স্থির হয়ে চুপচাপ থাকতে চায়, শরীর ও মনের জড়তা ও অবসাদ, মাথাঘোরা, তন্দ্রা ও কম্পন। |
কার সাথে কথা বলতে বা কেউ তার কাছে থাকুক তা পছন্দ করে না। |
ভয়, দুখঃ, খারাপ বা উত্তেজনাপুর্ন সংবাদ শুনে ও উত্তেজনার ফলে উদরাময়। |
নড়াচড়া না করলে হ্রদপিন্ডের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে এমন ভয়। |
চোখের উপরের পাতা ভারী অনুভূতি ও চোখ মেলে থাকতে কষ্ট। |
জিহ্বা কাঁপে ও অতি কষ্টে জিহ্বা বের করতে পারে। |
নীচের চোয়াল আপনা আপনি নড়তে থাকে। উপযোগিতা — যারা সহজেই উত্তেজিত হয় (স্নায়বিক), হিষ্টিরিয়াগ্রস্ত হন, সেই সব স্ত্রী, যুবক ও শিশুদের ক্ষেত্রে উপযোগী (ক্রোকাস, ইগ্নে)। দেহের পেশীর পূর্ণ শিথিলতা ও অবসন্নতা-সাথে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সাহায্যকারী স্নায়ুর (Motor Nerve) পক্ষাঘাত। যে সব মহিলা পুরুষ কৃত্রিম মৈথুনে অভ্যস্ত (কেলি-ফস) তাদের স্নায়বিক অসুখে ব্যবহার্য ও যারা সহজেই উত্তেজিত ও খিটখিটে প্রকৃতি তাদের পক্ষে প্রযোজ্য । ভয় পেয়ে তার কুফল, ভয়, উত্তেজনাপূর্ণ সংবাদ ও হঠাৎ কোন কারণে মনের আবেগ উপস্থিত হওয়ার কুফল হতে রোগ হলে (ইগ্নে) এ ওষুধ প্রযোজ্য। (আনন্দদায়ক) কোন সংবাদ হতে উত্তেজনায় অসুখ হলে—কফিয়া) মৃত্যুভয় (আর্স); সাহসের একান্ত অভাব । উদরাময় – কোন অসাধারণ, অনব্যস্ত কাৰ্যে অংশ নিতে হবে এই পূর্ব অনুভূতি হতে; গির্জা (ধর্মস্থানে) সিনেমা থিয়েটার যাওয়ার আগের মুহূর্তে, আগে হতে নির্দিষ্ট ব্যবস্থানুযায়ী কারো সাথে দেখা করতে যাওয়ার আগে উদরাময় দেখা দেয়। মঞ্চভীতি, লোকজনের সামনে উপস্থিত হতে স্নায়বিক ভীতি (আর্জ-নাই)। সূর্যের তাপে বা গরমের দিনে (গ্রীষ্মে) সমস্ত দেহে অবসন্নতা। জিব হাত পা সারাদেহে দুর্বলতা ও কাঁপতে থাকে। চুপ করে থাকতে চায়, একা থাকতে চায়, কথা বলতে বা কেউ কাছে থাকুক চায় না, এমনকি যদি কাছে চুপ করেও থাকে তবুও পছন্দ করে না (ইগ্নে)। মাথাঘোরা — মাথাঘোরা ভাব মাথার পেছনদিক হতে এগোতে থাকে (সাইলি)। সাথে একটি বস্তুকে দুটি করে দেখা, ক্ষীণ দৃষ্টি, দৃষ্টি লোপ হয় ও নড়াচড়া করতে গেলে মাতালের মত টলতে থাকে। শিশুর বিছানা হতে পড়ে যাওয়ার ভয়-খাট আকড়ে ধরে যাত্রীকে ভয়ে জড়িয়ে ধরে.(বোরাক্স, স্যানিকি)। মাথা যন্ত্রণা শুরুর আগে চোখে অন্ধকার দেখে (কেলি-বাই) প্রচুর প্রস্রাব হলে মাথা যন্ত্রণা কমে যায়। পেশী ক্রিয়াগত সামঞ্জস্যের অভাব, সঠিকভাবে পেশী সঞ্চালন হয় না ইচ্ছামত পেশী চালনা করতে পারে না। মাথা যন্ত্রণা – ঘাড়ের হাড়ে (Cervical spine) শুরু হয়ে মাথার উপরে বাড়তে থাকে, কপাল ও চোখের মনিতে ফেটে যাওয়ার মত ব্যথা (ঐরূপ মাথাযন্ত্রণা একইভাবে শুরু হয় কিন্তু মাথার একদিক আক্রমণ করে সাইলি)। মানসিক পরিশ্রমে, ধূমপানে, সূর্যের তাপে, মাথা নিচু করে শুয়ে থাকলে মাথাযন্ত্রণা বেড়ে যায়। চোখের উপর দিয়ে মাথার চারদিকে যেন ফিতা দিয়ে বাধা আছে এরকম অনুভূতি (এসি-কার্ব, সালফ); মাথার উপরে চামড়ায় ছোয়া লাগলে ঘা হওয়ার মত ব্যথা থাকে। মনে ভয়- যদি নড়াচড়া না করতে থাকে তবে হয়ত হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে। (নড়াচড়া করলে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে এই ভীতি ডিজিটা)। বার্দ্ধক্যে নাড়ী ধীরগতি হয়ে যায়। চোখের পাতায় ভারবোধ—চোখ খুলে রাখতে পারে না (কষ্টি, গ্রাফাই, সিপিয়া)। জ্বর — শীত অবস্থায় পিপাসা থাকে না। শিরদাড়াতে শীত অনুভূত হয়, স্যাক্রাম হতে মাথার পেছনদিক (Occiput) অবধি ঢেউয়ের মত পিঠের উপর দিয়ে ওঠানামা করতে থাকে। সম্বন্ধ – টাইফয়েড হতে পারে এই আশঙ্কায় ব্যাপটিসিয়ার সাথে, কুইনাইন প্রয়োগে কম্পহীন সবিরাম জ্বরে ইপি-র সাথে তুলনীয় । বৃদ্ধি – ভেজা হাওয়ায়, ঝড়বৃষ্টির আগে, মানসিক আবেগ বা উত্তেজনায়, দুঃসংবাদ শুনে, ধূমপান করলে, নিজের রোগ সম্বন্ধে চিন্তাভাবনায়, নিজের ক্ষতি অন্যের মুখে শুনলে বেড়ে যায় । শক্তি – ১x, ৩x, ৬, ৩০, ২০০ । |