Antim tart (অ্যান্টিম টার্ট): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক, টিউবারকুলার।
♣ সাইডঃ বামদিক, ওপরে ডানদিক নিচে বামদিক, বিপরীত দিক।
♣ কাতরতাঃ গরমকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ অ্যান্টি-টার্ট শিশু ও বুড়োদের পীড়ার প্রধান ওষুধ। বার্ধক্যজনিত অসাড়ভাব : অঙ্গগুলোর। রোগী অলস ও শ্লেষ্মাধাতু বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, শ্বাসনালি, রক্ত সঞ্চালন, হৃদপিন্ড, পাকস্থলী, চামড়া, বাওয়েল, লাম্বার রিজন।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ অ্যান্টি-টার্টের বমনোদ্বেগ ইপিকাকের চেয়ে প্রখর কিন্তু ক্ষণকাল স্হায়ী এবং বমির পর উপশম। বুকের অসুস্থতা যেখানে প্রচুর মিউকাস থাকে, মোটা ঘড়ঘড় শব্দ, কাশি দিয়ে তা তোলতে অক্ষম সেখানে এটি সূচিত করে, যেসব ক্ষেত্রে নিদ্রালুতা ও কোমা একসাথে দেখা যায় সেসব ক্ষেত্রে অ্যান্টি-টা প্রয়োজন পড়ে।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজঃ এর দ্বারা রক্তসঞ্চালন প্রগাঢ়রূপে মন্দীভূত হয় এবং এ ওষুধের লক্ষণে সেই মন্দীভূত রক্তসঞ্চালনের নিদর্শনই প্রকাশ পায়। বিশুদ্ধ অ্যান্টিমোনি অপেক্ষা অ্যান্টিমোনিয়াম টার্টারিকাম হৃদপিন্ড ও ফুসফুসদ্বয়ের অবসন্নতা উৎপন্ন করতঃ সঞ্চালন ক্রিয়ার অত্যন্ত দুর্বলতা উৎপন্ন হয়।
♣ সারসংক্ষেপঃ অলস ও শ্লেষ্মাধাতু বিশিষ্ট শিশু ও বুড়োদের পীড়ার প্রধান ওষুধ। নিদারুণ দুর্বলতা বা নিদ্রালুতার সাথে বুকের মাঝে ঘড়ঘড় শব্দ ও শ্বাসকষ্ট ; বমি ও গা বমি, মুখমন্ডল ফ্যাকাসে, নীলাভ ও তাতে প্রচুর ঠান্ডা ঘাম। হৃদপিন্ড অঞ্চলে উত্তাপবোধ হতে শ্বাসক্রিয়া বাধা প্রাপ্ত হয়। সকালে, সন্ধ্যায়, স্পর্শে, দুধে ও অম্লজাতীয় খাদ্যে বাড়ে। শ্লেষ্মা ওঠলে, বমি হলে, সঞ্চালনে ও খাড়াভাবে বসে থাকলে উপশম। খিটখিটে, ক্রুদ্বভাব ও শিশু কোলে ওঠতে চায়। কাঁদে ও আপন মনে কথা বলে ( প্রলাপ)। দ্রুতগতির নাড়ি। টিকাজনিত কুফল। কাশি সে সাথে আচ্ছন্নতামতো ঘুম বা ঘুমাতুর অবস্হা। কাশি ও হাইতোলা পর্যায়ক্রমে দেখা দেয়। নাড়ির দুর্বলতার সাথে সার্বদৈহিক দুর্বলতা সে সাথে শ্বাসযন্ত্রের দুর্বলতা।
♣ অনুভূতিঃ হৃদপিন্ড অঞ্চলে উত্তাপবোধ হতে শ্বাসক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ (১) শিশুদের উত্তেজনা প্রবণতা, স্শর্শ করলে চিৎকার করে। (২) কাশি সে সাথে আচ্ছন্নতামতো ঘুম বা ঘুমাতুর অবস্হা। (৩) নাড়ির দুর্বলতার সাথে সার্বদৈহিক দুর্বলতা সে সাথে শ্বাসযন্ত্রের দুর্বলতা।
