Argent Met (আর্জেন্ট মেট): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
Argentum Met (আর্জেন্টাম মেটালিকাম)।
♣ সমনামঃ সিলভার, আর্জেন্টাম ।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক, টিউবারকুলার ।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর ।
♣ উপযোগিতাঃ লম্বা, পাতলা ও খিটখিটে লোকের ক্ষেত্রে । পারদ অপব্যবহারের কুফল । হস্হমৈথুনের ধাতুগত কুফলে ।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মন, স্নায়ুতন্তু, কার্টিলেজ, মিউকাস, মেমব্রেনস, স্বরযন্ত্র, অণ্ডকোষ-ডান দিকে, ডিম্বকোষ – বামদিকে, হাড়, লিগামেন্ট, রেলিংস ও মূত্রযন্ত্র ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ এর প্রধান কাজ অস্হিসন্ধিগুলোতে এবং সন্ধিগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উপাদানবস্ত্ত- যথা অস্হি, তরুণাস্হি ও লিগামেন্টস্ । এই সকল স্হানে ছোট ছোট রক্তবহা নাড়িগুলো বন্ধ হয়ে যায় অথবা শুকিয়ে যায় যার ফলে ক্ষত উৎপন্ন হয়। এ অবস্হাটি অজ্ঞাতসারে এবং ধীরে ধীরে উৎপন্ন হয় কিন্তু এর অগ্রগতি চলতেই থাকে। এ ওষুধটির বিশেষ কাজকেন্দ্র- মানুষের কণ্ঠনালি।
♣ সারসংক্ষেপঃ লম্বা, পাতলা, ও খিটখিটে লোক। প্রদাহ তরুণাস্হি ও সন্ধিস্হলের উপাস্হিগুলোতে। কাঁপা (বাহ্যিকভাবে) ও বুকের মাঝে দারুন দুর্বলতা। শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্রাব (শ্লেষ্মা) সিদ্ধ করা বার্লির মতো, পুরু ও আঠালো। ব্যথা হঠাৎ বা ধীরে ধীরে আসে ও হঠাৎ যায়। সঞ্চালনে ও কফি পানে উপশম। মধ্যাহ্নে, স্পর্শে, মানসিক পরিশ্রমে, নিচের দিকে নামলে ও দুধপানে বাড়ে। উৎকণ্ঠা, অস্হিরতা, চমকে ওঠে, অলসভাবে, রহস্যপ্রিয় ও প্রাণবন্ত । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা সূর্যোত্তাপ বা উত্তাপের ফলে রোগ। স্বরভঙ্গদোষ। পর্যাবৃত্তি ( স্বল্পবাক ও বাচালতা, প্রফুল্লতা ও কাঁদা)।
♣ অনুভূতিঃ ১) সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় পায়ের ডিম মনে হয় খাটো হয়ে গেছে।
২) মনে হয় যেন হার্ট যথাস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ও কাঁপা অনুসরণ করে ।
♣ ইচ্ছাঃ মদ, কফি, মিষ্টি ।
♣ অনিচ্ছাঃ খাদ্যে, তামাক ।
♣ বৃদ্ধিঃ স্পর্শে, দ্বিপ্রহরে, বিশ্রামে, কাশি দিলে, কথা বললে, চাপ দিলে, গান করলে, নিচের দিকে নামলে, চিৎকার করলে, পড়াশুনা করলে, মানসিক শ্রমে, দুধে, ঘুমের শুরুতে, ঘুমের পর, ঘুম ভাঙ্গার পর চিৎ হয়ে শোলে, স্বরযন্ত্রের ব্যবহারে, প্রাত ১১ টায়, পূর্বাহ্নে, মধ্যাহ্নে, অপরাহ্ন ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত, ঠাণ্ডায়, আর্দ্র আবহওয়ায়, শুয়ে থাকলে, সূর্যে,গাড়ি চড়লে (ককোলাস)। ব্যথাশূন্য পাশে শুলে। বসাবস্হায়।
♣ হ্রাসঃ খোলা বাতাসে, সঞ্চালনে, কফি পানে, উত্তাপে, আচ্ছাদনে, কাশলে, রাতে ঘুমানোর পর কাশির উপশম ( বিপরীতে- হায়োস)। শুয়ে থাকলে উপশম পরে বাড়ে।
♣ কারণঃ পারদের অপব্যবহার, সিফিলিসের কুফল, অতিরিক্ত সেক্সুয়াল, হস্তমৈথুন, সূর্যাঘাত, ক্রোধ, ভয়, আতঙ্ক, সর্দি-গর্মি।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ মার্ক, পালস।
♣ বর্জনীয়ঃ দুধ।
♣ নিষিদ্ধঃ অধিক মাত্রায় ঘন ঘন প্রয়োগ।
