গ্রীষ্মের গরমে শরীর অত্যন্ত দুর্বল লাগে, গ্যাসের আলো বা রোদে বৃদ্ধি। |
দুর্বল গোড়ালি, সামান্য কারনে গোড়ালী মচকে যায়। |
সামান্য মানসিক পরিশ্রম করলে বুদ্দির জড়তা দেখা দেয়। |
ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে অত্যন্ত উৎকন্ঠা ও মানসিক চাঞ্চল্য দেখা দেয়, গান শুনলে আরও বৃদ্ধি। |
সাধারনত ভোর ৫ টায় বৃদ্বি, সে সময় ভয়ানক ক্ষুধা লাগে। |
দুধ সহ্য হয় না। (কার্বনেট অব সোডা) উপযোগিতা— খোলা বাতাস অসহ্য, মানসিক বা দৈহিক কোন রকম পরিশ্রম করতে অনিচ্ছুক ও জড়ভরত স্বভাব এমন ধাতুবিশিষ্ট লোকেদের রোগে উপযোগী । গ্রীষ্মকালের রোদের তাপে প্রচণ্ড দুর্বলতা (এ-ক্রুড), মানসিক বা দৈহিক কোন রকম পরিশ্রম থেকে দারুণ অবসন্নতা, একটু হাঁটলেই শুয়ে পড়তে চায়-সূর্যের প্রখর রোদ লেগে বহুদিন আগের কুফলে ঐ অবসন্নতা, দুর্বলতা দেখা দিলে উপযোগী। বহুদিন আগের রোগের প্রখর তাপ লেগে অসুখ যা কিনা গরমকালে ফিরে আসে— মাথাযন্ত্রণায় ভোগে এ লক্ষণে উপযোগী । শুকনো দেহ, ফ্যাকাসে মুখ, চোখের চারপাশে নীল কালিমা, চোখের তারা বড়, কালচে প্রস্রাব, রক্তশূন্যতা, জলের মত সাদা চামড়ার রঙ ঐ সাথে ভীষণ দুর্বলতা বোধ—এ সব লক্ষণে উপযোগী। চিন্তা করতে পারে না বা মানসিক পরিশ্রমের, কোন কাজ করতে পারে না। চিন্তা করলে মাথা যন্ত্রণা হয়, মানসিক পরিশ্রমের চেষ্টা করলে বোবার মত হয়ে বুঝতে পারে—এ সব লক্ষণে উপযোগী। অত্যন্ত বিষন্নতা ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আশঙ্কা সবসময়ই দুশ্চিন্তা করতে থাকে। ঝড়বৃষ্টির সময় উদ্বেগ ও অস্থিরতা বাড়ে (ফস), গান বাজনায় ঐ সব বেড়ে যায় (স্যাবাইনা)। মাথাযন্ত্রণা — সামান্য মানসিক পরিশ্রম করলে, সূর্যের তাপে, গ্যাস লাইটের আলোর মত তীব্র আলোতে কাজ করলে (গ্লোন, ল্যাকে), ঋতুস্রাবের আগে ঘাড়ে বা মাথার পেছন দিকে টানভাবের সাথে মাথা যন্ত্রণা হয়, ঐ সময় মাথা যেন বড় হয়ে গেছে বলে মনে হয়, মাথা যেন ফেটে যাবে বলে মনে হয়। ফ্যকাসে মুখ, চোখের চারধারে কালিমা, চোখের পাতা ফোলে, সর্দি, গলায় ও নাকের পেছনদিকে শ্লেষ্ম জমে, অনবরত গলা ঘেঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করতে চায় নাকের পেছন দিক হতে শ্লেষ্ম গলায় নেমে আসে— এসব লক্ষণে উপযোগী । সর্দি – নাকের পেছন দিক হতে গলায় নেমে আসে গলা থেকে খেঁকারি দিয়ে ঘন শ্লেষ্মা ওঠাতে থাকে দিনের বেলায় শ্লেষ্মা বেশী ওঠে না (নাক্স-ভ) নাক হতে ঘন হলদে, সবজে, দুর্গন্ধযুক্ত, আঠালো, শক্ত শ্লেষ্মা ওঠে—প্রায়ই খাওয়া দাওয়ার পরে ওঠা বন্ধ হয়ে যায় । দুধ খেতে চায় না, দুধ খেলে উদরাময় হয় । দেহের ভেতরের যন্ত্রগুলো যেন নীচ দিয়ে বেরিয়ে আসবে এই রকম অনুভূতি হয় (এগারি, লিলি-টি, মিউরেক্স, সিপিয়া), তলপেট যেন ভারী হয়ে গেছে বসলে বাড়ে, চলাফেরায় এই অনুভূতি কমে যায় । যৌন সঙ্গমের পর যোনিপথে শ্লেষ্মাস্রাব হতে থাকে— এর ফলে বন্ধ্যা হয়ে যায়। পায়ের গোড়ালির হাড় সহজেই সরে যায়, চমকে যায় (লিডাম), পায়ে এত দুর্বলতা যে পা অবশ হয়ে আসে, পায়ের পাতা নীচের দিকে ঘুরে যায় (কার্ব-এনি, নেট-মি)—এ সব লক্ষণে উপযোগী। সম্বন্ধ – ইয়েষ্ট জাতীয় উদ্ভেদ দ্বারা ফেনাযুক্ত বমি লক্ষণে নেট সালফের সাথে ও ক্যালকে, সিপিয়ার সাথে তুলনীয়। (ইয়েষ্ট = yeast—এককোষী ছোট উদ্ভেদ যা দিয়ে ময়দা গাঁজিয়ে পাউরুটি তৈরি হয়) নীচ দিয়ে সব কিছু বেরিয়ে আসছে এ লক্ষণে সিপিয়ার পর এ ওষুধ ভাল খাটে। বৃদ্ধি—সঙ্গীতে, রোদের তাপে, গ্রীষ্মকালে অত্যধিক গরমে, মানসিক পরিশ্রমে, ঝড়বৃষ্টির সময় । শক্তি—৩০, ২০০ হতে উচ্চশক্তি, ০/১ হতে ০/৩০ শক্তি । |