Cact | উৎকন্ঠা, মৃত্যুভয় ও সহজে ভয় পাবার প্রবনতা। |
Cact | শরীরের বিভিন্ন স্থানে সংকোচন ও আড়ষ্টতা, কষে বাঁধা আছে এরূপ অনুভূতি। |
Cact | মাথার তালুতে কোন ভারী জিনিস আছে এরূপ ব্যথা। |
Cact | মাথায় রক্তের চাপ বৃদ্ধির ফলে ব্যথা, মাথার শিরগুলি ফোলা ও মাথা কষে বাঁধা আছে এরূপ অনুভূতি। |
Cact | হৃৎপিন্ডটি যেন লোহার সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে আছে এরূপ অনুভূতি। |
Cact | হৃৎপিন্ডে ধড়ফড়ানি, বিশেষত বাম পাশে শুলে। |
Cact | বাম বাহু ফোলা ও অসাড় অনুভূতি। রক্তপ্রধান স্বাস্থ্যবান যারা, তাদের রক্ত সঞ্চয় হওয়ার প্রবণতা (একোন) তা থেকে প্রায়ই রক্তপাত হয়; রক্তাধিক্য হয়ে সন্ন্যাস রোগ (Apoplexy) । Apoplexy = সন্ন্যাস রোগ, দু’ধরেনর হয় যেমন (১) শরীরের ভেতর কোন যন্ত্রের অত্যধিক রক্ত জমা হয়ে যথা পেটের বা ফুসফুসের সন্ন্যাস রোগ । (২) হঠাৎ জ্ঞান হারায়, অঙ্গ অচল হয়ে পড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে, রক্তের ডেলা জমে (Emobolus বা Thrombus) আর্টারীর রক্তচলাচল থামিয়ে দেয় বা মস্তিষ্কের কোন রক্তবাহী আর্টারী ফাটিয়ে দেয়। একে সেরেব্রোভাসকুলার এ্যাক্সিডেন্ট বা স্ট্রোকও বলে । লক্ষণ – হঠাৎ আক্রমণ, জ্ঞান হারায়, মুখের তালুর নরম অংশে প্যারালিসিস্ হয়ে কষ্টকর শ্বাস প্রশ্বাস—নাক ডাকার মত শব্দ হয়, গালে ও মুখ ঘামে ভরে যায়। মস্তিস্কে যে দিকে রক্তক্ষরণ হয় সেদিকের চোখের তারা বড় হয়। সাধারণতঃ এক অঙ্গ পড়ে যায়। গা দিয়ে চটচটে ঘাম বার হতে থাকে। গায়ের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকে। কথা আড়ষ্ট হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। এই রকম ভাব যদি ধীরে ধীরে হয় তবে (Thrombosis) থ্রম্বোসিস থেকে হয়েছে ধরা যায় । যদি চেতনা থাকে তবে রোগীকে খুব ধীরস্থিরভাবে মাথা ও কাঁধ সামান্য। উঁচুতে রেখে বসিয়ে বা শুইয়ে দিতে হয়। নড়াচড়া একদম নয়। জামা-কাপড় ঢিলে করে দিতে হয় বিশেষ করে গলার কাছে। মাথায় ও ঘাড়ে ঠান্ডা জল দিয়ে মুছতে হয়। হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা অবশ্যই দরকার । রোগী মরতে ভয় পায়-মনে করে এ রোগ সারবে না (আর্স) । রক্তপাত – নাক, ফুসফুস, পাকস্থলী, রেক্টাম, মূত্রথলী থেকে বার হয় (ক্রোটেলাস, মিলিফোলিয়াম, ফস)। মাথাযন্ত্রণা — মাথার উপর ভাগে (vertex) যেন ভারী কিছু চাপান আছে এই রকম মনে হয় (এইভাব চাপে উপশম = মেনিয়াস্থিস) রজোনিবৃত্তির বয়সে মাথায় যন্ত্রণা (গ্লোন, ল্যাকে)। রক্তসঞ্চয় হয়ে, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে, ডানদিকে, ভয়ানক দপদপ লাফানোমত যন্ত্রণা মাথার যন্ত্রণা ও স্নায়ুশূলে এই রকম হয় । সারা শরীর যেন তারের খাঁচায় বন্দী, যেন খাঁচার প্রতিটি তার তাকে আস্তে আস্তে জোরে জোরে চেপে ধরছে। গলায়, বুকে, হৃৎপিন্ডে, মূত্রথলী, রেক্টাম, জরায়ু, যোনি যেন কুঁচকে আছে এই অনুভূতি—সামান্য ছোঁয়াতেই অনুভব হয় বা উৎপত্তি হয়। বুকে ভারবোধ মনে হয় যেন ভারী বোঝা চাপান আছে, যেন লোহার শেকলে বাধা আছে যা থেকে স্বাভাবিক নড়াচড়ায় বাধা আসে। মনে হয় বুকের নীচের দিকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাধা আছে তাতে ডায়াফ্রাম অঞ্চল টেনে ধরছে। (ডায়াফ্রাম = ফুসফুস ও পেটের মধ্যবর্তী আবেষ্টনী বা একটি অপরটি থেকে আলাদা করে রাখে।) মনে হয় একটা লোহার হাত বারে বারে হৃৎপিন্ড চেপে ধরছে আবার ছেড়ে দিচ্ছি- যেন হৃৎপিন্ড বাধা আছে সেই কারণে হৃৎপিন্ডের স্পন্দন হবার মত জায়গা নেই। শরীরে সর্বত্র বর্শাবেধার মত, বিদ্যুৎ তরঙ্গের মত লাফানো, সাড়াঁশি দিয়ে চেপে ধরার মত বেদনা। তীব্র যন্ত্রণা হয়ে শেষ হয় আবার যন্ত্রণা শুরু হয় । শুয়ে থাকলে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে (বোভিষ্টা, কষ্টি)। বুক ধড়ফড়ানি সারা দিনরাত, হাঁটাচলায় ও বাঁদিক চেপে শুলে বেড়ে যায় (ল্যাকে); ঋতুস্রাব হওয়ার শুরুতে ঐভাবে বাড়ে। জ্বর বেলা ১১টা ও রাত ১১টায় ঘুরে ঘুরে আসে। সম্বন্ধ — একোন ডিজি, জেলস, ক্যালমিয়া, ল্যাকে, টেবেকাম-তুলনীয়। শক্তি – ৬, ৩০, ২০০। Cact : Cactus Grandiflorus
|