বাতের ব্যথা, এক গাঁট থেকে অন্য গাঁটে, শরীরের এক স্থান হতে অন্য স্থানে, উপরের দিক হতে নিচের দিকে অথবা নিচের দিক হতে উপরের দিকে চলে বেড়ায়। |
গ্রীষ্মকালে ছিঁড়ে ফেলার মত ও শীতকালে সূচ ফোটানোর মতো ব্যথা। |
সমস্ত শরীরে স্পর্শানুভূতি, বিশেষত আক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শ করলে অথবা নড়লে ব্যথা। |
ঘ্রানশক্তি তীক্ষ্ণ্ন, রান্নার গন্ধ, বিশেষত মাছ ভাঁজার গন্ধ বা খাদ্যদ্রব্যের গন্ধে ভয়ানক বমিভাব। |
মুখের লালা ও প্রস্রাব বেশী হলে পায়খানার পরিমান কম হয়, আবার পায়খানা বেশী হলে লালা ও প্রস্রাবের পরিমান কম হয়। |
হাতের নখের নিচে ঝিনঝিনি অনুভূতি। বাত ও গিটবাতগ্রস্ত রোগী যারা মোটাসোটা বলিষ্ঠ গঠন; বয়স্ক লোকেদের অসুখে উপযোগী। বাহ্যিক কারণ — গোলমাল, আলো, উগ্রগন্ধ, কাহারও ছোয়ায়। অভদ্র আচরণে রোগী রাগে খেপে যায়, সহ্য করতে পারে না (নাক্স-ভ); যন্ত্রণা অসহ্য মনে হয়। শোক পেয়ে বা অন্যের খারাপ ব্যবহারে রোগ (ষ্ট্যাফিস) হয়। যন্ত্রণা — টেনে ধরা মত, ছিড়ে ফেলা মত, চেপে ধরেছে এমন, গরমকালে মৃদু ব্যথা বা ওপর ওপর ব্যথা অনুভব কিন্তু ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঐ ব্যথা হাড় বা গভীর মাংসপেশীতে আক্রমণ করে যন্ত্রণা বাদিক হতে ডানদিকে যায় (ল্যাকে)। সুতীব্র ঘ্রাণশক্তি, রান্না করার মশলার গন্ধে গা বমিবমি করে ও মূর্হিত হয়ে পড়ে বিশেষতঃ যদি মাছ ডিম বা চর্বিযুক্ত মাংস রান্না হতে থাকে (আর্স, সিপিয়া); রাত জাগার কুফল। খাদ্যে বিতৃষ্ণা, খাবার দেখলে বা বিশেষতঃ তার গন্ধে অভক্তি আসে। পেটে অত্যন্ত বায়ু জমে মনে হয় যেন পেট ফেটে যাবে। পাকস্থলী ও পেটে জ্বালা বা বরফের মত ঠান্ডাভাব। শরৎকালে আমাশয়-সাদা ছেড়াছেড়া, চাচানির মত সাদা আম বার হয় (ক্যান্থা, এসিড-কার্ব)। প্রস্রাব – কালচে, অল্প হয় বা বন্ধ হয়ে যায়, ফোঁটা ফোঁটা পড়তে থাকে, সাদা তলানি পড়ে, রক্তাক্ত, বাদামি রঙের, কালকালির মত তাতে চাপবাধা পঁচা রক্ত থাকে, এলবুমিন, সুগার পাওয়া যায় (প্রস্রাব পরীক্ষায়)। আক্রান্ত অঙ্গে ছোয়া লাগান অসহ্য। হাড়ের সন্ধিগুলোতে বাতবেদনা, সন্ধিগুলো ছোঁয়ায় বা পায়ের আঙুলে হোঁচট লাগলে যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠে। সম্বন্ধ — তুলনীয় গিটেবাতে যদি রস জমে ও গ্রীষ্মকালে বাতরোগে ভুগলে ব্রায়েরি সাথে তুলনীয় । এপিস ও আর্সেনিক প্রয়োগে ফল না পেলে এ ওষুধ অনেক সময় শোথ আরোগ্য করে। বৃদ্ধি – মানসিক উত্তেজনা বা অবসাদে, অত্যধিক পড়াশোনায়, রান্নার গন্ধে । সঞ্চালনে বৃদ্ধি যেমন চুপ করে শুয়ে থাকলে বমিভাব কিছুটা কমে কিন্তু নড়াচড়ায় আবার নতুন করে বমি শুরু হয় (ব্রায়ো)। শক্তি – ৬, ৩০, ২০০। |