লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটাম LYCOPODIUM CLAVATUM [Lyc] - Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

ফোনে অর্ডার দিতে: 01720000039 অর্ডার করার জন্য প্রোডাক্ট কোডটি লিখে কল বা SMS, Whatsapp, IMO করুন. সারা বাংলাদেশ কুরিয়ারে ডেলিভারি । Ginseng Alkushi Ashwagandha জিনসিং আলকুশি, অশ্বগন্ধা শিমুল

SUBTOTAL :
লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটাম LYCOPODIUM CLAVATUM [Lyc]

লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভেটাম LYCOPODIUM CLAVATUM [Lyc]

Short Description:

Product Description

 


বিকালে ৪টা হতে ৮টায়, বিশেষভাবে ৫টায় রোগের বৃদ্ধি।
রোগ ডান দিকে আরম্ভ হয়ে বাম দিকে যায়।
অন্ত্রে অতিরিক্ত বায়ু জমে, টক ঢেঁকুর, পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি।
অত্যন্ত ক্ষুধা কিন্তু অল্প খেলেই পেট পূর্ণ হয়ে যায়, রাতে নিদ্রা ভঙ্গ হলে ক্ষুধা লাগার অনুভূতি।
ধন্যবাদ দিলে কান্না করে, সকালে ঘুম ভাঙ্গলেই শিশুর মেজাজ অত্যন্ত খারাপ।
প্রস্রাবে ইঁটের গুড়ার মত অথবা লাল বালির তলানি পড়ে।
কোষ্ঠবদ্ধতার জন্য মনে হয মলদ্বারে অনেক মল জমে আছে।
গরম খাদ্য ও পানীয়ে উপশম ও ঠান্ডা খাদ্য ও পানীয়ে বৃদ্ধি।

উপযোগিতা — যাদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি অথচ দেহ দুর্বল, দেহের ওপর ভাগ শুকনো অথচ নিচের দিক সামান্য শোথগ্রস্ত (হাত পা নুলো নুলো কিন্তু পেট কোমড় ভারী); যকৃৎ ও ফুসফুসের রোগে ভোগে (ক্যালকে-কা, ফস, সালফ) জীবনের শুরু ও শেষভাগে অর্থাৎ শিশু ও বৃদ্ধদের অসুখে উপযোগী। কঠিন, ক্রমবর্ধমান পুরাতন রোগে উপযোগী ।

ব্যথা – ঘিনঘিনে, চাপমত, টেনে ধরা মত প্রধানতঃ ডানদিকে আক্রমণ হয়। ব্যথা যন্ত্রণার কষ্ট বিকাল ৪টা হতে রাত ৮টার মধ্যে বেড়ে যায়। শরীরের ডানদিক আক্রান্ত হয় বা ব্যথাযন্ত্রণা ডানদিক হতে বাঁ দিকে যায়-গলা, বুক, পেট, যকৃৎ ও ডিম্বাশয় আক্রান্ত হলে ঐ লক্ষণ থাকে, শিশু দুর্বল, দেহ শুকিয়ে যায় । মাথাটি সুন্দরভাবে পুষ্ট অথচ দেহ ছোট ও রুগ্ন ।

শিশু সারাদিন কাঁদে অথচ সারারাত ঘুমায় (জ্যালাপা ও সোরিনামের বিপরীত) ।

ভয়, রাগ, অপমান অথবা পুঞ্জীভূত অসন্তোষ হয়ে বিরক্তি ভাব তা থেকে রোগ হলে (ষ্ট্যাফিস) প্রযোজ্য ।

টাকা পয়সার খুব লিন্স, লোভী, কৃপন প্রকৃতি, অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা ও মনের উদারতা নাই ও মনের দৃঢ়তা নাই, ভীরু প্রকৃতির—এসব লক্ষণে ব্যবহার্য।

খিটখিটে, ঘুম থেকে জেগে উঠলে মেজাজ খিটখিটে ও বিরক্তি মুখ বিকৃতি করে, লাথি মারে, চিৎকার করে-একটুতেই রেগে যায়, বিরোধিতা বা প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না, ঝগড়া বাধায়, রাগে আত্মহারা হয়ে পড়ে এমন লোকেদের অসুখে প্রযোজ্য। সারাদিন কাঁদতে থাকে, কিছুতেই শান্ত হয় না, অত্যন্ত স্নায়বিক, ধন্যবাদ দিলেও কেঁদে ফেলে।