< বৃদ্ধিঃ পূর্বাহ্নে, বিকেল ৪টায় (কাশি), সন্ধ্যায়, রাত ৩টায়, রাতে শুয়ে পড়লে, গরমে, শরৎকালে, আবহাওয়া পরিবর্তনে, ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায়, যে কোনো প্রকার অম্লজাতীয় বস্ত্ততে এবং দুধে, সকালে, বসা অবস্হায়, ঋতু পরিবর্তনে, খোলা বাতাসে, ডানপাশ ছাড়া অন্য পাশে শুলে, শুয়ে থাকলে, বিছানায় শুলে, খাদ্য: রুটিতে, মাখনে, দুধে, শুকরের মাংসে, খাদ্য দেখলে, টক খাদ্যে, গরম খাদ্যে,বেশি আহারে। নিচে বসতে গেলে, ঘুমের সময়ে, স্পর্শে, ঠাণ্ডায়, রাগে (কাশি), আক্রান্ত পাশে চেপে শোলে ।
> হ্রাসঃ গোসলে, আক্রান্ত অঙ্গে পানি দিলে, আক্রান্ত অঙ্গের সঞ্চলনে, খাদ্য: শীতল পানীয়ে, খাড়াভাবে বসে থাকলে, ঢেকুর ওঠলে, শ্লেষ্মা ওঠলে, বমি হলে, ডানপাশে শুলে, ঠাণ্ডা বাতাসে ভ্রমণে ।
♣ কারণঃ ক্রোধ, বারক্তি, গোলমাল, ভ্যাক্সিন, দৌর্বল্য, লাম্পট্য, খাবার পর, স্যাঁতস্যাঁতে স্হানে বাস করার জন্য উৎপন্ন রোগ (আর্স, অ্যারানিয়া, রাস, নেট্রাম) ।
♣ ইচ্ছাঃ আপেল, ঠাণ্ডা পানীয়ে, ঠান্ডা খাবার, ফল, অম্ল ।
♣ অনিচ্ছাঃ দুধে, তামাকে বিদ্বেষ ।
♣ অসহ্যঃ শিশু কিশোরদের দুধ অসহ্য এবং অম্ল বা অম্লফল ।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ অ্যাসাফ, চায়না, ককিউল, কোনি, (যৌনাঙ্গে সবুজ উদ্ভেদ), মার্ক, রাস, সিপি, ইপি, ওপি, (বিষাক্ততার ক্ষেত্রে বৃহৎ মাত্রায় ওপি সবচেয়ে ভালো ক্রিয়ানাশক), পালস, লরোসি, রুকিউ, চিনা-সা ।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ ব্যারা-কা, ব্রায়ো, (শ্বাসকৃচ্ছ্রতা), ক্যাম্ফ, কস্টি (শ্বাসকৃচ্ছ্রতা), পালস ।
♣ সতর্কীকরণঃ নিম্নশক্তি কখনো রোগের বৃদ্ধি ঘটায় এবং তরুণ রোগে উপশম প্রদশশির্ত না হওয়া পযর্ন্ত পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ করতে হবে ।
♣ প্রয়োগঃ সদ্যজাত শিশুর শ্বাসরোধ্য; মৃত্যুকালীন গলার ঘড়ঘি উপশম করে। (ট্যারেন্টুলা)
-ডা.এইচ.সি.এলেন।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা অ্যান্টিম-টার্ট প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) সাহসী ( Courageous) / সাহস ( Boldness) / দৃঢ়সংকল্প ( Resolute) – B= ইগ্নে, ওপি। C= অ্যাকোন, অ্যাগারি, অ্যালু,অ্যান্টি-টা, বার্বে, বোভি, ক্যালাডি, ড্রসে, জিনসিং, মার্ক, মেজের, ন্যাট্র-কা, ফস, পালস, স্কুই, সালফ, ট্যাবে, ট্যারাক্সি, ভ্যালের, ভিরেট ।
২) প্রলাপ: বিড়বিড় করে ঘুমের মাঝে-C= অ্যান্টি-টা, আর্স, ব্রায়ো, সালফ ।
৩) অস্হিরতা: শিশুদের- B= ক্যামো, জ্যালাপা । C= অ্যান্টি-টা, বোরা, রিউম ।
৪) অস্হিরতা : শিশুদের কোলে করে বেড়ালে উপশম- B= ক্যামো । C= অ্যান্টি-টা, আর্স, সিনা, ক্যালি-কা ।
