আর্ণিকা মন্টানা ARNICA MONTANA [Arn] - Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

ফোনে অর্ডার দিতে: 01720000039 অর্ডার করার জন্য প্রোডাক্ট কোডটি লিখে কল বা SMS, Whatsapp, IMO করুন. সারা বাংলাদেশ কুরিয়ারে ডেলিভারি । Ginseng Alkushi Ashwagandha জিনসিং আলকুশি, অশ্বগন্ধা শিমুল

SUBTOTAL :
আর্ণিকা মন্টানা ARNICA MONTANA [Arn]

আর্ণিকা মন্টানা ARNICA MONTANA [Arn]

Short Description:

Product Description

 


Arnআঘাত, পতন, চাপা লেগে থেঁৎলে যাওয়ার জন্য তরুণ বা পুরাতন উপসর্গে সর্বাপেক্ষা উপযোগী।
Arn শরীরে চোট লাগার মত কালশিরা পড়ে, আঘাতের দরুণ রক্তস্রাব।
Arn সমস্ত শরীরে অত্যন্ত ব্যথা, স্পর্শ-ভীতি, কেহ তাকে স্পর্শ করুক তা চায় না, বিছানা শক্ত মনে হয়।
Arn মস্তক ও মুখমন্ডল গরম কিন্ত শরীরের অন্যান্য অংশ শীতল।
Arn অচৈতন্য অবস্থায় অসাড়ে মলমূত্র ত্যাগ, কথার জবাব দিতে দিতে পুনরায় তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
Arnজরায়ু প্রদেশে চোট লাগার মত বেদনা, রোগী সোজা হয়ে চলতে পারে না।

স্নায়বিক স্ত্রীলোক, মোটাসোটা রক্তপ্রধান, মুখশ্রী সতেজ ও ভীষণ লালচে আভা মুখ—এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপযোগী।

শরীরের কোন যন্ত্রে বাহ্যিক আঘাতের কুফলে রোগ— তা যদি বহুদিন আগেও হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে। যাদের সামান্য ছোটখাট আঘাতের অনুভূতি বহুদিন যাবৎ থেকে যায় বিশেষভাবে তাদের ক্ষেত্রে উপযোগী।

সর্বাঙ্গে ক্ষতবৎ, খোঁড়াদের মত, থেৎলে যাওয়ার মত ব্যথা বেদনা, মনে হয় যেন তাকে পেটানো হয়েছে। পেশীতে আঘাত লেগে রোগ হলে উপযোগী।

পড়ে গিয়ে (উঁচুস্থান হতে) আঘাত, বিশেষতঃ যদি মাথায় ঝাঁকুনি লেগে ‘অজ্ঞান হয়ে ও অসাড়ে মলমূত্র ত্যাগ করলে প্রযোজ্য। ভোঁতা কোনকিছুতে আঘাত লাগার পরবর্তী অবস্থায় (সিম্ফইটাম) হাড় ভেঙ্গে গিয়ে তাতে প্রচুর পুঁজ জমলে (ক্যালেনডুলা)। মাথায় ঝাঁকানি বা হাড়ে কোনভাবে চাপ লেগে, মানসিক আঘাত বা দেহে কোনভাবে আঘাত লেগে, দেহে নরম অংশে (মাংসপেশীতে) আঘাত লেগে তাতে ছড়ে যায় না—এমন সবেতে পুঁজ হতে দেয় না অথবা পুঁজরক্ত শুষে নিতে সাহায্য করে।

স্নায়বিক, ব্যথাবেদনা সহ্য করতে পারে না— সারাদেহ স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে (ক্যামো, কফিয়া, ইগ্নে)।

যাতে সে শোয় সবকিছুই শক্ত বলে মনে হয়; বিছানা শক্ত- সব সময় এই অভিযোগ করে নরম জায়গা পাওয়ার জন্য সে অবিরত এপাশ ওপাশ করতে থাকে (যে দিকে চেপে শোয় দেহের সেই অংশে ক্ষতবৎ ও থেৎলানো ব্যথা অনুভব করে—(ব্যাপ্টি, পাইরো, উপশম পেতে সর্বদা নড়াচড়া করতে থাকে— রাস ট)। দেহের উপর অংশে তাপ ও নিচের দিকে ঠান্ডা।

কেবলমাত্র মুখ অথবা মুখ ও মাথা গরম বাকী অংশ ঠান্ডা।

অচেতনভাব— কোন কিছু প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর দেয় পরক্ষণেই অচেতন ও প্রলাপভাব ফিরে আসে (কোন কিছু বলতে বলতে মাঝপথে ঘুমিয়ে পড়ে ব্যাপ্টি)।

অসুস্থ অথচ বলে তার কিছু হয় নাই।

মেনিনজাইটিস – পড়ে গিয়ে দেহে কোন যন্ত্রে আঘাত লেগে, উঁচু থেকে পড়ে গিয়ে, মাথায় ঝাঁকি লেগে, ঐসব কারণে দেহের ভিতরে রক্তস্রাব হচ্ছে। এরকম আশঙ্কায় প্রয়োগ করলে রক্তস্রাব শুষে নিতে সাহায্য করে।

মেনিনজাইটিস – পাইনাল কর্ড ও ব্রেন (মস্তিষ্ক) এর মেমব্রেণ বা পর্দার প্রদাহ। মেনিঞ্জেস— তিন রকম পর্দা দিয়ে গঠিত। [A] ডুরা ম্যাটার (বাইরের অংশ) [B] এ্যারাকনয়েড (মাঝের) [C] পায়া ম্যাটার (ভিতরের)। এই প্রদাহ বহুভাবে হতে পারে—

(১) মে, একুট সেপটিক – ভাইরাস ইনফেকশন থেকে, পুঁজ হয় না, মারাত্মক হয় না অল্পদিন থেকে সেরে যায়।

