Ars | শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা, রোগের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত অস্থিরতা বর্তমান থাকে। |
Ars | রোগের কারণে মৃত্যুভয়, ক্যানসার হওয়ার ভয়। |
Ars | আক্রান্ত স্থানে জ্বালা, উত্তাপ প্রয়োগ করলে জ্বালা ও ব্যথার উপশম কিন্তু মাথায় ঠান্ডা পানি দিলে উপশম। |
Ars | অত্যন্ত পিপাসা কিন্তু বার বার অল্প মাত্রায় পানি পান করে, পুরাতন রোগে পিপাসা থাকে না। |
Ars | অতিমাত্রায় দুর্বলতা ও অবসাদ, মধ্য রাত বা মধ্য দিবসের পরে রোগের বৃদ্ধি। |
Ars | সময়ানুবর্তিতা, রোগ ঠিক একদিন, দুইদিন, তিনদিন, এক সপ্তাহ বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রকাশ পায়। |
Ars | শরীরের সকল স্রাব পরিমাণে অল্প, তরল, ক্ষয়কর ও পচা মাংসের মত দুর্গন্ধ যুক্ত। অত্যন্ত অবসন্নতা, সাথে জীবনী শক্তির দ্রুত ক্ষয়, মূর্চ্ছা। এইরূপ প্রকৃতি : (ক) অবসাদ, বিষন্ন, হতাশ ও উদাসীন। (খ) উদ্বেগ, ভীত, অস্থির, বিরক্তিপূর্ণ। (গ) খিটখিটে, অনুভূতি প্রবণ, অল্পেই বিরক্তি, অল্পেই রাগ। যন্ত্রণা যত বাড়ে, উদ্বেগ, অস্থিরতা ও মৃত্যুভয় ততই বাড়তে থাকে। মানসিক ভাবে অস্থির কিন্তু শারীরিকভাবে এতই দুর্বল যে নড়াচড়া করতে পারে। শুধুই জায়গা পরিবর্তন করতে থাকে। এক বিছানা থেকে অন্য বিছানায় যেতে চায়, একবার এখানে আর একবার সেখানে শুতে চায়। উদ্বেগ, মৃত্যুভয়— মনে করে ওষুধ খেয়ে কোন লাভ হবে না, এ রোগ সারবে না—নিশ্চিতভাবে সে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে; একা থাকলে বা শুয়ে থাকলে মৃত্যুভয় হয়। উৎকণ্ঠায় রাত্রে বিছানা হতে উঠে পড়ে—এই ভাব মধ্যরাতের পর বাড়ে। যন্ত্রণায় জ্বালা থাকে; আক্রান্ত অংশ আগুনের মত জ্বালা হয়—মনে হয় কেউ জ্বলন্ত কয়লা রেখে দিয়েছে (এনথ্রাসিন) এই জ্বালা উত্তাপে, গরম পানীয়ে, গরম কিছু বাহ্য প্রয়োগে উপশম হয়। পিপাসায় গলা, বুক জ্বালা করে কিন্তু জলপানের ইচ্ছা ততটা নয়; পাকস্থলী যেন জল সহ্য করতে পারে না, ঠান্ডা জল হজম হয় না, ঠান্ডা জল যেন পাথরের মত শক্ত হয়ে পড়ে থাকে, সে জল চায় ঠিকই কিন্তু পান করতে পারে না, পান করতে সাহসেও কুলায় না (কারণ জল খেলেই আবার বমি হয়ে যাবে, তার কষ্ট বাড়বে)। খাদ্যদ্রব্য দেখা বা তার গন্ধ সহ্য করতে পারে না (কলচি, সিপিয়া)। ঠান্ডা জলপানের খুব ইচ্ছা, বারে বারে জল খায় কিন্তু প্রতিবারে অতি অল্প পরিমাণে। খায় বারে কম কিন্তু পরিমাণে অনেকটা। ঠান্ডা ফল, আইসক্রিম, বরফজল, টক বিয়ার জাতীয় মদ, পচা মাংস, মদজাতীয় পানীয়, কড়া পনির প্রভৃতি খেলে পেটের গন্ডগোল দেখা দেয়। দাঁত ওঠার সময়ে শিশু ফ্যাকাশে, দুর্বল, খিটখিটে হয়ে যায়, কোলে উঠে তাড়াতাড়ি বেড়াতে বলে । উদরাময় – খাওয়াদাওয়া ও পানের পর; মল সামান্য কালচে রঙ, দুর্গন্ধ; মলত্যাগ বেশীই হোক বা কমই হোক মলত্যাগের পরে