Arg-n | বিমর্ষ, ভাবপ্রবণ, সহজে রাগ হয়, মনে হয় যেন সময় অতি ধীরে ধীরে যায়, সব কাজে তাড়াতাড়ি করে, উঁচু বাড়ি দেখলে মাথা ঘোরে ও শরীর কাঁপে, উঁচু জায়গায় উঠলে ভয়। |
Arg-n | মিষ্টি খাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা, মিষ্টি খেলে বৃদ্ধি। |
Arg-n | পেট বায়ূতে পূর্ন হয়ে গড়গড় শব্দ হতে থাকে ও কষ্টে উদগার উঠে। |
Arg-n | মল সবুজ ও আমযুক্ত অথবা কিছুক্ষন থাকলে সবুজবর্ন হয়ে যায়, মল সজোরে বাহির হয়। |
Arg-n | রোগী ডানপাশে শুইতে পারে না, শুইলে হৃদপিন্ড কাঁপতে থাকে। |
Arg-n | জিহ্বায় ব্যথা, জিহ্বার ডগা লাল ও জিহ্বার উপরের দানাগুলি বেশ বড় বড়। অস্বাভাবিক, দীর্ঘদিনের মানসিক পরিশ্রমের ফলে তরুণ বা পুরাতন রোগ শুকিয়ে গেছে, রোগা, বুড়োদের মত দেখতে এরূপ রোগী পেলেই আর্জেন্টাম নাই, এর কথা চিন্তনীয় (পাতলা, রোগা-সিকেল)। প্রতিবছরই রোগাটেভাব বাড়তে থাকে নিম্নাঙ্গে বেশী দেখা যায় (এমন-মি); পূঁয়ে পাওয়া (শিশুদের)। মন্দির বা গীর্জা (উপাসনাস্থল) বা সিনেমা থিয়েটারে (রঙ্গমঞ্চ) যাওয়ার জন্য তৈরী হলেই আশঙ্কার ভাব, ঐ সময় উদরাময় এসে উপস্থিত হয় (জেল)। মনে হয়, সময় আস্তে আস্তে কাটছে (ক্যানা-ইন্ডি); খেয়ালি, সব কাজ তাড়াতাড়ি করতে চায়, অবশ্যই তাড়াতাড়ি হাঁটে, সবসময়ই ব্যস্ত, উদ্বিগ্ন, খিটখিটে ও স্নায়বিক (অরাম, লিলিয়াম)। শিরঃপীড়া — রক্তসঞ্চয় হয়ে, সাথে পূর্ণতা ও ভারবোধ যেন মাথা বড় হয়ে যাচ্ছে; পড়াশোনায় অভ্যস্ত যারা তাদের নিয়মিত পেটের গোলমাল, নাচ করায় শিরঃপীড়া; অর্দ্ধশিরঃশূল—কপালে সামনের দিকে বা টেম্পলে চাপমত, ক্রু – ঢোকানোর মত যন্ত্রণা—এটা পিত্তবমন করলে কমে। শিরঃপীড়া ক্লান্তিকর মানসিক পরিশ্রমে বাড়ে, চাপ দিলে বা শক্ত করে মাথা বেঁধে রাখলে উপশম (এপিস, পালস্)। (টেম্পল চিবুকের হাড়ের ওপর মাথার দুদিকে সমতল হাড় যেখানে কান ও চোখের মাঝের স্থান)। মাংসাঙ্কুরযুক্ত চোখের সাদা অংশের তরুণ প্রদাহ— চোখ অত্যন্ত লাল গোমাংসের মত প্রচুর পুঁজের মত স্রাব। সদ্যোপ্রসূত শিশুদের চোখের প্রদাহ, প্রচুর পুঁজের মত স্রাব, কর্ণিয়া অস্বচ্ছ ও ঘা হয়, চোখের পাতায় ব্যথা, ফোলে ও মোটা হয়ে যায়, সকালে, চোখ জুড়ে যায় (এপিস, মার্ক-স, রাস্ -ট)। সেলাই করে চোখে ব্যথা- গরম ঘরে ঝড়ে, খোলা বাতাসে কমে (নেটমি, রুটা); চোখের দৃষ্টি ঠিকভাবে না ফেলায় চোখের বিভিন্ন অসুখ। চিনি খেতে চায়, শিশু চিনি ভালবাসে। (লবণ বা ধোঁয়ায় ভাপান মাংস খেতে চায়—ক্যাল্কে-ফস)। পেটের