♣ প্রয়োগঃ অ্যালুমিনা পরে ভালো খাটে।
উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্য যে কোন রোগেই আমরা আর্জ-মে প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) মানসিক পরিশ্রমে বৃদ্ধি (Exertion) : – A- আর্জ-মেট, আর্জ-নাই, অরাম, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ইগ্নে, ক্যালি-ফস, ল্যাকে, লাইকো, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, সেলিনি, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি।
২) আনন্দ (Mirth) : পর্যায়ক্রমে, কান্নার সাথে- A- আর্জ-মে, কার্বো-অ্যানি, আই, স্পঞ্জি।
৩) মানসিক অবসাদ ( Prostration of mind) / মানসিক শ্রম, সহ্য করতে পারে না ( Mental effort, inability to sustain) – A- আর্জ-মে, অরাম, কোনি, কুপ্রা, ফেরা-পিক্রি, ক্যালি-ফস, ল্যাকে, লাইকো, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-ফস, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস-এসিড, ফস, পিক্রি-অ্যাসি, সিপি, সাইলি, সালফ।
৪.১) চমকে ওঠে ( Starting) : ঘুমন্তাবস্তায়- B- আর্জ-মে, আর্স, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ম।
৪.২) চমকে ওঠে : তাকে জাগিয়ে তুললে- A- আর্জ -মে, আর্স, ন্যাট্র-মি। C- নাক্স-ম।
৪.৩) চমকে ওঠে : ঘুমের মাঝে- A- হায়োস, ক্যালি-কা। B- অ্যালু, অ্যাপিস, আর্জ-মেট, আর্স, অরাম, বেল, ক্যাল্ক, ক্যাম্ফ, কস্টি, ক্যামো, কলচি, কুপ্রা, ইপি, ক্যালি-সাল, ক্রিয়ো, মার্ক, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ম, ওপি, ফস, পালস, সালফ, ট্যাবে, জিন্ক।
৫) কাদেঁ ( Weeping) : প্রফুল্লতার সাথে পর্যায়ক্রমে – C- অ্যাকোন, আর্জ-মে, বেল, বোরা, ক্যানা-স্যাট, কার্বো-অ্যানি, ইগ্নে, আই, প্ল্যাটি, স্পঞ্জি।
৬) মধ্যাহ্নে (Noon) বাড়ে- A- আর্জ-মে। B- নাক্স-ম, স্ট্র্যামো, ভ্যালের, জিন্ক। C- অ্যালু, অ্যাপিস, আর্স, কার্বো-ভে, সাইকু, ক্যালি-বাই, পিওনি, ফস, সিপি, সালফ।
৭) নিচের দিকে নামলে বাড়ে ( Descending agg.)- B- আর্জ-মে, কোনি, ফেরাম, লাইকো, রডো, ভিরেট।
৮) প্রদাহ ( Inflammation) : তরুণাস্হিগুলোতে- A- আর্জ-মেট। ন্যাট্র-মি।
৯) সঞ্চালনে উপশম- A- অরাম, অরাম-মি, ক্যাপসি, কোনি, সাইক্লে, ডালকা, ইউফর্বি, ফেরাম, ক্যালি-সাল, লাইকো, পাইরো, পালস, রডো, রাস, স্যাবাডি, স্যাম্বুল, সালফ, ট্যারাক্সি, ট্যারেন্টু, ভ্যালের।
B- অ্যাকোন, অ্যাগারি, অ্যালো, অ্যালু, অ্যানাকা, আর্জ-মে, আর্জ-নাই, আর্স, অ্যাট্রো, অরাম-মি-না, ব্যারা-কা, বিসমা, ব্রোমিন, কস্টি, চিনি-আর্স, সিনা, ককুল, কলো, ডায়োস্কো, ড্রসে, গ্যাম্বু, জেলস, ইন্ডিগো, ক্যালি-কা, ক্যালি-আই, ক্যালি-ফস, ক্রিয়ো,
লিলি-টি, ম্যাগ-কা, মিনিয়ে, মেডো, মার্ক -কর, মার্ক-আ-ফ্লে, মস্কাস, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-সাল, ফস-এসিড, প্ল্যাটি, রুটা, সিপি, স্ট্রনসি, টিউবার, ভায়োলা-ট্রা।
১০.১) ব্যথা ( Pain) : অকস্মাৎ অন্তর্হিত হয় – B- আর্জ-মে, পালস, সাল-অ্যাসি। C- কস্টি।
১০.২) ব্যথা : সহসা উপস্থিত হয়- A- বেল, নাই-অ্যাসি। B- আর্জ-মে, পালস, স্যাবি, ট্যাবে, ভ্যালের।
১০.৩) ব্যথা : বাহ্যিকভাবে লাফানো মতো ( Jerking externally) – A- আর্জ-মে, অ্যাসাফ, ক্যাল্ক, কস্টি, পালস, রাস।
