Aloe Soc (অ্যালো সকোট্রিনা): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, ।
♣ সাইডঃ বামদিক, বামদিক থেকে ডানদিক ।
♣ কাতরতাঃ গরমকাতর ।
♣ উপযোগিতাঃ রাগী, খিটখিটে,আলসে, “সবসময় ক্লান্তিভাব “,মানসিক ও দৈহিক পরিশ্রম করতে চায় না, মানসিক পরিশ্রমে ক্লান্ত তাদের পক্ষে উপযোগী ।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ ভেইনস, শিরা, রেকটাম বা মলদ্বার, লিভার, মাথা, লাম্বার রিজন, স্ত্রীজননাঙ্গ ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ বর্তমান পৃথিবীর সর্বত্র এটি মল নিঃসারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পেট পরিষ্কার ও মাসিকস্রাবের নিয়মিতকরণে অনেক সংখ্যক পেটেন্ট ওষুধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে সংমিশ্রিত থাকে। এ ধরনের অভ্যাসগত ব্যবহার হলো বস্তি কোটরীয় সকল অসুস্থতা এবং এটি সত্য যে সালফার ক্রিয়ানাশ করে অ্যালোর তবুও সালফারের কৃতকার্যতার জন্য মল নিঃসারকের নিমিত্তে এর ব্যবহার চিররোগের সাথে বিবেচনা করা হয় ।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজ (Physiological action)ঃ- অ্যালো – লিভারের ওপর ক্রিয়া প্রকাশ করে লিভার – ধমনীতে রক্তাধিক্যতা ও প্রচুর পরিমাণে পিত্ত নিঃসরণ ক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বিশেষভাবে সরলান্ত্রের ঝিল্লি বেশি আক্রান্ত হয় এবং জেলির মতো শ্লেষ্মা উৎপন্ন করায় ।
♣ সারসংক্ষেপঃ মাংসপেশি শিথিল ও শ্লেষ্মাপ্রধান ধাতু বিশিষ্ট ব্যক্তি। মলদ্বারের অক্ষমতা ও অসাড়ে মলত্যাগ ; মলদ্বারে পূর্ণতাবোধ ও অতিরিক্ত গরম বায়ু বেরোয়। জেলির মতো থকথকে অতিরিক্ত শ্লেষ্মাস্রাব ; জিহ্বা ও মুখ শুষ্ক, তেতোস্বাদ ও মাংসে অনিচ্ছা। মানসিক পরিশ্রমে, গ্রীষ্মকালে, আহারে ও প্রাতঃকালে বাড়ে। খোলা বাতাসে, ঠান্ডা প্রয়োগ, বায়ু নিঃসরণে অথবা মলত্যাগে উপশম। ক্রোধ ও ঘৃণাপরায়ণ ; অভিসম্পাদ দেয় / শপথ করে। ক্লান্ত: আলসে, ভীতুপ্রকৃতির, রাগী ও খিটখিটে । স্মৃতিশক্তির তীক্ষ্ণতা ও অলসতা পর্যায়ক্রমে আসে। কোষ্টকাঠিন্য বা ব্যথার সাথে ক্রুদ্ধ এবং অসন্তুষ্ট বা অতৃপ্ত। ঘামে অবসাদ ।
♣ অনুভূতিঃ
* ঋতুস্রাব চলাকালে মলদ্বারে টেনে ধরার অনুভূতি, ভারবোধ, মলদ্বারে ভারী কিছু রয়েছে এরূপ মনে হয় ।
* মলত্যাগের পর কাঁটার মতো ; মনে হয় যেনো আরও অনেক মল বেরোবে ।
* মলদ্বার শিথিল হয়ে যাবার অনুভূতি ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ
* স্মৃতিশক্তির তীক্ষ্ণতা ও অলসতা পর্যায়ক্রমে আসে ।
* মানসিক পরিশ্রম করার ইচ্ছে ও দুর্বলতা পর্যায়ক্রমে আসে ।
♣ ইচ্ছাঃ রসালো খাদ্য, রসালো ফল, টক, মিষ্টি ফল, সরবৎ, লবণাক্ত খাদ্য এবং ঠাণ্ডা খাদ্য বা পানীয় পছন্দ করে ।
♣ অনিচ্ছাঃ মাংস।
♣ অসহ্যঃ টক।
♣ স্বপ্নঃ মলত্যাগের স্বপ্ন দেখে।
♣ বৃদ্ধিঃ প্রাতে, প্রাত ৬ টায়, খুব সকাল হতে বেলা ৮/৯ পর্যন্ত, পূর্বাহ্নে, অপরাহ্নে গ্রীষ্মকালে, শুষ্ক উত্তপ্ত আবহাওয়ায়, গরম বাতাসে দাঁড়ালে, পানাহারের পর (উদরাময়-ক্রোটন টিক), বিয়ার মদে, ফলে, ঝিনুকে, ভিনেগারে, দাঁড়িয়ে থাকলে, বসাবস্হায়, চলাফেরা করলে । অলস জীবন-যাপনে।
♣ হ্রাসঃ খোলা বাতাসে, ঠাণ্ডা প্রয়োগে, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়, সঞ্চালনে, বায়ু নিঃসরণ অথবা মলত্যাগে, ঠাণ্ডা পানি প্রয়োগে ।