ভয় — লোককে ভয় পায়, নির্জনতাকে ভয় পায়, মেজাজ খিটখিটে ও বিষন্নতায় ভরা একা থাকতে ভয় পায় (বিসমাথ, কেলি-কা, লিলি-টি)।

চামড়া ফ্যাকাসে, নোংরা, অপরিষ্কার, মলিন বর্ণ, চামড়ায় গভীর ভাজ পড়ে বয়স অনুপাতে বয়স্ক দেখায় নাকের পাখনা দুটো হাঁপড়ের মত ওঠাপড়া করতে থাকে (এ-টার্ট)।

সর্দি – শুকনো সর্দি রাতে নাক বন্ধ হয়ে থাকে, মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে বাধ্য হয় (এমন-কা, নাক্স-ভ, স্যাম্বু), নাক ঝাড়তে থাকে, শিশু নাক ডলতে ডলতে ঘুম ভেঙে চমকে জেগে ওঠে, নাকের গোড়ায় ও সম্মুখের সাইনাস (খুপরি) এর সর্দি নাকে চটা ও চটচটে মামড়ি জমে (কেলি-বা, টিউক্রিয়াম) ।

ডিপথেরিয়া লক্ষণ — গলার ভেতর বাদামি লালচে বর্ণ, ঝিল্লী ডানদিকের টনসিলে শুরু হয়ে বাঁদিকে বেড়ে যায়। বাঁ নাকে শুরু হয়ে নিচের দিকে ডান টনসিলে বেড়ে চলে- রোগলক্ষণ ঘুমের পর বেড়ে যায় ও ঠান্ডা জল খেলে বেড়ে যায় (গরম জলপানে বাড়ে = ল্যাকে) । সব কিছুর আস্বাদ টক মনে হয়, টক ঢেকুর ওঠে, বুক জ্বালা করে, গলা বেয়ে জল উঠতে থাকে। টক বমি হয় (শীতভাব ও উত্তাপভাবের মাঝে হয়) ।

রাক্ষুসে ক্ষিধা, যত খায় ততই চাই—না খেতে পেলে মাথা যন্ত্রণা করে ।

হজমের উপসর্গ—অন্ত্রে প্রচণ্ড বায়ু জমে। পেট যেন ভর্তি সর্বদা এমনটা মনে হয়। ক্ষিধা খুবই আছে অথচ দুএক মুঠ খেলেই যেন ভর্তি হয়ে আসে ও পেট ফুলে যায়। পেটে ভুটভাট শব্দ হতে থাকে ও তলপেটে গড়গড় কোঁ কোঁ শব্দ হয় (ওপর পেটে = কার্বভে, সমস্ত পেটে = চায়না) । ঢেকুড় তুললেও পেট খালি মনে হয় না (চায়না)।

কোষ্ঠবদ্ধতা — মেয়েদের প্রথম ঋতুস্রাব শুরুর সময় থেকে, শেষ সন্তান প্রসবের পর থেকে শুরু, নিজের বাড়ী ছেড়ে অন্য কোথাও গেলে, শিশুদের কোষ্ঠবদ্ধতা সাথে নিষ্ফল মলবেগ, রেকটাম সঙ্কুচিত হয়, মলত্যাগের সময় রেকটাম বার হয়ে আসে এই থেকে অর্শরোগ এর সৃষ্টি হয় । শিশু প্রস্রাব করলে কাঁথায় লাল বালুকণার মত তলানি পড়ে (ফস) প্রস্রাবের আগে শিশু কাঁদতে থাকে (বোরাক্স) পিঠে ব্যথা, ঐ ব্যথা প্রস্রাব করলে কমে, কিডনী সংক্রান্ত ব্যথা, ডানদিকে হয় (বাঁদিকে = বার্বেরিস) ।

