমনি অল্প গরমেও কাতর।
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি)
-
অতি গভীর এন্টিসোরিক
-
অতি গভীর এন্টিসাইকোটিক
-
অতি গভীর এন্টিসিফিলিটিক
-
গভীর এন্টিটিউবারকুলার
মূল কথাঃ
- অল্পেই রাগান্বিত ও ক্রোধান্বিত হয়।
- রাক্ষুসে ক্ষুধা, আহারে উপশম।(তরুন রোগে অক্ষুধা থাকিতে পারে।)
- অতীব ঘর্ম প্রবণ, বিশেষ করিয়া নিমা ঘর্ম (ক্যালকেরিয়া কার্ব, সাইলেসিয়া, টউবারকুলিনাম, মার্কসল)।
- সকল পীড়াতে জ্বালা এবং উহা উত্তাপ প্রয়োগে উপশম (আর্সেনিক)।
- শরীরের ডান পাশে আক্রমণ।
- গ্ল্যান্ডের বিবৃদ্ধি।
- প্রাতে সর্দি ও হাঁচির প্রাবল্য।
- শিশু রোগী কোলে উঠিয়া বেড়াইতে পছন্দ করে (আর্সেনিক, ক্যামোমিলা, সিনা, লাইকো)।
- প্রত্যহ গোসল পছন্দ।
- নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ।
- মুক্ত বাতাস পছন্দ করে।
ব্যবহারস্থলঃ
রক্তাল্পতা; দুর্বলতা; ম্যালেরিয়া; ক্ষয়কাশি; মুখমন্ডলের বয়োব্রণ;
রক্তার্বুদ; বক্ষে অর্বুদ; ক্যান্সার; যকৃৎ ও ফুসফুসের পীড়া; ফুসফুস
প্রদাহ; গন্ডমালা দোষযুক্ত রোগ; উপদংশ; শোথ ও বেরিবেরি রোগে কার্য্করী।
ক্রিয়াস্থলঃ নাসিকা, পরিপাক পথ (digestive tract) ও ফুসফুসের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী, হৃদপিন্ড, গ্রন্থি, চর্ম, স্নায়ুমন্ডলীতে ইহার প্রধান ক্রিয়া ।
জলসহ আর্স আয়োড
বিচূর্ণ সেবন করা বা ঔষধ সেবনের পরেই জল পান করা নিষেধ। যদি অপ্রীতিকর
লক্ষণ এড়াতে হয় তবে আহারের পরই এ ঔষধ খেতে দিতে হয় ? ডাঃ জে. এইচ. ক্লার্ক ।
উপশম/হ্রাসঃ উত্তাপে উপশম, খোলা বাতাসে উপশম ।
বৃদ্ধিঃ ঠান্ডাতে রোগের বৃদ্ধি, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি, হেঁট হইলে বৃদ্ধি, স্নানে বৃদ্ধি, ভিজা স্থানে থাকিলে, ঘরে থাকিলে বৃদ্ধি
ইহার পীড়া আর্সেনিক অপেক্ষাও অধিক প্রবল; অতএব, আর্সেনিকে উপকার না হইলে ইহা প্রযোজ্য
লক্ষণ সূত্রঃএম, ভট্রাচার্য্য: পৃষ্ঠা-১৩৫, এন, সি ঘোষ: পৃষ্ঠা-১৩৩, উইলিয়াম বোরিক: পৃষ্ঠা-৫৯, নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: পৃষ্ঠা-৪৬৬, অতুল কৃষ্ণ দত্ত: পৃষ্ঠা-১৮৪, জেমস টেইলর কেন্ট: পৃষ্ঠা-১১৮, নীলমনি ঘটক: পৃষ্ঠা-৭৭, জে এম মিত্র: পৃষ্ঠা-৭৭, এস কে সাহা: পৃষ্ঠা-২৩, জন হেনরি ক্লার্ক: পৃষ্ঠা-১৭৯ ।