(২) মে, একুট মেনিনঞ্জোকক্কাল— নেইসেরিয়া মেনিনজাইটাইডিসও গ্রাম নেগেটিভ কক্কাই জীবাণুর সংক্রমণে, সময়মত রোগ নির্ধারণে ও সঠিক ওষুধে রোগ দমিত হয়।

(৩) মে, এ্যাসেপটিক – জীবাণুঘটিত বাতাস বা ওষুধ দ্বারা সাব এ্যারাকনয়েড স্পেস এ সংক্রমণে।

(৪) মে, ব্যাসাল – মস্তিষ্কের বেস্ (তলদেশ) আক্রান্ত হয় প্রধানতঃ টিউবার কিলোসিস রোগে।

(৫) মে, সেরেব্রাল – মস্তিষ্কের তরুণ বা পুরান রোগে;

(৬) মে, সেরেব্রোস্পাইনাল মস্তিষ্ক ও সুষুমাকান্ডতে প্রদাহ হয়ে,

(৭) মে, নিউমোকক্কাল – নিউমোকক্কাস জীবাণু সংক্রমণে, সাধারণতঃ শিশুদের হয়।

(৮) মে, সিরোসা সারকামসক্রিপটা – মস্তিষ্কের বা সুষুম্নাকান্ডে সিরাস রস জমে টিউমার তৈরী হয়।

(৯) মে. সিরাস – মস্তিষ্কের প্রকোষ্ঠে সিরায় রস জন্মে।

(১০) মে, ট্রমাটিক — মেনিঞ্জেস আঘাত লেগে হলে।

(১১) মে, টিউবার কুলাস – টিউবারকল ব্যাসিলাস জীবাণুর সংক্রমণে তরুণ প্রদাহ।

মস্তিষ্কের জলজমা (হাইড্রোসেফেলাস) রোগে শিশুদের সামনের হাত দুটি মড়ার মত ঠান্ডা, (উদরাময়ে ঐ লক্ষণে – ব্রোমিয়াম)।

সন্ন্যাসরোগ – জ্ঞান হারায়, অসাড়ে মলমূত্র ত্যাগ করে। তরুণ আক্রমণে ক্ষরিত রক্ত বন্ধ ও শোষণে সাহায্য করে এ ওষুধ। অন্য ওষুধের লক্ষণ না পাওয়া অবধি এর প্রয়োগ চলতে থাকবে ও কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে এর কাজ হতে দেবে—এ্যলেন।

আঘাত বা দমকা কাশির জন্য চোখের সাদা অংশ ও রেটিনা হতে রক্তস্রাব সেই সাথে রক্ত জমে থাকা (লিডাম, নাকস) এ ওষুধে সারে।

গেঁটেবাত বা বাত — কেউ কাছে আসলে তার ছোঁয়া বা আঘাত লাগার ভীতি এ লক্ষণে প্রযোজ্য।

পেলভিক বা বস্তিদেশে – থেৎলে যাওয়ার মত ব্যথা, সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না। একটার পর একটা ছোট ছোট ভীষণ ব্যথাযুক্ত ফোড়া হবার প্রবণতা ফোড়ায় ভীষণ ব্যথা থাকে (দলে দলে ছোট ছোট ফোড়া হলে -সালফ)।

পক্ষাঘাত (বাঁদিকে) – নাড়ী পূর্ণ ও সবল, নিশ্বাসে ঘড় ঘড় শব্দ, দীর্ঘশ্বাস সাথে বিড় বিড় করে প্রলাপ বকে।

উদ্গার শূন্য ঢেকুর ওঠে তাতে পচা ডিমের মত দুর্গন্ধ থাকে। আমাশয় সেইসাথে প্রস্রাব বন্ধ, নিষ্ফল মলবেগ, বহুক্ষণ পর পর মলত্যাগ।

কোষ্ঠবদ্ধতা – রেক্টাম মলে ভর্তি অথচ মল বার হতে চায় না। প্রষ্টেটগ্ন্যান্ড বেড়ে বা জরায়ুমুখ উল্টে গিয়ে সরু ফিতার মত চ্যাপ্টামল। প্রসবের পর জননাঙ্গ ক্ষতবোধ, প্রসবের পর রক্তস্রাব ও নানা উপসর্গে এ ওষুধ প্রয়োগে নিবারণ হয় ।

প্রসবের পর প্রস্রাব বন্ধ বা অসাড়ে প্রস্রাব (ওপি) সারায়।

(রেক্টাম— অ্যানাস বা গুহ্যদ্বারের ঠিক আগে অন্ত্রের যে অংশ)

সম্বন্ধ — একোনাইট, হাইপেরিকাম ও রাস-ট-এর অনুপূরক।

সমগুণ – থেলানোমত ব্যথায়— ব্যাপ্টি, চায়না, ফাইটো, পাইরো, রাস, রুটা, ষ্ট্যাফিস।

একোন, এপিস, হেমামে, ইপি ও ভিরেট্রাম-এর পর এ ওষুধে ভাল কাজ দেয়; আর্নিকার পর এসি-সালফ সুন্দর কাজ করে। মদ খাওয়ার ফলে ও কয়লার ধোঁয়ার শ্বাসরোধ হয়ে রোগ হলে সময় সময় আর্নিকা সূচীত হয় (এমন-কা; বোভিষ্টা)।

মেরুদন্ডের আঘাতে হাইপেরিকামের সাথে তুলনীয়।

বৃদ্ধি — বিশ্রামে, গুইলে, মদ খেলে।

উপশম — স্পর্শে ও নড়াচড়ায় (রাস, রুটা)।

শক্তি — ৩, ৩০, ২০০ বাহ্যিকভাবে θ ।