সকল লক্ষণ শীতকালে ও বজ্রঝড়ের পূর্বে এবং পরে বৃদ্ধি, গ্রীষ্মকালে চর্মরোগের উপশম। |
মনে করে মৃত্যু নিকটে সেজন্য প্রস্তুতি নেয়। |
ঘুমের ভিতর অথবা বিকারের সময় রোগী মনে করে তার সাথে অন্য কেউ শুয়ে আছে। |
শুধু দিনের বেলা ডাইরিয়া ও রাতে কাশি। |
রাক্ষুসে ক্ষুধা, উদরাময়ের পর, স্নায়বিক ও মেরুদন্ডের অসুস্থতায় এরূপ ক্ষুধা লাগে। |
স্মৃতিশক্তি দুর্বল, চেনা রাস্তা ভুল হয়। উপযোগিতা – যাদের চামড়া ও চুল পাতলা, খিটখিটে ও ঝগড়াটে (নাক্স-ভ) একটুতেই সহজেই অপমানিত বোধ করে, (ইগ্নে, মেডো), সবকিছুতেই রেগে যায় এমন লোকেদের অসুখে উপযোগী। গাড়ীতে চড়লে, রেলগাড়ীতে চড়ে বা জাহাজে চড়লে অসুস্থ হয় (ককু, স্যানিকি) তাদের পক্ষে উপযোগী। বজ্রবিদ্যুতসহ ঝড়বৃষ্টির আগে ও সময়ে রোগ লক্ষণ বেড়ে যায় (নে-কা, ফস, সোরিন)। রোগলক্ষণ হঠাৎ আসে হঠাৎ যায় (বেল, ম্যাগ-ফস)। প্লাটিনা ও ষ্ট্যানাম এর বিপরীত। বিকার বা ঘুমের মধ্যে মনে করে যেন একটি পা দুটো হয়ে গেছে, একই বিছানায় যেন অন্য আরেকজন তার পাশে শুয়ে আছে, (প্রসূতি) মনে করে যেন দুটো সন্তান তার পাশে শুয়ে আছে (ভ্যালেরি)। মাথাঘোরা — বিছানায় উঠে বসলে (ব্রায়ো), মাথার পেছনদিকে, যেন মাতাল হয়ে গেছে, সমুদ্র ভ্রমণ থেকে যেমন অসুস্থতা হয় সেই রকম অনুভূতি (ককু)। মাথা যন্ত্রণা — মাথার পেছনটা যেন সীসার মত ভারী মনে হয়, চাপ দেওয়া মত ব্যথা, দপদপানি ব্যথা, মাথার ভেতরে সবকিছু যেন জীবন্ত, অবশভাব, থেৎলানো ব্যথা, মাথাটা যেন কাঠের তৈরী—এসব লক্ষণে প্রযোজ্য । পেট ব্যথা — গর্ভবস্থায় হয়— চাপ দেওয়া মত, টেনে ধরামত যন্ত্রণা পাকস্থলী যখন খালি থাকে তখন পেট ব্যথা হয়— অনবরত খেতে থাকলে পেট ব্যথা কমে যায় (এনাকার্ডি, চেলিডো, এলিয়াম-সিপা)। উদরাময় – হলদে, জলের মত, তোড়ে বার হয়, বাঁধাকপি বা টক ফল খেয়ে, গর্ভাবস্থায়, ঝোড়ো আবহাওয়ায় উদরাময়—যখনই হয় দিনের বেলায় হয়। চর্মদেহে অবস্থানের চামড়ায় বেদনা হয়, ছোঁয়া লাগান যায় না, যে কোন কাপড় চোপড়েই ব্যথা করে–সামান্য আঘাতেই পেকে গিয়ে পুঁজ হয়। (হিপার) হাতের পাতার চামড়া খসখসে, ফাটা ফাটা, আঙ্গুলের ডগা ফাটাফাটা ও খসখসে- শীতকাল এলেই ঐরূপ হয় পায়ের পাতার চামড়া ফেটে যন্ত্রণা হয়, পায়ের পাতায় দুর্গন্ধ ঘাম বার হয় (গ্র্যাফা, স্যানিকি, সাইলি)। হার্পিস — জননেন্দ্রিয়ে হয়ে পেরিনিয়ম ও উরু পর্যন্ত বেড়ে যায়। পেরিনিয়ম = Perineum = মলদ্বার ও যৌনেন্দ্রিয়ের মাঝে যে অংশ। হার্পিস-চুলকায় লাল হয়ে যায়, চামড়া ফেটে যায়। খসখসে হয়ে রক্ত বার হয়। হার্পিস শুকনো বা ভেজা রসযুক্ত—এসব লক্ষণে প্রযোজ্য । হাতের তালু ও পায়ের তলায় গরম ভাব ও জ্বালা করে (স্যাঙ্গুইনে, সাল) যৌন ইন্দ্রিয়ের বাইরের চারপাশে, স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই ঘামে ভিজে যায় । শীতের দিনে ঠান্ডা লেগে হাতে পায়ে প্রদাহ হয়ে ফুলে যায় তাতে যন্ত্রণা হয়, চুলকায়, হাতের চামড়া ফাটে—ঐ শীতে বৃদ্ধি। শয্যাক্ষত হলে এসব লক্ষণে ব্যবহার্য। হৃৎপিন্ডের পাশে ঠান্ডা অনুভূতি (কার্ব-এনি, কেলি-মি, নেট-মি)। সম্বন্ধ – সীসা হতে বিষাক্ততায় বিষণ্ণ পেট্রোলিয়াম। চর্মলক্ষণ শীতের দিনে বাড়ে, গরমকালে কমে যায় (এলুমি), এর চর্মলক্ষণ চাপা পড়ে উদরাময় হয় । বৃদ্ধি- গাড়ীতে চড়লে (ককু, স্যানিকি), ঝড়বৃষ্টির সময়, শীতকালে (এলুমিনা)। শক্তি– ১২, ৩০, ২০০, ০/১ হতে ০/৩০ শক্তি । |