ধ্বজভঙ্গ হস্তমৈথুন ও অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়সেবা করে যুবকদের, ইন্দ্রিয় ছোট, ঠান্ডা, শিথিল হয়ে পড়ে । বৃদ্ধদের মনে প্রচণ্ড সঙ্গমেচ্ছা কিন্তু লিঙ্গ শক্ত হয় না, সঙ্গম করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়ে। তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়—এসব লক্ষণে ব্যবহার্য ।

যোনিপথ শুষ্ক, সঙ্গমের সময় ও পরে যোনিপথে জ্বালা (লিসিন) যোনিপথে হাওয়া বার হয় (Physometra)। প্রতিবার মলত্যাগের সময় জননেন্দ্রিয় হতে রক্তপাত হয় ।

পেটে ভ্রূণ যেন ডিগবাজি খাচ্ছে বলে মনে হয়। হার্ণিয়া (অন্ত্রবৃদ্ধি) ডানদিকের—এ ওষধে বহু  লোক বিশেষতঃ শিশুদের সারিয়ে তুলেছে ।

নিউমোনিয়া – অবহেলিত বা কুচিকিৎসিত—বিশেষতঃ ডান ফুসফুসের নিচের দিক আক্রান্ত হয় সেরাস ফ্লুইড শোষণ করতে ও শ্লেম্মা তরল করে উঠিয়ে ফেলতে এ ওষুধ সাহায্য করে ।

কাশি যেন ভেতর থেকে উঠছে, ঘংঘং আওয়াজ হয়—বেশী পরিমাণে শ্লেম্মা উঠলেও রোগী আরাম পায় না।

রোগীর এক পা গরম অন্যটি ঠাণ্ডা (চায়না, ডিজি, ইপি) রাতে ক্ষুধার্ত হয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে (সিনা, সোরিনাম) ।

সম্বন্ধ – অনুপূরক = আয়োডিন ।

পেঁয়াজ, রুটি, মদ, তামাক খেয়ে তার কুফলে রোগ হলে (আর্স) ব্যবহার্য । ক্যালকেলিয়া কার্ব, কার্বভে, লাকে, সালফের পর ভাল খাটে। সুস্পষ্ট লক্ষণ না পেলে প্রাচীন পীড়ার রোগীকে লাইকো দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ নয় । এই ক্ষেত্রে অন্য কোন এ্যান্টিসোরিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ ।

লাইকো — দীর্ঘক্রিয় গভীরভাবে ক্রিয়া করে—উপকার দেখা দিলে পুনঃ প্রয়োগ কদাচিৎ প্রয়োজন হয় ।

বৃদ্ধি – প্রায় সব রোগই বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টার মধ্যে বাড়ে। (হেলেবোর) বেলা ৪টা হতে রাত ৭টা পর্যন্ত বৃদ্ধি = কলোসি, ম্যাগ-ফ ।