৫) আপন মনে কথা বলে (Talks to himself) – B= অ্যান্টি-টা, অরাম, হায়োস, ক্যালি-বাই। C= অ্যাপিস, বেল, ক্লোরেল, ম্যাগ-ফস, মার্ক,মস্কাস, মিউ-অ্যাসি, নাক্স-ম, ওন্যান, ওপি, ফস-অ্যাসি, প্লাম্বা, পাইরো, র্যানান-বা, রাস, স্ট্র্যামো, ট্যাবে, ট্যারাক্সি, ভাইপে ।
৬) দুর্দান্তভাব (Wildness)- B= স্ট্র্যামো। C= অ্যাকোন, অ্যান্টি-টা, ব্যাপটি, বেল, ক্যাল্ক-ফস, ক্যান্থা, ক্রোকা, কুপ্রা, হায়োস, মেডো, মস্কাস, ওপি, পেট্রো, ফস-অ্যাসি, ফস, ভিরেট ।
৭) বার্ধক্যজনিত পক্ষাঘাত/অসাড়ভাব: অঙ্গগুলোর-A= অ্যান্টি-টা, আর্নি, আর্স, বেল, ডালকা, হায়োস, ইপি, পালস, সিকেলি, সাইলি । B= অ্যাকোন, অ্যানাকা, ব্যারা-কা, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাপসি, কস্টি, ককুল, লাইকো, নাই-অ্যাসি, ওলিয়ে, ওপি, পেট্রো, ফস, প্লাম্বা, রাস, রুটা, সিপি, স্ট্র্যামো, সালফ, সাল-অ্যাসি, ভিরেট ।
৮) নাড়ির গতি: অভ্যন্তরীণভাবে-A= অ্যাকোন অ্যালু, অ্যান্টি-টা, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যানা-ই, ককুল, ডালকা, ফেরাম, ফেরা-আই, গ্লোন, ম্যালি, ফস, পালস, স্যালে, সিপি, সাইলি ।
৯) নাড়ির গতি অস্বাভাবিক: পূর্ণতা (full)- A= অ্যাকোন, অ্যান্টি-টা, অ্যাসাফ, বেল, বার্বে, ব্রায়ো, চেলিডো, জেলস, হায়োস, ইগ্নে, ক্যালি-নাই, মার্ক-সায়া, স্ট্র্যামো ।
১০) নাড়ির গতি অস্বাভাবিক: কোমল গতি (soft)-A= অ্যান্টি-টা, কার্বো-ভে, কুপ্রা, ডিজি, ল্যাকে, মিউ-অ্যাসি, ওপি, স্ট্র্যামো, টেরিবি, ভিরেট ।
১১) নাড়ির গতি অস্বাভাবিক: দুর্বল (Weak)-A= অ্যান্টি-টা, আর্স, অরাম, বার্বে, ক্যাম্ফ, কার্বো-ভে, জেলস, ল্যাকে, লরো,ন্যাজা, ফস-অ্যাসি ।
১২) কাঁপা বাহ্যিকভাবে (Trinbling externally)- A= অ্যাম্ব্রা, অ্যান্টি-টা, আর্জ-নাই, আর্স, সাইকু, ককুল, কোনি, জেলস, ল্যাকে, মার্ক, ন্যাট্র-আর, ওপি, প্ল্যাটি, পালস, রাস, স্ট্যামো, সালফ, থ্যারিডি, জিঙ্ক ।
১৩) দুর্বলতা/ক্লান্তি (Weakness enervation)
A= অ্যামন-কা, অ্যান্টি-টা, অ্যাপিস, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ব্র্যাপটি, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, চায়না, কলচি, ফেরাম, ফেরা-আই, ফেরা-মেট। জেলস, গ্র্যাফ , আই, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ক্যালমি, ল্যাকে, লরো,মার্ক, মার্ক-কর, মার্ক-সায়ান,নাই-অ্যাসি,নাক্স-ভ, ওলিয়ে, ফস-অ্যাসি, ফস,পিক্রি-অ্যাসি, প্লাম্বা, সোরিন, র্যানান-বা, রাস, সিকেলি, সেলে, সিপি, সিল, স্কুই, স্ট্যানা, স্ট্যাফি, সালফ, টিউবার, ভিরেট।
১৪) মদ: টকে প্রকোপ বাড়ে- A= অ্যান্টি-ক্রু। B= আর্স । C=অ্যান্টি-টা, ফেরাম, সিপি, সালফ