কানে কিছু ঢুকে গেলে করণীয়
কানে যে সব বাইরের জিনিস ঢোকে তার মধ্যে রয়েছে পিঁপড়া, মশা, পোকা, তেঁতুলের বীচি, শিমের বীচি, কাগজের ডেলা, পাতা পাথর কুচি ইত্যাদি। ছোটদের এগুলো বেশী হয় । কানের ভিতরের এসব পদার্থগুলোকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. জীবিত:
জীবিত পদার্থের মধ্যে পোকামাকড় কানের ভিতর ঢুকে বের হবার জন্য ছটফট করে, কানের পর্দা কামড়ে ধরে। হাঁটাচলা করে আর তাতে কানে তীব্র ব্যথা ও অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।জীবিত পদার্থগুলো জীবিত অবস্থায় বের করতে চাইলে বিপত্তি আরো বেড়ে যায়। কারণ এগুলো তখন আরো বেশী নড়াচড়া শুরু করে। ব্যথা আরো তীব্র হয়ে ওঠে।তাই জীবিত পদার্থগুলোকে প্রথমে মেরে ফেলতে হবে। কানের মধ্যে স্পিরিট সরিষার তৈল বা কমপক্ষে পানি দিলেও এগুলো মরে যাবে। মরে যাওয়ার পর এগুলোকে ধীরে ধীরে বের করতে হবে।
২. জড়:
জড় পদার্থগুলি দু রকম।
- এক রকম আছে যারা পানি শোষণ করে যেমন: ছোলা, মটর, শিমের বীচি ইত্যাদি।
- আর এক রকম আছে যারা পানি শোষণ করে না যেমন: পাথর কুচি, নুড়ি, কাঁচ, ইত্যাদি।
কানের ভিতর থেকে পদার্থ বের করার উপায়:
- কানটা আগে আলোর সাহায্যে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে বাইরের পদার্থের আকার, অবস্থান ও প্রকৃতি কি রকম।
- বাইরের পদার্থটি যদি পুতি, কাচের টুকরা, পাথর কুচি জাতীয় অর্থাৎ পানি শোষণ কারী না হয় এবং এটি কানের গহ্বরকে পুরোপুরি আটকে না রাখে অর্থাৎ কিছুটা ফাকা থাকে তবে পিচকারী দিয়ে সজোরে পানি দিয়ে পদার্থটি বের করা যায়। তবে কানের পর্দায় যদি ফুটো থাকে তাহলে পানি সাহায্যে বের হবে না । উল্টা কানে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। পর্দা যদি অটুট থাকে তাহলে পানি পদার্থটির ফাঁক দিয়ে পর্দায় গিয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসার পথে পদার্থটিকে বের করে দিবে।
- বাইরের পদার্থটি যদি কাগজ বা পাতা জাতীয় হয় তবে ফরসেপ দিয়ে ধরে টেনে বের করা যায়।
- বাইরের পদার্থটি যদি পুতি বা পাথর জাতীয় হয় তবে সেগুলো ফরসেপ দিয়ে ধরে টেনে বের করা যাবে না। কারণ ধরতে গেলে আরো ভিতরে চলে যাবে। এগুলোকে হুকের সাহায্যে পিছন দিক দেখে ধরে টেনে নিয়ে আসতে হয়।
সতর্কতা:
- বাইরের পদার্থ বের করার সময় রোগী যাতে নড়াচড়া না করে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
- ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে উপরোক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বস্তুটি বের করা যাবে কিনা। যদি না যায় তবে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পাঠাতে হবে। বাইরের পদার্থ বের করার সময় কানে আঘাত থেকে সংক্রমণ হতে পারে। তাই সাবধান থাকতে হবে।
প্রাসঙ্গিক চিকিৎসা:
১. আঘাতের কারণে সংক্রমিত বা ব্যথা হলে লক্ষণ ভিত্তিক ARN. Hyper. Led. TELL থেকে একটি দিতে হবে।
২. কানে প্রদাহ হলে ৫৩ টি ঔষধ ও তার ৪৩ টি লক্ষণ বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। ঔষধ- EAR – INFLAMMATION acon. Apis bamb-a. Bell. borx. bov. brom. Bry. Cact. cadm-s. Calc. canth. caps. cur. dys. eug. ferr-p. Fl-ac. flav. guaj. influ. kali-bi. kali-c. kali-i. Kreos. led. mag-c. MERC. MERC-C. mez. morb. morg-g. morg-p. mur-ac. nat-n. nux-v. parathyr. phos. Pic-ac. Plan. pneu. podo. prot. PULS. Rhus-t. sil. streptoc. sulph. syc. ter. thuj. tub. verat.
৩. কারো কানে কোন বহিরাগত বস্তু নেই কিন্ত রোগীর কাছে মনে হয় যে তার কানে বহিরাগত বস্তু আছে তাহলে EAR – FOREIGN BODY in; sensation of a ঔষধ- anan. ang. ASAR. astac. bell. calc. cann-xyz. ol-an. phos. sarr. sil. tub. EAR – FOREIGN BODY in; sensation of a – Eustachian tube; in ঔষধ- nux-m.