রাত্রি জেগে কাজ করার ফলে নানাপ্রকার অসুস্থতা। |
ককুলাসের প্রায় সমস্ত রোগে যথেষ্ট অবসাদ ও স্নায়বিক ক্লান্তি দেখা যায়। |
মাথা ও শরীরের অন্যান্য স্থান ফাঁপাউ হালকা অনুভূত হয়, মাঝে মাঝে মাথায় ভারী অনুভূতি। |
গাড়ি বা নৌকায় চড়লে অত্যন্ত বমিভাব, শীত শীত ভাবের সহিত বমি ভাব। |
মেরুদন্ডের দুর্বলতার জন্য কোমর, অঙ্গ প্রতঙ্গ ও জিহ্বায় পক্ষাঘাতের মতো অনুভূত হয়। |
পেটে অত্যান্ত বায়ু জমা ও ধারালো কোনযুক্ত পাথরের টুকরা আছে বা একে অন্যের সাথে ঘষাঘষি করছে এরুপ মনে হয়। |
সামান্য মতানৈক্য হলে প্রচন্ড রেগে যায়। |
সময় দ্রুত চলে যায় কিন্তু কাজ কর্ম ধিরে ধিরে করে। (গাছের বীজ, যাতে Picrotoxin বিষ থাকে, যা মাছকে খাইয়ে দিলে মাছ ভেসে ওঠে, হাত দিয়েই ধরা যায়) যে সব স্ত্রীলোক ও শিশুদের চুল ও চোখ কটা, যেসব স্ত্রীলোক ঋতুকালে ও গর্ভাবস্থায় খুব কষ্ট পায়, অবিবাহিতা ও বন্ধ্যা স্ত্রীলোক, তাদের পক্ষে উপযোগী। যারা সব সময় বই পড়তে ভালবাসে, উত্তেজনা প্রবণ; কল্পনা বিলাসী মেয়েরা যাদের অনিয়মিত ঋতুসাব হয়, কু-চরিত্র, হস্ত মৈথুনে অভ্যস্ত, অত্যধিক যৌন ক্রিয়ার ফলে দুর্বল ব্যক্তি—তাদের পক্ষে উপযোগী । বমি বা বমিবমিভাব — গাড়ীতে চড়লে, নৌকা বা রেলগাড়ীতে ভ্রমণ করলে (আর্নিকা, নাক্স-ম) বা ভাসমান নৌকার দিকে তাকালে ঐভাব। সমুদ্রে ভ্রমণ করলে ও গাড়ীঘোড়া চড়লে অসুস্থ হয়। মাথাযন্ত্রণা — ঘাড়ে ও মাথার পেছনদিকে—তা মেরুদন্ড অবধি এগিয়ে যায়-মনে হয় দড়ি দিয়ে টাইট করে বেধে রেখেছে সাথে গা বমি বমি ভাব প্রতি ঋতুর সময় এই রকম মাথা যন্ত্রণা হয়—মাথার পেছনে চাপ দিয়ে শুলে বেড়ে যায়। গাড়ীতে, নৌকায় বা রেলগাড়ীতে চড়লে মাথা যন্ত্রণা সমস্ত শরীর দুর্বল করে ফেলে। মাতালদের অস্বাভাবিক রোগ হলে ব্যবহার্য। ক্ষিধে থাকে না সাথে মুখে ধাতব আস্বাদ (মার্ক)। অনুভূতি — সময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায় (সময় ধীরে ধীরে কাটে = আর্জ-না, ক্যানা-ইন্ডি) । সারা দেহ নিস্তেজ, অনেক চেষ্টা করে তবে সোজা হয়ে দাঁড়ায়, জোরে : কথা বললে অত্যন্ত দুর্বলতা বোধ, নিদ্রাহীনতা, মানসিক উত্তেজনা ও রাত। জাগার কুফল, একঘণ্টা কম ঘুমালেও দুর্বলতাবোধ করে, অনিদ্রা, রাগ বা দুঃখ হলে হাত পায়ে খিচুনী হয়। মানসিক উত্তেজনা বা শারীরিক পরিশ্রমে গা হাত পা ব্যথা হয়ে হাত পা কাঁপতে থাকে। মাথাঘোরা – বিছানা হতে উঠে বসলে মাতালের মত টলতে থাকে বা চলন্ত গাড়ীতে (ব্রায়ো) মাথা ঘোরে। প্রতি নড়াচড়ায় যেন পেটে ধারাল পাথর একটা আরেকটায় ঘষা লাগছে ও কেটে যাচ্ছে এই অনুভূতি হয়। মাথায় ও অন্যান্য অঙ্গে শূন্যতাবোধ (ইগ্নে)। প্রতিবার ঋতুকালে রোগিনীএত দুর্বল হয়ে যান যে ক্বচিত দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন কারণ পা দুটি ভীষণ দুর্বল (এলুমি, কার্ব-এনি) প্রতিবার ঋতুস্রাবের পর অর্শরোগ দেখা দেয়। শ্বেতপ্রদর—ঋতুস্রাব না হয়ে বা দুই ঋতুর মধ্যবর্তী সময়ে (আয়োডি, জ্যান্হো)-মাংস ধোয়া জলের মত, রক্তের সিরামের মত, পঁচা, রক্তমেশানো মত হয়, গর্ভকালে শ্বেতপ্রদর হয়। * প্রতিবাদ সহ্য হয় না। একটুতেই অপমান বোধ, তুচ্ছ ব্যাপারে চটে যায়। তাড়াতাড়ি কথা বলে (এনাকা)। জ্বর — যখন মন্দগতি, ঘুসঘুসে জ্বর, একটুতেই রোগী উত্তেজিত হয়, মাথাঘোরা ও একটুতেই রেগে যাওয়া লক্ষণ আসে তখন প্রযোজ্য । সম্বন্ধ — কোরিয়া ও পক্ষাঘাত লক্ষণে ইগ্নে ও নাক্স-ভ-এর সাথে আক্রান্ত অঙ্গে ঘাম হওয়া লক্ষণে এ-টার্ট তুলনীয়। দুর্দম্য কোষ্ঠবদ্ধতা সহ নাভীস্থানের হার্নিয়া (অন্ত্র বৃদ্ধি) হলে নাক্স দিয়ে ব্যর্থ হলে এ ওষুধ সারাতে পারে। বৃদ্ধি – আহারে, পান করলে, ঘুমালে, ধূমপানে, কথা বললে, গাড়ীতে চড়লে, নড়াচড়ায়, জাহাজের দোলায়, গর্ভাবস্থায় উঠে বসলে রোগলক্ষণ বাড়ে। শক্তি – ৬, ৩০, ২০০। |