♣ কারণঃ মদপানের অত্যানুভূতি (কেলি-বাই) ঝিনুক জাতীয় খাদ্যে অত্যানুভূতি (লাইকো,ব্রোমি) । রক্ত সঞ্চয়ে বাধা। বসে থাকা-জীবন বা অভ্যাস।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ ক্যাম্ফ, লাইকো ( কিছুক্ষণের জন্য উপশম), নাক্স-ভ ( কানব্যথায় উপশম দেয়), ওপি, পিওনিয়া, সালফ।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ অ্যালিয়াম-সিপা, অ্যালি-স্যাট।
♣ সতর্কতাঃ ওষুধটি খুব সকালে, ঠিক আহার ও পানের পর পরই কখনোই প্রয়োগ করবেন না। —টি.সি.মন্ডল।
♣ প্রয়োগঃ সালফারের আগে ও পরে অ্যালোজ ভালো কাজ করে।
উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা অ্যালোজ প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) ঘৃণাপরায়ণঃ প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না : প্রচন্ডতা হতে নিজেকে রক্ষা করতে আত্মসংযম করতে হয় – C- অ্যালোজ, সাইলি।
২) অভিসম্পাদ দেয়া(Cursing) / শপথ (Swearing) A- অ্যালো, অ্যানাকা, নাই-অ্যাসি। B- আর্স, হায়োস, ল্যাক-ক্যান, লাইকো, নাক্স-ভ, টিউবার, ভিরেট।
৩) মানসিক দুর্বলতা ( Imbecility) – A- অ্যালোজ, অ্যাম্ব্রা, অ্যানাকা, ব্যারা-কা, ব্যারা-মি, বেল, বিউফো,
বিউফো-সা, কোনি, হায়োস, ল্যাকে, লাইকো, নাক্স-ম, নাক্স-ভ, ওপি, ফস-অ্যাসি, পিক্রি-অ্যাসি, সাইলি, স্ট্র্যামো, সালফ, ভিরেট।
৪) কাজ, মানসিক কাজে বিতৃষ্ণা ( Work, aversion to mental) – A- অ্যালোজ, ব্যাপটি, চেলিডো, চায়না, ল্যাসি, নাক্স-ভ, ফস।
৫) রক্ত সঞ্চয় ( Congestion of blood) : অভ্যন্তরীক- A- ক্যাক্টা, মেলিলো। B- অ্যালোজ, অ্যাপিস, কলচি, গ্লোন, হেলি, ফস, ভিরেট।
৬) আহারের পরে- A- অ্যালোজ, আর্স, ব্রায়ো,ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, কস্টি, কলো, কোনি, ক্যালি-বাই, ক্যালি-কা, ল্যাকে, লাইকো, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, ফস, পালস, রিউমেক্স, সিপি, সাইলি, সালফ।
৭) ভারবোধ : অভ্যন্তরীণভাবে- A- অ্যাকোন, অ্যালোজ, বিসমা, ক্যাল্ক, চেলিডো, জেলস, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, পেট্রো, ফস, পালস, রাস, সিপি, সাইলি, স্ট্যানা, সালফ।
৮) বুড়ো ব্যক্তি- A- অ্যাম্ব্রা, অরাম, ব্যারা-কা, কোকা, ক্যালি-কা, লাইকো, ওপি, সিকেলি, সেলি।
৯) বাম দিক তারপর ডানদিকে ( Then right) – A- ল্যাকে। B- কলচি। C- অ্যাকোন, অ্যালোজ, ক্যাল্ক-ফস, ডালকা, ইল্যাপ্স, ক্যালি-কা, ক্রিয়ো, ন্যাজা, ফাইটো, রাস।
১০) বসাবস্হায় বাড়ে ( Sitting, while agg.)- A- অ্যামন-মি, আর্স, ক্যাপসি, কোনি, সাইকু, ইউফর্বি, লাইকো, পালস, সিপি, সালফ, ভ্যালের, ভার্বাস। B- অ্যালোজ, অ্যাম্ব্রা, আর্জ-মে, অ্যাসাফ, অরাম, অরাম-মি-নেট, অরাম-মি, ব্যারা-কা, চায়না, সিনা, ককুল, কলো, ড্রসে, ইউফ্রে, ফেরাম, গ্যাম্বো, হেলি, ক্যালি-বাই, ল্যাকে, লিডাম, ম্যাগ-মি, মিনি, মার্ক, মস্কাস, ন্যাট্র-কা, ফস-অ্যাসি, র্যানান-স্ক্লে, রুটা, স্যাবাডি, সেনেগা, ট্যারাক্স, থুজা।
১১) টানটান ভাব বাহ্যিকভাবে (Tension externally) – A= ব্যারা-কা ব্রায়ো, কস্টি, কলো, কোনি, ফস, প্ল্যাটি, প্লাম্বা, পালস, রাস, স্ট্রনসি, সালফ, ভার্বাস। B= অ্যালোজ, অ্র্যালু, অ্যামন-মি, অ্যান্টি-ক্রু, আর্জ-নাই, আর্নি, অরাম, বেল, কার্বো-অ্যানি, চেলিডো, কুপ্রা, ফেরাম, লিডাম, নাক্স-ভ, রিউম, স্যাবি, সিকেলি, সিপি, স্পাইজে, স্পঞ্জি, স্ট্যাফি, থুজা, ভায়ো-অ, জিঙ্ক।
১২) দুর্বলতা/ক্লান্তি: মানসিক পরিশ্রমে – A=ক্যাল্ক, কুপ্রা, ইগ্নে, সোরিন, স্যালে । B= অ্যালোজ, বেল, ক্যালি-কা, ফস-অ্যাসি, সালফ। C= অ্যাপিস, আর্নি, অরাম, ক্যামো, ককুল , ফেরাম, পিক্রি-অ্যাসি, ক্যালি-নাই, ল্যাকে, লাইকো, ন্যাট্র-কা, পালস, স্যাবাডি, সিপি, সিলি, স্পঞ্জি, থুজা ।