১১) পর্যাবৃত্তি ( Periodicity) – A- অ্যাকোন, অ্যাগারি, অ্যালু, আর্জ-মে, আর্স, সিড্রন, চায়না, চিনি-আর, চিনি-সাল, ইপি, ক্যালি-নাই, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, সিপি, সাইলি।
১২) সংবেদনশীলতা : কোমল হাড়গুলোতে ( cartilages) – A- আর্জ-মে।
১৩) ডান দিকে ( Right) : A- আর্জ-মে, আর্স, অরাম, ব্যাপটি, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যান্থা, চেলিডো, কলো, কোনি, ক্রোট-কা, ক্রোট-হ,লাইকো, নাক্স-ভ, পালস, স্যাঙ্গুই,সার্সা, সিকেলি।
১৪) বসাবস্হায় বাড়ে- A- অরাম, অরাম-মি, ক্যাপসি,কোনি, সাইক্লে, ইউফর্বি, লাইকো, পালস, সিপি, সালফ, ভ্যালের, ভার্বাস। B- অ্যালো, অ্যাম্ব্রা, আর্জ-মে, অ্যাসাফ, অরাম, অরাম-মি-না, অরাম-মি, ব্যারা-কা,চায়না, সিনা, ককুল, কলো, ড্রসে, ইউফ্রে, ফেরাম, গ্যাম্বু, হেলি, ক্যালি-বাই, ল্যাকে, লিডাম, ম্যাগ-কা, মিনি, মার্ক, মস্কাস, ন্যাট্র-মি, ফস-অ্যাসি, রুটা, স্যাবাডি, সেনেগা, ট্যারেন্টু, থুজা।
১৫) সূর্যালোকে থাকার ফলে ( Sun, from exposure to) – A- অ্যান্টিম-ক্রুড, গ্লোন,পালস। B- অ্যাগারি, আর্জ-মে, ব্যারা-কা, বেল, ব্রায়ো, ক্যাম্ফ, কার্বো-ভে, ইউফ্রে, ক্যালমি, ল্যাকে, লাইসি, নাক্স-ভ, ওপি, সেলে, ভ্যালের, জিঙ্ক । B= ব্রোমি, ক্যাল্ক, ক্যাডমি,ক্লিমে, জেলস, গ্যাফ, ইগ্নে, আই, ইপি, ম্যাগ-মি, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, সোরিন, স্ট্যানা ।
১৬) সাধারণ ফোলা: কোমল অস্হিগুলোতে (cartilages) -A=আর্জে-মে ।
১৭) সাইকোসিস (Sycosis) -A= আর্জ-মে, আর্জ-নাই, ক্যালি-সাল, মেডো, সিপি, স্ট্যাফি, থুজা।
১৮) স্পর্শে প্রকোপ বাড়ে (Touch agg) -A= অ্যাগারি, অ্যাপিস, আর্জ-মে, অ্যাসাফ, বেল, ক্যামো, ককুল, কফি, কলচি, ক্রোট-কা, কুপা, হিপার, হায়োস, ক্যালি-আর, ক্যালি-কা, লাইকো, নাই-অ্যাসি, রডো, সাইলি, স্ট্যাফি, সালফ।
১৯.১) দুর্বলতা/ক্লান্তি (Weakness) : সকালে- A= অ্যাগারি, আর্স, ল্যাকে লাইকো, ফস-অ্যাসি সিপি । B=অ্যাম্ব্রা, আর্স-আই, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, কার্বো-ভে, জেলস, গ্র্যাফ, আই, ম্যাগ-মি, ম্যাগ-কা, মার্ক, ন্যাট্র-আর, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, ন্যাট্র-ফস, ন্যাট্র-ফস, ন্যাট্র-সাল, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, পেট্রো, ফস, পালস, রাস,সাইলি, স্পাইজে, স্ট্যানা, স্ট্যাফি, ভিরেট ।
১৯.২) দুর্বলতা/ক্লান্তি (Weakness): ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর- A- ফস-এসিড। B- আর্জ-মে, আর্জ-নাই, ল্যাকে, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ।
১৯.৩) দুর্বলতা/ক্লান্তি : জাগরিত হলে- A- নাক্স-ভ। B- আর্জ-মে, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ডালকা, ল্যাকে, লাইকো, ফস, স্যাঙ্গুই, সিপি, স্পাইজে, স্ট্যাফি।
১৯.৪) দুর্বলতা/ক্লান্তি : পক্ষাঘাতগ্রস্ত – A- ককুল, জেলস, হেলি, মেজের, মস্কাস, মিউ-অ্যাসি, ফস-অ্যাসি, ফস, ভিরেট। B- অ্যালু, আর্জ-মে, ব্যারা-কা, ব্যারা-মি, বিসমা, ক্যাল্ক, কস্টি, ক্যামো, চায়না, ফেরাম, মার্ক, নাই-অ্যাসি, ওলিয়ে, পালস, রডো, রাস, স্ট্যানা।