Apis | মৌমাছি হুল ফুটালে যেরুপ জ্বালা যন্ত্রণা হয়, সেরুপ জ্বালা যন্ত্রনা, অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা, রোগ লক্ষণ সমূহ তীব্র ও দ্রুতবেগে আসে। |
Apis | সমস্ত শরীরে বা চোখের নিচের পাতায় শোথ বা ফোলা। |
Apis | তৃষ্ণার অভাব, ঘামের অভাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কম। |
Apis | অত্যন্ত বিমর্ষ ও অতি সহজেই কেঁদে ফেলে, যেন না কেঁদে থাকতে পারে না, খিটখিটে স্বভাব, অত্যন্ত ব্যস্ত ও চঞ্চল। |
Apis | কোন কাজ করতে গেলে হাতের জিনিস পরে যায়। |
Apis | ডিম্বাকোষে থেৎলানো বেদনা।মৌমাছির হুলের বিষ] [এপিয়াম ভাইরাস]
গন্ডমালাধাতু বিশিষ্ট (যাদের গালগলার গ্ল্যান্ড ফোলে), গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ড বাড়ে ও শক্ত হয়। সিরাস ক্যান্সার বা খোলা ক্যান্সার, (সিরাস শক্ত যা ফাইব্রাস তন্তু থেকে উৎপন্ন)। স্ত্রীলোক বিশেষতঃ বিধবাদের উপসর্গে, শিশু ও বালিকা, যদিও সতর্ক তবুও সময়ে সময়ে অপটু হয়ে পড়ে জিনিসপত্র নাড়াচাড়ার সময় হাত থেকে অজান্তে পড়ে যায় (বোভিষ্টা)। তরুণ উদ্ভেদ সম্পূর্ণভাবে দেখা না দিলে বা চাপা পড়ার কুফলে (জিঙ্কাম) হাম, স্কারলেট-জ্বর, শীতপিত্ত, হিংসা, ভয়, রাগ, বিরক্তি, দুঃসংবাদ হতে উৎপন্ন রোগ। খিটখিটে, স্নায়বিক, চঞ্চল—তাকে সন্তুষ্ট করা কঠিন। কাঁদো-কাঁদো ভাবনা কেঁদে থাকতে পারে না। সাহসশূন্য হতাশাভাব (পালস্)। জাগা বা ঘুমানো অবস্থায় শিশু হঠাৎ জোরে মর্মভেদী চিৎকার করে ওঠে (হেলেবোর)। শোথ — চোখের নীচের পাতার থলির মত ফুলে থাকে (উপর পাতায় ফোলা- কেলি কার্ব;) হাতে পায়ে ফোলা; সোথ কিন্তু পিপাসাহীন(শোথ কিন্তু পিপাসা থাকে- এসেটি-এসি, এপোসাই)অত্যন্ত স্পর্শানুভূতি(বেল ল্যাকে)। ব্যথা — জ্বালাযুক্ত, হুল বেঁধার মত, ক্ষতবৎ হঠাৎ এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় সরে যায়। (কেলি-বাই, ল্যাক-ক্যা, পালস্)। সর্বাঙ্গীণ শোথরোগে ও উদরী রোগে-তৃষ্ণা থাকে না। (উদরী— এসে-এসিড, যাতে মুখ মোমের মত ফ্যাকাশে ও অত্যন্ত তৃষ্ণা থাকে)। প্রস্রাব চাপতে পারে না সেই সাথে মূত্রপথে অত্যন্ত প্রদাহ—এক মুহূর্তও অপেক্ষা করতে পারে না। মূত্রত্যাগের সময় মূত্রপথে গরম জলে ঝলসে যাওয়ার মত জ্বালা হয়। বারে বারে কিন্তু পরিমাণে অল্প, রক্তাক্ত, যন্ত্রণাদায়ক প্রস্রাব । কোষ্ঠবদ্ধতা — যেন পেটে কিছু চাপ বেধে আছে, জোরে চাপ দিলে যেন পেট ফেপে যাবে। উদরাময় — মাতালদের, উদ্ভেদযুক্ত রোগে বিশেষতঃ যদি উদ্ভেদ (চর্মরোগ) চাপা পড়ে থাকে, একটু নড়াচড়ায় অসাড়ে মলত্যাগ মনে হয় মলদ্বার যেন খোলা রাখা আছে (ফস)। ডানদিক আক্রান্ত হয়। ডান ডিম্বকোষ বা ডান অন্ডকোষ বড় হয় ও শোথযুক্ত হয়। অবিরাম জ্বর – শীত ভাব আসে বেলা ৩টায় সেই সাথে পিপাসায় (ইগ্নে), গরম ঘরে বাড়ে, বাইরের উত্তাপে বাড়ে (থুজা—বেলা ৩টায় ও রাত ৩টায় বাড়ে)। সম্বন্ধ – অনুপূরক নেট-মিউর। রাস-টক্সের আগে বা পরে চলে না। এপিসের পর আর্স ও পালস্ ভাল কাজ দেয়। স্কারলেট-ফিভার ও এলবুমেনযুক্ত প্রস্রাবে ক্যান্থারিস, ডিজিটা, হেলিবোর ব্যর্থ হলে এর দ্বারা রোগ সেরে গেছে। বৃদ্ধি — ঘুমের পর (ল্যাকে); বদ্ধ বিশেষকরে গরম ও উত্তপ্ত ঘর রোগী সহ্য করতে পারে না; জলে ভিজে বাড়ে (রাস) কিন্তু জলে গা ধুলে ও আক্রান্ত জায়গা জলে মুছলে উপশম পায়। উপশম — খোলা হাওয়ায়, ঠান্ডা জলে স্নানে, গায়ের কাপড় খুলে ফেললে, হাঁটাচলায় ও স্থান পরিবর্তনে, সোজা হয়ে বসলে । শক্তি — ৬, ৩০, ২০০ হতে উচ্চশক্তি । |