ক্ষুধার অনুভূতি যেন মেরুদণ্ড থেকে হয়। |
বাম স্তনের নিচে গজাল বা বল থাকার অনুভূতি। |
হৃৎপিণ্ড যেন একটি সূতার মধ্যে ঝুলে আছে, কেহ যেন হৃৎপিণ্ডে চেপে ধরে আবার ছেড়ে দেয় এমন অনুভূতি, হৃৎপিণ্ডের বেদনার সাথে ডানবাহু অসাড় অনুভূতি। |
বিমর্ষ ও খিটখিটে মেজাজ, সব কাজই তাড়াতাড়ি করতে চায়। |
জননাঙ্গ যেন যোনিপথ দিয়ে নিচের দিকে নামছে এরুপ অনুভূতি। |
পর্যায়ক্রমে হ্রদপিন্ডে ও জরায়ু বা ডিম্বাধারের ব্যথা। দেহের বা দিক প্রধানতঃ আক্রান্ত হয় (ল্যাকে, থুজা) । ডিম্বকোষ বা জরায়ুটিত রোগে রোগীনি নিজের মুক্তি সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েন (লাইকো, সালফার, ভিরেট্রাম)-সান্ত্বনায় ঐ অবস্থা বেড়ে মাথার উপর দিকে কেবল যেন করতে থাকে, যেন পাগল হয়ে যাবে-চিন্তাশক্তি গোলমাল হয়ে যায়। অত্যন্ত মানসিক অবসাদনা কেঁদে থাকতে পারে না, মানসিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল, ভীত, বেশী কান্নাকাটি করতে থাকে—তার সম্বন্ধে কোন কিছু করা হলে সেই সম্বন্ধে সে অত্যন্ত উদাসীন থাকে । নিজের রোগ বিষয়ে উদ্বিগ্ন দেহের কোন যন্ত্র অকেজো হল না তো! এই ভয়ে ভীত হয়। এ লক্ষণ স্ত্রী পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অভিশাপ দিতে থাকে, মারধোর করতে চায়, অশ্লীল কথাবার্তা বলে (এ্যানাকার্ডি, ল্যাক-ক্যা); জরায়ুর উত্তেজনার সাথে পাল্টা পাল্টিভাবে এসব হতে থাকে। কোন কিছুতেই মন নেই তবুও স্থির হয়ে বসতে পারে না—আবার অস্থির তবুও নড়তে বা হাটাচলা করতে চায় না—যৌন ইচ্ছা চেপে রাখতে কিছু না কিছু করে নিজেকে ব্যস্ত রাখে । কিছু করতে চায়, তাড়াহুড়ো করে, যদিও কোনও উচ্চাশা নেই । কোনো উদ্দেশ্য নেই অথচ সবকিছুতেই তাড়াহুড়ো ভাব (আর্জ-না)। ভয় – একা থাকতে ভয়, পাগল হয়ে যেতে পারে এই ভয়, হৃদ রোগের ভয় রোগটি যেন সারবে না এই ভয়, যেন বিপদ আসন্ন বা কোন রোগ হবে এই ভয় । মাথা যন্ত্রণা ও মানসিক উপসর্গ জরায়ুর উত্তেজনা বা জরায়ুচ্যুতির উপর নির্ভর করে । ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা ও হৃৎপিন্ডের উত্তেজনাবশতঃ মাথার যন্ত্রণা ও মানসিক উপসর্গ দেখা দিলে ব্যবহার্য। উচুনীচু জমিতে হাঁটতে পারে না । ব্যথায় যন্ত্রণা ছোট বিন্দুর মত স্থানে ও অবিরত স্থান পরিবর্তন করে (কেলি-বা)। অনবরত প্রস্রাবের বেগ হয়, প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখলে বুকে যেন রক্ত জমে গেছে এই অনুভূতি হয় । তলপেটে ও বস্তিদেশে (Pelvis) যেন ভারী কিছু নেমে আসছে এই অনুভূতি, যেন সমস্ত যন্ত্র বার হয়ে পড়বে (ল্যাক-ক্যা, মিউরেক্স, সিপিয়া) যোনি হাত দিয়ে চেপে রাখলে ঐ অনুভূতি আরও বেড়ে যায়—সাথে বুক ধড়ফড় কর । ঋতুস্রাব – নির্দিষ্ট সময়ের আগে হয়, অল্প হয়, স্রাব কালচে, দুর্গন্ধযুক্ত, চলাফেরার সময় শুধুমাত্র স্রাব হয়। হাঁটা বন্ধ করলেই স্রাবও বন্ধ হয়, (কষ্টি) [শুলে স্রাব হয় = ক্রিয়ো, ম্যাগ-কা] হৃৎপিন্ড যেন সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরেছে এই অনুভূতি (ক্যাক্টাস); মনে হয় দেহের সব রক্ত যেন হৃৎপিন্ডে জমা হয়েছে মনে হয় এখুনি ফেটে যাবে সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না । সারাদেহ লাফাতে থাকে । নাড়ীগুলো যেন ভরাট ও বড় হয়ে গেছে মনে হয় নাড়ী ফেটে রক্ত বার হয়ে পড়বে (ইস্কিউলাস)। বুক ধড়ফড় করে, বুক যেন লাফায়, হৎপিন্ড যেন অচেতন, হৃৎপিন্ডের সামনের অংশে যেন ব্যস্ততা, উদ্বিগ্নতা, রাতে বুকের বাঁদিকে তীব্র যন্ত্রণা হয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে । নাড়ী অনিয়মিত হাত পা ঠান্ডা হাতে পায়ে ঠান্ডা ঘাম—ঐ অবস্থা আহারের পর ও যে কোন দিকে শুলে বেড়ে যায় (বাদিকে— ল্যাকে) । দ্রুত হৃদস্পন্দন — মিনিটে ১৫০ হতে ১৭০ বার, রেক্টামে চাপ মত অনুভূতি থেকে অবিরত মলমূত্র ত্যাগের ইচ্ছা, (সাথে রেক্টাম বার হয়ে আসে) । ডিম্বকোষ, জরায়ু ও বস্তিদেশের টিস্যুগুলোর দুর্বলতা ও ক্রিয়াহীনতায় জরায়ু সামনের দিকে ঘুরে আসে, পেছনে ঘুরে যায় ও পেছন দিকে সরে যায় (হেলোনিয়াস, সিপিয়া) । প্রসবের পর সেরে উঠতে বহু সময় লাগে ঐ সাথে রেকটামের নিষ্ক্রিয়তা সহ সর্বদা কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে । সম্বন্ধ—এ্যাকটিয়া রেসি, এগারি, ক্যাকটাস, হেলোনিয়াস, মিউরেক্স, নেটু-ফস, প্ল্যাটি না, সিপিয়া, স্পাইজে, টেরাক্সে তুলনীয় ওষুধ । শক্তি—৩০, ২০০ । |