কঠিন জিনিস গিলতে কষ্ট বা অপারগ। |
শরীরের নানা স্থান এমন কি প্রত্যেক লোমকুপ হতে রক্তস্রাবের প্রবনতা, যে রক্তস্রাব হয় তা জমাট বাধে না। |
মূত্রে রক্ত মিশ্রিত থাকার কারনে দেখতে ধোয়ার মত, মূত্রের পরিমান অতি কম। |
চোখ হলদে বর্ন, সমস্ত শরীর হলদে দেখায়। |
জিহ্বা ফোলা ও তাতে প্রদাহ। |
সামান্য শ্রমেই ক্লান্তি অনুভূত হয়। যারা গ্ল্যান্ডের অসুখে ভোগে (Strumous = Serofulous), দুর্বল, সহজেই রক্তপাত হয়, স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে, ঘা সহজেই পেকে ওঠে, মাদকদ্রব্য সেবন জনিত রোগে ভোগে, কার্বাঙ্কল বা রক্ত ফোড়া হওয়ার প্রবণতায় ভোগে তাদের পক্ষে উপযোগী (এনথ্রাসিনাম) । শারিরীক দুর্বলতায় বহুদিন যাবৎ ভুগে টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়ায় ভুগে রক্ত দূষিত হওয়ার কারণে। বহুদিন যাবৎ মদ খাওয়ার অভ্যাসজনিত, জীবনীশক্তি নিঃশেষিত প্রকৃত শেষ অবস্থা-এরূপ অবস্থায় উপযোগী। সন্ন্যাস রোগ- মাদকাসক্ত, রক্তস্রাব প্রবণ ও ভগ্ন স্বাস্থ্য তাদের মৃগী রোগীর মত হাত পা খিঁচতে থাকে। রক্তস্রাব প্রবণ, চোখ, কান, নাক ও দেহের প্রতিটি দ্বার হতে রক্ত বার হতে থাকে, ঘামের সাথে রক্ত বের হতে থাকে। চোখের সাদা অংশ হলদে- চোখের তারার স্বচ্ছ অংশের প্রদাহ হলে এ ওষুধ প্রয়োগে দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার করে। সাংঘাতিক জন্ডিস- লিভার সংক্রান্ত (Hepatic) না হয়ে বরং রক্ত সংক্রান্ত (Hemolytic) জন্ডিস রোগে ব্যবহার্য। Purpura Haemorrhagica (রক্তে Platelel কমে যায়, রক্ত জমে যায় তাড়াতাড়ি কিন্তু রক্ত বহুক্ষণ ধরে বের হতে থাকে) রোগ— এতে হঠাৎ দেহের সব দ্বার দিয়ে, চামড়ায়, নখে বা দাঁতের মাড়ী হতে রক্ত বার হয় এ লক্ষণে উপযোগী। জিব অত্যন্ত লাল; মসৃণ, চকচকে (পাইরো), জিব খুব ফুলে যায় । সাংঘাতিক ডিপথেরিয়া বা স্কারলেট জ্বরে গলা বা টনসিল ফোলে। গ্যাংগ্রিন হয়— তাতে ব্যথা, ঐ ব্যথা ঢেকুরে বাড়ে, বমি বা ডায়েরিয়া হলে বেড়ে যায়। জীবনী শক্তি অবসন্ন, নাড়ী কখনও পাওয়া যায় কখনও যায় না, রক্ত বিষাক্ততা (পাইরো) । বমি— পিত্তবমি সাথে উদ্বেগ ও নাড়ী দুর্বল, প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের পর বমি, ডান পাশে বা চিৎ হয়ে শুলে সাথে সাথে কালচে, সবজে রঙের বমি হয়, কাল বা কফিগুড়ার মত বমি। Yellow fever (জন্ডিস, কাল বমি ও প্রস্রাব বন্ধ এই তিনটি লক্ষণ থাকে, ‘B’ Arborivirus-এর সংক্রমণে—মশাবাহিত হয়ে এই জ্বর বিশেষতঃ গরম দেশে দেখা যায়) এই জ্বরে কাল বমি হলে প্রযোজ্য। ডায়রিয়া- মল কাল, পাতলা, কফিগুড়ার মত রঙ, ভীষণ দুর্গন্ধ, খাদ্য