Allumina (অ্যালুমিনা): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক।
♣ সাইডঃ ডানদিকে, ওপরে বামদিক নিচে ডানদিক।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ জৈব উত্তাপের অভাবযুক্ত ধাতুর ব্যাক্তির, ঠান্ডা লাগার প্রবণতাযুক্ত, রোগা, পাতলা, শুকিয়ে গেছে, ময়লা রঙ অথচ নম্র ও প্রফুল্ল।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ স্নায়ু রজ্জু, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, এনাস, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, মিউকাস মেমব্রেন, চামড়া, যেসব শিশু কৃত্রিম খাবার খেয়ে বড় হয় ও সরলান্ত্র।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ অ্যালুমিনা মিউকাস মেমব্রেনে উপদাহ উৎপন্ন করে। তার সাথে শুষ্কতা অথবা চুড়ান্ত নিঃস্বরণ এবং স্বাধীন পেশীর পক্ষাঘাত, যেমন- রেকটাম, স্নায়ু ও সাধারণ পেশী সিস্টেম।
♣ সারসংক্ষেপঃ জৈব উত্তাপের অভাবযুক্ত ধাতুর ব্যক্তি যারা অলস প্রকৃতির। অনুভূতিগুলো অতি ধীর গতিতে কেন্দ্রে প্রেরিত হয়। পোকা হাঁটার মতো অনুভূতি, উত্তাপের ঝলকাবোধ। কৃত্রিম খাদ্য গ্রহণে, আলু খেলে, সন্ধাকালে, দৈহিক পরিশ্রমে, গরমে, অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে বাড়ে। খোলা বাতাসে, জাগরণে,গরম পানীয় পানে উপশম। উৎকন্ঠা : বিবেক দংশনে, বিষন্নতা ও ক্রন্দনশীল, প্রতিকূল-আচারী, অলসভাব, উত্তেজনাপ্রবণতা, একগুঁয়ে, রক্ত দেখলে অস্হিরতা। সময় ধীরে ধীরে কাটছে, পক্ষাঘাতসদৃশ দুর্বলতা ও স্মৃতিভ্রংশ। উদ্ভেদহীন চুলকানি। অখাদ্য খেতে ইচ্ছে। মল ও মূত্রত্যাগে কষ্টসাধ্য। শুষ্কতা ও শীতার্ততা। ক্রোধের পরবর্তী উৎকন্ঠাসহ পীড়া।
♣ অনুভূতিঃ অনুভূতিগুলো অতি ধীর গতিতে কেন্দ্রে প্রেরিত হয় ।
* মনে হয় ডিমের সাদা অংশ মুখে শুকিয়ে লেগে আছে, মনে হয় ত্বকে যেন পিঁপড়া চলে ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ক্রোধের পরবর্তী উৎকণ্ঠাসহ পীড়া ।
< বৃদ্ধিঃ শীতল পানীয়ে, দুধে, গোল আলু খেলে, লবণে, কাঁচা সবজিতে । অমাবস্যা ও পূর্ণিমায়, পর্যায়ক্রমে, কথা বললে, সকালে ঘুম থেকে ওঠলে, দিবাভাগে, প্রাতে, পূর্বাহ্নে, মধ্যাহ্নে, অপরাহ্নে, অপরাহ্ন ৪ টায়, সন্ধাকালে, অপরাহ্ন ৪ টা হতে ৮টা, অপরাহ্ন ৪টা হতে রাত্রি ১০টা, মধ্য রাতের আগে, মাসিকের পরে, শ্বেতসার জাতীয় খাদ্যে, কৃত্রিম খাদ্য গ্রহণে, মাছ-মাংসের ঝুল, গরম ঘরে, বিছানার গরমে, শীতকালে, শীতল বায়ুতে । দৈহিক পরিশ্রমে, গরমে ও উঞ্চতায় । শুক্রপাতে, দাঁড়িয়ে থাকলে, উত্তিপে, ঠাণ্ডা বাতাসে, ঠাণ্ডা লাগালে পরে, ঠাণ্ডা গরমে, ডানপাশে শুলে । নিচের দিকে নামলে, শুষ্ক আবহাওয়ায় । হাঁটলে, বিছানায় শুলে, গ্রীষ্মকালে, তামাকে প্রকোপ ।
> হ্রাসঃ গ্রীষ্মকালে মৃদু বাতাসে, গরম পানীয় পানে, আহারের সময়, ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায়, গোসলে, আক্রান্ত অঙ্গে পানি দিলে, ঠাণ্ডাপানিতে ধুলে, চুপচাপ থাকলে, মর্দনে, গোধূলিকালে, সন্ধ্যাকালে, আর্দ্র ঋতুতে । খোলা বাতাসে, জাগরণে, মুক্ত বাতাসে । একপাশে চেপে শুলে, ঋতুস্রাবকালে, সঞ্চলনে ।
♣ কারণঃ রক্ত সরবরাহের গতি কম এবং সারা শরীরে শুষ্কতা, কৃত্রিম খাদ্য গ্রহণ, ভারোত্তোলন, ক্রোধ এবং নৈরাশ্য, শিশুর বোতলজাত খাদ্য গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রম, লেড পয়জনিং বা সীসক বিষাক্ততা ।
♣ ইচ্ছাঃ শুষ্কখাদ্য, পোড়া মাটি, চুন, কয়লা, শ্লেট-পেন্সিল, চক-খড়ি ইত্যাদি ।
♣ অনিচ্ছাঃ মাংস, আলু ।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ ব্রায়ো, ক্যাম্ফ, ক্যামো, ইপি, পালস ।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ সিসা ।
