ব্যথা পায়ের পাতা হতে আরম্ভ হয়ে উপরের দিকে উঠে। |
শরীরের স্বাভাবিক উত্তাপের অভাব কিন্তু বাহিরের উত্তাপ সহ্য হয় না, পায়ের তলায় বরফ ঠাণ্ডা দিলে উপশম। |
আক্রান্ত স্থান লাল, ফোলা, শীতল অথচ উত্তাপ সহ্য হয় না। |
আঘাত প্রাপ্ত স্থান অত্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হয়। |
পায়ে অত্যন্ত বেদনা, বেদনার জন্য মাটিতে পা ফেলতে পারে না। |
উজ্জ্বল রক্তস্রাব (জরায়ু বা ফুসফুস হতে)। উপযোগিতা — বাত ও গিটবাত জনিত অসুখে ভুগে, মদ খেয়ে স্বাস্থ্য বিকৃতি হয়েছে এমন লোকেদের পক্ষে উপযোগী। চোখের তারায় অপারেশনের (ছানি কাটা) পর চোখের ভিতর সামনের প্রকোষ্ঠে রক্তস্রাব হয়ে রক্ত জমা হলে উপযোগী। চোখ ও চোখের পাতায় চাপ ও আঘাত লেগে বিশেষতঃ তা হতে রক্ত জমে গেলে বা চোখের পাতা ও চোখের সাদা অংশে কালশিটে পড়লে এ ওষুধ ব্যবহার্য । বাত ও গিটবাত—নিম্নাঙ্গে শুরু হয়ে উপরদিকে ব্যথা উঠতে থাকে (নীচেনামে = ক্যালমিয়া), বিশেষতঃ কলচিকাম অত্যধিক ব্যবহার করে রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে, হাড়ের সন্ধিগুলো বেড়ে যায় ও বাতজ ক্যালকুলাস (গুড়ো গুড়ো পাথরের মত পদার্থ) জন্মে ব্যথা হয়—তরুণ রা পুরাতন এই অবস্থায় ওষুধ প্রযোজ্য । বা কাধ ও ডান নিতম্ব বাতরোগে আক্রান্ত হয় (এগারি, এ-টার্ট, স্ক্রামো) । আক্রান্ত অঙ্গ শুকিয়ে যায় (গ্রাফাই)। ব্যথা যন্ত্রণা — বিঁধে আছে এমন, ছিড়ে ফেলা মত, দপদপ করে—বাতের ব্যথা নড়াচড়ায় বাড়ে, রাতে বাড়ে, বিছানার গরমে বা গায়ে ঢাকা দিলে (মার্ক) বেড়ে যায়। শুধুমাত্র পায়ের পাতা বরফ ঠাণ্ডা জলে রাখলে (সিকেল) উপশম পায়। যাদের দেহ সর্বদা ঠান্ডা, যারা সর্বদা ঠাণ্ডা বা শীত অনুভব করে, জৈব উত্তাপের অভাৱ যাদের (সিপিয়া, সাইলি) তাদের ক্ষেত্রে উপযোগী। আঘাত প্রাপ্ত অঙ্গ স্পর্শে প্রচণ্ড ঠান্ডা মনে হয় । আঘাত প্রাপ্ত স্থান স্পর্শে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূতি হয় অথচ রোগী নিজে ঠান্ডা বুঝতে পারে না । কোন কোন উপসর্গে অঙ্গ প্রত্যঙ্গে উত্তাপ ও জ্বালার জন্য বিছানার গরম অসহ্য মনে হয় । ফীতি–পায়ের পাতা হতে হাঁটু অবধি ফোলে। হাঁটতে গেলে পায়ের গোড়ালীতে অসহ্য ব্যথা মনে হয় যেন পা মুচকে গেছে বা হড়কে গেছে। পায়ের বুড়ো আঙুলের সামনের দিকে ব্যথা, ফুলে যায়। গোড়ালীতে ব্যথা থেলে গেছে—এসব বাতজ লক্ষণে ব্যবহার্য। পায়ের পাতা ও গোড়ালীতে অসহ্য চুলকানি—চুলকালেও বিছানার গরমে ঐ চুলকানি বেড়ে যায় (পালস্, রাস-ট) । সহজেই পায়ের পাতা ও গোড়ালী মচকে যায় (কার্ব-এনি)। ছুঁচালো মুখওয়ালা কোন কিছুতে যথা আল, পেরেক ইত্যাদি বিধে ক্ষত হলে (হাইপেরি), ইঁদুরে কামড়ালে, পোকামাকড় হুল ফোটালে বিশেষত মশা কামড়ালে এ ওষুধ প্রয়োগে সেরে যায়। কপালে ও গালে লাল লাল ব্রণ বা ফোড়া জাতীয় কিছু হলে যেমনটা মদ্যপায়ীদের হয় সেই ক্ষেত্রে ব্যবহার্য। ওতে ছোঁয়া লাগলে যেন হুল ফোটানো যন্ত্রণা হয় । আঘাত লেগে দীর্ঘদিন যাবৎ চামড়াতে স্বাভাবিক রঙ ফিরে না এলে বা কাল ও নীলচে স্থানগুলো ক্রমশঃ সবজে হয়ে গেলে এ ওষুধ ব্যবহার্য । সম্বন্ধ— আঘাতে তুলনীয়—আর্নিকা, ক্রোটন, হেমামে, বেলিস, রুটা । আঘাতের দীর্ঘস্থায়ী কুফলে তুলনীয়—কোনি । শক্তি — ৬, ৩০, ২০০ । |