গন্ডগোলে প্রায়ই উদার ওঠে । হজমের গোলমাল পেটে গ্যাস হয়। আহারের পরই টেকুর ওঠে। মনে হয় বায়ুতে পেট ফেটে যাবে। ঢেকুর তুলতে কষ্ট, শেষে ভীষণ জোরে আওয়াজ করে বায়ু বের হয়। উদরাময় : সবুজ আম থাকে, মল যেন শাক কুচানোর মত কুচিকুচি, কিছুক্ষণ মলপাত্রে থাকলে মল সবুজ রঙের হয়ে যায়। জল পান করলে, মিছরি বা চিনি খেলে উদরাময়। মলে খন্ড খন্ড দলাদলা আম (আসারাম) সাথে যথেষ্ট জোরে আওয়াজ করে বায়ু বের হয় (এলোজ)। জল খেলেই উদরাময় (আর্স, ক্রোটন-টিগ, ট্রাম্বিডি)। দিনরাত অসাড়ে প্রস্রাব হয় (কষ্টি)। ধ্বজভঙ্গ – সঙ্গমের চেষ্টা করলে লিঙ্গ ওঠে না। (এগ্নাস, ক্যালোডি, সেলিনি)। সঙ্গমে কষ্ট- স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই, সঙ্গমের পর যোনিপথে রক্তস্রাব (এসিনাই)। অতিরজঃস্রাব – অল্পবয়স্কা বিধবাদের বা বন্ধ্যানারীর। রজঃনিবৃত্তি কালে স্নায়বিক উত্তেজনার সাথে অতিরজঃস্রাব (ল্যাকে)। খোলা হাওয়া খেতে ভীষণ ইচ্ছা (এমিল-নাই, পালস, সালফ)। গায়কদের পুরানো স্বরযন্ত্র প্রদাহ, উঁচু স্বরে গান করলে কাশি শুরু। (এলুমিনা, আর্জ-মে, অরাম-ট্রি)। নিচের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অত্যন্ত দুর্বলতা সেই সাথে কম্পন, চোখ বুজে হাঁটতে পারে না (এলুমি)। দৃঢ়ভাবে হাঁটতে বা দাঁড়াতে পারে না বিশেষ করে যখন ভাবে যে, কেউ দেখছে না। আক্ষেপ শুরুর আগে ভীষণ অস্থিরতা দেখা দেয়। কিছু গিলতে গেলে মনে হয় গলায় কাঠি গোঁজা আছে (ডলিকস, হিপার, এসিড-নাই, সাইলি)। হাঁটা অথবা ঘোড়ায় চড়লে জরায়ুর মধ্যে ঐ অনুভূতি। গা খালি রাখলে শীত শীত বোধ আবার গায়ে ঢাকা দিলে দমবন্ধের মত হয়; খোলা হাওয়া চায়। সম্বন্ধ – নেট মিউর নাইট্রেট সিলভার দ্বারা পোড়ানোর কুফল দূর করে। কফিয়া স্নায়বিক শিরঃপীড়া বাড়িয়ে দেয়। ধূমপানে ছেলেদের রোগবৃদ্ধিতে (আর্স, ভিরেট্রাম)। সমগুণ – নেট মিউ, এসি-নাই, ল্যাকে, অরাম-ট্রি, কুপ্রাম। হজমের গোলমালে পেটে বায়ু হলে ভিরেট্রাম ও লাইকোর পর ভাল কাজ দেয়। বৃদ্ধি — ঠান্ডা খাদ্য, ঠান্ডা বাতাসে, চিনি বা মিষ্টি খেলে, আইসক্রিম খেলে, অযথা মানসিক পরিশ্রমে। উপশম – খোলা হাওয়ায়; মুখে ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা লাগাতে ভালবাসে। ঠান্ডা জলে স্নান করতে চায়। সদ্যোজাত শিশুদের চোখের প্রদাহে মূল ওষুধের দ্রবণ বাহ্য প্রয়োগে উপশম না হওয়ায় ২০০ তম ও ১০০০ তম শক্তির জলীয় দ্রবণ বাহ্য প্রয়োগে উপশম হতে দেখা গেছে । শক্তি – ৩ হইতে উচ্চশক্তি । |