♣ প্রয়োগঃ অ্যালুমিনার আরোগ্য ক্রিয় ধীর এবং এ ওষুধটি তাড়াতাড়ি পরিবর্তন করা যাবে না ।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা অ্যালুমিনা প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) উৎকণ্ঠা : বিবেক দংশনে- অ্যালু, আর্স, অরাম চেলিডো, ডিজি, সোরিন ।
২) রক্ত (Blood) বা ছুরির দিকে তাকাতে পারে না _ অ্যালু ।
৩) প্রতিকূল-আচারি (Contrary) – A- অ্যালু, অ্যানাকা, আর্জ-নাই। A- আর্নি, ককুল, হিপার, ক্যালি-কা, মার্ক, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, পালস, সালফ।
৪) অলস ভাব: পড়ার সময়- A=অ্যালু, কোনি, ওপি । B= কার্বো-ভে, গ্লোন, ল্যাকে, লাইকো,ন্যাট্র-কা ফস-অ্যাসি, সালফ ।
৫) ভয়, আত্মহত্যার- অ্যালু, আর্স, মার্ক, ন্যাট্র-ফস । আর্জ-নাই, রাস, সিপি ।
৬) একগুঁয়ে ( Obstinate)/ জেদী ( Stubborn) – A- অ্যালু, অ্যানাকা, আর্জ-নাই, ক্যাল্ক, ক্যামো, নাক্স-ভ।
৭) বিষণ্নতা : সকালে জেগে ওঠলে- A=অ্যালু, ল্যাকে । B=লাইকো, সিপি । C=আর্স, ব্যারা-কা, কার্বো-অ্যানি, কোপেই, ইগ্নে, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, নাই-অ্যাসি, ফস-অ্যাসি, ফস, ট্যারাক্সি, ট্যারেন্টু, ভিরেট ।
৮) কিছুই লক্ষ্য করে না (Unobserving)- B=কষ্টি। C=অ্যালু, অ্যাসের, ব্যারা-কা, ক্যালি-কা, মার্ক, ন্যাট্র-কা, পেট্রো, ফস-অ্যাসি, প্ল্যাটি, সিপি, পালস, থুজা ।
৯) খোলা বাতাসে উপশম- A= অ্যালু, আর্জ-নাই, আর্স, ক্যানা-ই, আই, ক্যালি-আই, ম্যাগ-কা, ম্যাগ-মি, ন্যাট্র-সাল, পালস, রাস, স্যাবাডি, স্যাবি ।
১০) ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা- A=অ্যাকোন, অ্যালু, ব্যারা-কা, ব্রায়ো, ক্যালি-ফস, ক্যামো, ডালকা, হিপার, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, লাইকো, মার্ক, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, সোরিন, রিউমেক্স, সিপি, সাইলি, টিউবার ।
১১) আলস্য ( Lissitude) : A= অ্যালু, অ্যামন-কা, অ্যাপিস, অ্যারেনি, ক্যালাডি, ক্যাল্ক, কার্বো-সাল, কোনি, ক্রোটেল -ক্যাস্ক, কুপ্রা, ফেরাম, জেলস, গ্র্যাফ, ল্যাকে, ফস-অ্যাসি, পিক্রি-অ্যাসি, রুটা, স্যাঙ্গুই, সাইলি, সাল-অ্যাসি, ট্যারেন্টু।
১২) শুয়ে থাকার প্রবৃত্তি (inclination to) – A= অ্যাকোন, অ্যালু, অ্যারেনি, আর্স, ক্যালাডি, কার্বো-সাল, ক্যামো, ফেরাম, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, নাক্স-ভ, সেলি, সাইলি।
১৩) পর্যাবৃত্তি ( Periodicity) – A- অ্যাকোন, অ্যাগারি, অ্যালু, আর্জ-মে, আর্স, সিড্রন, চায়না, চিনি-আর, চিনি-সাল, ইপি, ক্যালি-নাই, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, সিপি, সাইলি।
১৪) জাগরণে : উপশম – A= অ্যালু, অ্যামন-কা, অ্যাসাফ, ক্যাল্ক, কস্টি, চেলিডো, চায়না, সাইকু, স্যাম্বু, সিপি।
১৫) পাশ, একপাশে উপসর্গ (Side, symptoms on one side) – A= অ্যালু, অ্যানাকা, অ্যাপিস, অ্যাসাফ, ব্রায়ো, ক্যালি-কা, ক্রিয়ো, ল্যাকে, লাইকো, লাইকো, প্লাটি, সার্সা, সাল-অ্যাসি, ভার্বাস।
১৬) গরমে, উষ্ণতায় বাড়ে ( Warm agg.)- A= অ্যালু, অ্যাপিস, আর্স-আই, উইফর্বি, ফেরাম, জেলস, গ্লোন, ক্যালি-ব্রো, আয়োড, লিডাম, পালস, সিকেলি।
১৭.১) দুর্বলতা : কথা বলা থেকে – A= অ্যালু, স্ট্যানা, সালফ।
১৭.২) দুর্বলতা : হাঁটা থেকে- A= অ্যালু, আর্স, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যানা-ই , কোনি, ফেরাম, ল্যাকে, মিউ-অ্যাসি, নাই-অ্যাসি, ফস-এসিড, ফস, সোরিন, রাস, সিপি, স্কুই, সালফ।
১৭.৩) দুর্বলতা : মুক্ত বায়ুতে – A= অ্যালু, ককুল, রাস।
১৮) ক্লান্তিবোধ ( Weariness) – A= অ্যালু, বেঞ্জু-অ্যাসি, ক্যাল্ক-ফস, ক্যানা-স্যাট, ক্যান্থা, ক্যাপসি, কার্বো-সাল, চেলিডো, সাইকু, ক্রোকা, ফেরাম, জেলস, গ্র্যাফ, ক্যালি-ফস, লাইকো, পালস, রুটা, স্ট্যাফি, সালফ।