উপশম — গরম খাদ্য পানীয়ে, মাথায় ঢাকা না দিলে, গায়ের জামা কাপড় ঢিলা করলে ।

শক্তি — ৩০ হতে উচ্চতম শক্তি, ০/১ হতে ০/৩০ শক্তি ।

[Hernia-হার্নিয়া—পেটের মধ্যের অন্ত্র বা অন্ত্রাংশ পেটের যে অংশে থাকার কথা সেই অংশ হতে বিভিন্ন কারণে বার হয়ে পেটের দেওয়াল ফুলে ঠেলে ওঠাকে হার্নিয়া বলে । অনেক প্রকারের থাকলেও ইঙ্গুইন্যাল ও আম্বিলিকাল ধরনের হার্নিয়া বেশী দেখা যায়। (A) ইঙ্গুইন্যাল-কুঁচকী স্থানে হয়। ছেলেদের বেশী হতে দেখা যায় কারণ পরিশ্রমের কাজ বেশী করতে হয়। এতে অন্ত্র ইঙ্গুইনাল স্যাক বা থলি হতে বার হয়ে আসে ঠেললে ভিতরে না গেলে ইরিডিউসিবল হার্নিয়া বলে আবার যদি ইঙ্গুইনাল স্যাক হতে বার হয়ে অন্ডকোষের মধ্যে আটকে থাকে তাকে ষ্ট্রাঙ্গুলেটেড হার্নিয়া বলে। হার্নিয়া হয়ে অন্ত্রনালী সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হলে তাকে ইনকারসেরেটিড হার্নিয়া বলে। (B) আম্বিলিকাল—নাভীস্থান ফুলে ওঠে চাপ দিলে কো কো আওয়াজ হয়ে ভেতরে ঢুকে যায় আবার ছেড়ে দিলে তখনই বেরিয়ে ফুলে ওঠে, ছেলেদের বেশী হয় । (C) ফিমরাল—ঠিক কুঁচকীর নীচে যেখানে ফিমরাল ভেন থাকে সেই পর্যন্ত বের হয়ে ফুলে থাকে (ফিমরাল ভেন উরুতে (Thigh) রক্ত সরবরাহ করে) । এই হার্নিয়া মেয়েদের বেশী হতে দেখা যায়। (D) ভেন্ট্রাল হার্নিয়া তলপেটের ঠিক মাঝামাঝি প্রসবের পর হতে দেখা যায়। (E) ইনসিজনাল(Incisional)—সার্জিক্যাল অপারেশনের পর যা দীর্ঘদিন না শুকিয়ে ঐ স্থানে ক্ষতচিহ্ন জন্মালে (Scar) স্থানটি ফুলে ওঠে। (F) হায়াটাস হার্নিয়া- ডায়াফ্রাম স্থানে সাধারণতঃ পাকস্থলীর কিছু অংশ বুকের দিকে ঠেলে ওঠে একে ডায়াফ্রাথম্যাটিক হার্নিয়াও বলে ।

কারণ — দ্রুত বেশী দূর হাঁটাচলা থেকে, উঁচু পাহাড়ে ওঠা, ঘোড়ায় চড়া, জোরে ফু দিতে হয় এমন জিনিসের ব্যবহার, ভারী দ্রব্য ওঠালে, কোথ দিয়ে দীর্ঘদিন মলত্যাগ করলে, জোরে কাশলে ইত্যাদি কারণে হার্নিয়া হয়।

লক্ষণ—আক্রান্ত স্থান ফুলে ওঠে দাঁড়ালে বেশী দেখা যায় শুলে কমে যায় । বাগী হলে ব্যথা ও ফোলা থাকে, স্থানটি শক্ত হয়ে থাকে হার্নিয়াতে সেসব হয় না। ক্রমশঃ ফুলতে থাকা ও যন্ত্রণা হলে অবিলম্বে হাসপাতালে পাঠানো উচিৎ (স্ট্র্যাংগুলেটেড বা ইনকারসেরেটেড হার্নিয়া) কোন কোন ক্ষেত্রে হার্নিয়া অপারেশন করা উচিত নয়? = (A) দুর্বল ও বৃদ্ধদের যে ক্ষেত্রে সেরে ওঠার পক্ষে টিস্যুগুলো সক্ষম নয় । (B) যে ক্ষেত্রে আগে ২/১ বার অপারেশন হয়েছে সেক্ষেত্রে টিস্যু পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে সক্ষম হয় না ।

(C) যেক্ষেত্রে রোগী অন্য কোন মারাত্মক অসুখে ভুগছে ও অপারেশনে সকল সইতে পারে না, (D) যারা প্রচন্ড মোটা তাদের ক্ষেত্রে ।

ট্রাম্বুলেটেড বা ইনকার সেরেটেড হার্নিয়া বাদে অন্যক্ষেত্রে Nuv-v-3, Opium 30 হতে 1m, Acid-Sulph-6, 30 গা বমি বমি অত্যন্ত বেশী ও অত্যধিক দুর্বলতায় Tabacum, কোষ্ঠবদ্ধতা নাভীর চারধারে ব্যথায় Plumbum, বা দিকের ব্যথা ও কোষ্ঠবদ্ধতায় Nux-v, ডানদিকে ব্যথা, কোষ্ঠবদ্ধতায় cocculus-30, 200 ও Nux এ উপকার না হলে cocculus প্রযোজ্য ।

ডানদিকে হার্ণিয়া পেট ফাপা, হাত পা ঠান্ডা, পেটে গড় গড় শব্দ লক্ষণে Lycopodium ও নাভী টিপলে ভিতরে না গেলে Bell-6 শক্তি উপকারে আসে