অত্যন্ত অবসন্নভাব। অর্শরোগ – নড়াচড়ায় ও বসে থাকলে (রেকটামে) সূঁচফোটানো যন্ত্রণা কিন্তু মলত্যাগের সময় কোন যন্ত্রণা থাকে না। যন্ত্রণায় বসে থাকতে বা ঘুমাতে পারে না। যন্ত্রণায় জালা থাকে—গরমে উপশম পায়। মলদ্বার ফেটে যায় সেজন্য প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়। শ্বাসপ্রক্রিয়া – হাঁপানী রোগীর মত, রোগী বসে থাকতে বা সামনে ঝুঁকে বসে থাকতে বাধ্য হয়, রাতে বিশেষ করে রাত ১২ টার পর বিছানায় লাফ দিয়ে উঠে বসে; দম বন্ধ হয়ে যাবে—এই ভয়ে শুতে পারে না। সাধারণ আমবাতের পরিবর্তে কুপ কাশির মত কাশি হলে প্রযোজ্য। রোগী খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়, ঠান্ডা ঘাম হয় ও সাথে ভীষণ দুর্বলতা (টিউবার, ভিরেট্রাম); আক্রান্ত অংশ শুকিয়ে যায়, পুঁয়ে পাওয়া রোগ (ম্যারাসমাস-হাড়ের উপর শুধু চামড়া, মাংস একদম থাকে না, চামড়া ভাঁজ ভাঁজ হয়ে ঝুলে পড়ে, খেতে পারে না, খেলে সহ্য হয় না আবার খেতে পারলেও গায়ে লাগে না) সর্বাঙ্গীন শোথ, চামড়া ফ্যাকাসে, মোমের মত, এঁটেল মাটির মত গায়ের রঙ (এসেটি-এসি)। সামান্য পরিশ্রমে অত্যন্ত অবসন্নভাব। স্থিরভাবে শুয়ে থাকলে কোন অবসন্নভাব থাকে না কিন্তু সামান্য নড়াচড়া করলে ভীষণ অবসন্নতা বোধ করে। রোগী নিজে আশ্চর্যবোধ করে। এতে আশ্চর্য হয়ে যায়, রোগ লক্ষণ সাধারণতঃ বেলা ১টা হতে ২টা ও রাত ১২টা হতে ২টার মধ্যে বাড়ে। গায়ের চামড়া শুকনো, আঁস ওঠে, ঠান্ডা, নীলচে, কুঁচকে যায় সেই সাথে ঠান্ডা চটচটে ঘাম। চামড়া পার্চমেন্ট কাগজের মত সাদা ও চটচটে, চামড়ার ওপর কালচে ফুস্কুরী এবং জ্বালা ও ব্যথা থাকে । পার্চমেন্ট কাগজ বা চামড়া – চামড়া রঙের আগে কাঁচা চামড়ায় রাসায়নিক সহযোগে চামড়া পরিস্কার ও শুকানো হয়, কোন ভাঁজ থাকলে তা টান টান করা হয় একে ষ্টেইনিং বলে। (ষ্টেইন করা হলে চামড়া শুকনো খড়খড়ে হয়, সেটাই ঐ কাগজ) পচা খাবার বা মৃত জৈব পদার্থ সহযোগে টীকা দেওয়া, শোঁকা, অথবা দেহের ভেতর ঢুকে গিয়ে তার কুফলে। রোগ প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে আসে (কার্ব-ডে; ল্যাকে, সালফ, থুজা)। সম্বন্ধ – অনুপূরক- এলি-সেপা, কার্ব-ভেজ, ফস, পাইরো। তামাক খেলে, মদ খেয়ে, সমুদ্রে স্নান করে, বিষাক্ত খাবার খেয়ে, শবব্যবচ্ছেদে, এনথ্রাবস বিষ সংক্রমণে, বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে যে কোন রো হলে আর্সেনিকের কথা চিন্তা করা উচিত। বৃদ্ধি – মাঝ রাতের পর (বেলা বা রাত ১টা হতে ২ টা) ঠান্ডায়, ঠান্ডা খাদ্য বা পানীয়ে, আক্রান্ত অঙ্গ চেপে শুলে, বা মাথা নীচু করলে বাড়ে। উপশম – সাধারণভাবে গরমে (বিপরীত সিকেল) মাথাব্যথা গরমে উপশম হয় না, ঠান্ডা জলে ধুলে সাময়িকভাবে মাথা যন্ত্রণার উপশম হয়। (স্পাইজে) জ্বালাযুক্ত ব্যথা গরমে উপশম হয়। উপশম হয়। শক্তি — ৩x, ৬, ৩০, ২০০। Ars : Arsenicum Album
|