বা পানীয়ে বিষাক্ত কিছু থাকার জন্য, অসংযত জীবন যাপন করে (পাইরো) yellow ever, কলেরা, টাইফয়েড বা টাইফাস জ্বরে ডায়ারিয়া বা উদরাময় হলে উপযোগী। রক্তদূষিত রোগ ও সহজেই পুঁজ জন্মায় এমন রোগে অন্ত্র হতে রক্তস্রাব হলে ব্যবহার্য-রক্ত কাল, তরল, জমাট বাধে না। শব কাটাছেঁড়াজনিত ক্ষত, পোকামাকড়ের কামড়, টিকা দেওয়ার কুফলে প্রযোজ্য। দুর্বল স্ত্রীলোকদের রজোস্রাবের পরিবর্তে অন্য পথে রক্তস্রাব (ডিজিটা, ফস্)। রজোনিবৃত্তিকালে মুখে, চোখে আগুনের হলকা, ঘামে সারাদেহ ভিজে যায়। পাকস্থলীতে খালি খালিবোধ ও অবসন্নতা, বহুদিন যাবৎ রক্তস্রাব-রক্ত কাল, দুর্গন্ধ সেই সাথে রক্তশূন্যতা। জরায়ুতে সাংঘাতিক রোগ-তা থেকে অনেক রক্ত বার হতে থাকে রক্ত কাল, তরল, দুর্গন্ধযুক্ত। সম্বন্ধ-তুলনীয়- ইল্যাপ্স, ল্যাকে, ন্যাজা, পাইরো। চামড়া ঠান্ডা ও আঠালো ঘাম-ল্যাকে, চামড়া ঠান্ডা ও শুকনোভাব—ক্রোটেলাস। ডান ফুসফুস আক্রান্ত মুখ হতে কাল রক্ত-ইল্যাপ্স। শক্তি – ৬, ৩০, ২০০। [Gangrene=গ্যাংগ্রীন—আক্রান্ত টিস্যুতে পচন বা মৃত্যু, সাধারণত ঐ টিস্যুতে অল্প বা একদম রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কোন যন্ত্র বা টিস্যুতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোন প্রদাহযুক্ত অসুখ, আঘাত বা আর্টারীর দেওয়াল মোটা হয়ে ঐরূপ হয়। ফোড়া, ঠান্ডা লেগে, পিষে যাওয়া মত আঘাত বা ডায়াবেটিস মেলিটাস ও Raynaud’s Disease-এর উপসর্গরূপে গ্যাংগ্রীন হতে পারে। বড় আর্টারিতে রক্ত চাপ বেধে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে সংযুক্ত অঙ্গে গ্যাংগ্রীন হতে পারে। নরম টিস্যুতে পচন ধরলে তাকে Slough বলে ও শক্ত টিস্যু যেমন হাড় এ পচন ধরলে তাকে Sequestrum বলে। গ্যাংগ্রীন অনেক প্রকার যথা- (A) G. Angioneurotic—আর্টারি বা ভেন-এ রক্তের চাপ বেধে। (B) G. Diabetic-Blood-vessesl রোগাক্রান্ত হয়ে। (C) G. Dry—আর্টারিতে রক্ত চলাচল কমে গিয়ে হয়। ভেন-এ অবস্ট্রাকসন হয় না। (D) G. Embolic এমবলাস বা পিন্ড-গ্যাসীয় বা শক্ত বা ব্যাকটেরিয়া একত্রিত হয়ে রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে হয়। (E) G. Gas-Clostridium Perfringens ব্যাসিলি দ্বারা গ্যাস তৈরী হয়ে। (F) G. Humid-রস ঝরতে থাকে। (G) G. Idiopathic-অজ্ঞাত কারণে। (H) G. Inflammatory-তরুণ সংক্রমণ বা প্রদাহ হয়ে। (I) G. Symmetric—একই অঙ্গের দুদিকে সমানভাবে হয় । Raynaud’s Disease ও Buerger’s Disease-এ দেখা যায়। (U) G: Traumaticখুব জোর আঘাত লেগে আক্রান্ত অঙ্গে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। |