Aur | মানসিক বিষন্নতা। আত্নহত্যা করবার অদম্য ইচ্ছা। রোগী সর্বদাই যেন নৈরাশ্যের সমুদ্রে ডুবে থাকে, জীবন তার সদাই ভার অনুভূতি, মৃত্যু হলেই যেন বাঁচে, খিটখিটে মেজাজ। |
Aur | উপদংশজনিত অস্থির অসুস্থতা, পারদের অপব্যাবহার জনিত অস্থির রোগ। |
Aur | নাক ও অন্যান্য স্থানের ক্ষুদ্র ক্ষত। |
Aur | নাকের ভিতর ক্ষত (ওজিনা)। |
Aur | অস্থি বা হারে বেদনা, রাত্রে বৃদ্ধি হয়। |
Aur | মস্তকের চুল উঠে যায়, বিশেষত উপদেংশ হেতু। |
Aur | বয়ঃসন্ধি বালিকার মুখে অত্যন্ত দুর্গন্ধ। |
Aur | শরীরের ভিতরে গরম অনুভূতি, কিন্তু বাহিরে ঠান্ডা অনুভূতি। রক্তপ্রধান, রাগী লোক, কালো চুল কালো চোখ। সজীব, অস্থির, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে উদ্বেগ। বৃদ্ধ, যাদের দৃষ্টি ক্ষীণ, মোটা দেহ, জীবনে বিতৃষ্ণা। পারদের অপব্যবহারে সিফিলিসের কুফলে স্বাস্থ্য যাদের ভেঙ্গে গেছে এরূপ ক্ষেত্রে উপযোগী। রোগাটে ছেলে, নির্জীব, কোন কাজে উৎসাহ নেই, স্মৃতিশক্তি দুর্বল, শিশুদের ছেলেমানুষির অভাব, অন্ডকোষ বয়সানুযায়ী বাড়ে না শুধু চামড়ার থলির মত ঝুলে থাকে। সর্বদা আত্মহত্যার চিন্তা করে (ন্যাজা)। [আত্মহত্যার চিন্তা করে কিন্তু মরতে ভয় পায় নাক্স-ভ]। অত্যন্ত বিষন্ন, নিজের প্রতি ঘৃণা হয়, ঝগড়াটে; আত্মহত্যা করতে চায়, জীবন বোঝা বলে মনে হয়, পারদের অপব্যবহারে, প্রায় সব রোগেই এই বিষন্নভাব। অস্বস্তি, ভীষণ ব্যস্তভাব- মানসিক ও দৈহিক পরিশ্রমের কাজ করতে ভীষণ ইচ্ছা অথচ কোন কিছুই দ্রুত করতে পারে না (আর্জ-নাই)। ভয়, রাগ, প্রতিবাদ করলে, বিরক্তি, খারাপ কিছুর আশঙ্কা বা মানসিক অসন্তোষ চেপে রাখার ফলে রোগ হলে (ষ্ট্যাফিস) প্রযোজ্য। অত্যন্ত স্নায়বিক, সামান্য প্রতিবাদেই রেগে যায় (কোনি)। ব্যথাবেদনা, গন্ধ, স্বাদ, শ্রবণ ও স্পর্শে অত্যানুভূতি (এনাকার্ডি)। যে সব লোকের মুখ কালচে বাদামি রঙের, দুঃখিত, বিষন্ন, কম কথা বলে, কোষ্ঠবদ্ধ ধাতু তাদের সামান্য মানসিক পরিশ্রমে মাথার যন্ত্রণা হলে প্রযোজ্য। বিশেষতঃ সিফিলিস ও পারদ অপব্যবহারের কুফলে চুল উঠে যাওয়া। অৰ্দ্ধদৃষ্টি – কেবলমাত্র সব জিনিসের নিচের অর্দ্ধভাগ দেখতে পায় (কেবল বা-অৰ্দ্ধ দেখে = লিথি-কা; লাইকো)। সিফিলিস ও পারদ ব্যবহারের কুফলে হাড়ের রোগ। হাড়ের ক্ষয়রোগ – নাকের নরম হাড় ও ম্যাষ্টয়েড হাড়ে ক্ষয়রোগ, ওজিনা বা নাকে দুর্গন্ধযুক্ত মামড়ি, কানে পুঁজ হয়, তাতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ স্রাব— ব্যথা রাতে বাড়ে। রোগী যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়ে— এই বেদনা সিফিলিস ও পারদ বিষাক্ততা হতে উৎপত্তি (আসাফো)। কোন উঁচু জায়গা হতে কিছু পাড়বার সময় বা কোঁথ দিলে (পডো, রাস) ও বড় হয়ে যাওয়া (কোনি) জরায়ু বার হয়ে পড়ে এবং জরায়ু শক্ত হয়ে যায়। ঋতু ও জরায়ু ঘটিত রোগ, সাথে অত্যন্ত বিমর্ষভাব-ঋতুর সময় এইভাব বাড়ে। যৌবনোদ্গমের সময় মেয়েদের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ। হৃৎপিন্ড মনে হয় স্থির হয়ে গেছে যেন আর নড়ছে না তারপর হঠাৎ ঝাঁকি দিয়ে নড়ে ওঠে (সিপিয়া)। ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি, উদ্বেগ সেইসাথে পরিশ্রম করলে মাথায় ও বুকে রক্তসঞ্চয় হয়; নাড়ী ক্ষুদ্র, দুর্বল, দ্রুত, এক সমান চলে না; ক্যারোটিড ও টেম্পোরাল ধমনী (শিরা) কাপে-যা খালি চোখে দেখা যায় (বেল, গ্লোনয়িন)। হৃৎপিন্ডের পেশীতে চর্বি জমে (ফস)। সম্বন্ধ – অরামের পর সিফিলিনাম বা সিফিলিনামের পর অরাম ভাল কাজ দেয়। হাড়ের রোগে, জরায়ু রোগে—আসাফো, ক্যাল্কে-কা, প্ল্যাটিনা, সিপিয়া, টেরেন্টুলা, থেরিডি এর সমগুণ। বৃদ্ধি — ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা লেগে, শুয়ে থাকলে, মানসিক পরিশ্রমে। অনেক রোগ লক্ষণ শীতকালে হয়। উপশম – গরম আবহাওয়াতে। শরীর গরম হলে, সকালে ও গ্রীষ্মকালে। শক্তি – ৩০, ২০০ হতে উচ্চশক্তি। |