Chel | ডানদিকের পাখনার (স্কেপুলার) কোণের দিকে ভিতরে সর্বদা বেদনা। |
Chel | নাকের পাখনা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে নড়ে। |
Chel | মন বিমর্ষ, কাঁদতে ইচ্ছা, কিন্তু তার কারণ বুঝতে পারা যায় না, উৎকন্ঠা ভাব, কোন বিপদ হবে সর্বদা এরূপ আশঙ্কা। |
Chel | মাথাঘোরার সহিত জণ্ডিস বা পাকাশয়ের গোলযোগ। |
Chel | জিহ্বার গোঁড়ার দিক হলদে বর্ণের ময়লা। |
Chel | লিভারে আঘাত লাগার মত ব্যথা অনুভূতি। |
Chel | গরম খাদ্য খেলে লিভার, বুক ও পাকস্থলীর লক্ষণগুলির উপশম। |
Chel | ডান পায়ের পাতা বরফের মত ঠান্ডা, বাম পায়ের উত্তাপ স্বাভাবিক। ফর্সা রঙ, সুন্দর দেখতে, রোগা, পাতলা, খিটখিটে যারা যকৃৎ পাকাশয় ও অন্ত্রের বিভিন্ন অসুখে ভোগে (পডো), সব বয়সের মেয়ে পুরুষের, সব রকম ধাতুর লোকদের পক্ষে উপযোগী। কাঁধে ডান স্ক্যাপুলার নীচে ও ভেতরের কোনে সবসময় ব্যথা হয় (কেলি-কা, মার্ক) (বাঁদিকে হলে = চেনোপডিয়াম; স্যাঙ্গুই)। বারে বারে জল হাওয়ার পরিবর্তনে রোগ হলে (মার্ক); খেলে সব উপসর্গ কমে যায়। জিব হলদে পুরু লেপে ঢাকা, জিবের ধারগুলো লাল ও তাতে দাতের ছাপ পড়ে (পড়ো) (থলথলে দাঁতের ছাপযুক্ত জিব = মার্ক)। অত্যন্ত গরম পানীয় খেতে চায়—যদি না পাকস্থলী ফুটন্ত গরম হওয়ায় সহ্য করতে পারে না (আর্স, ক্যাঙ্কেরিলা) নির্দিষ্ট সময় অন্তর চোখের কোটরে স্নায়ুশূল (ডানদিকে) সাথে চোখ দিয়ে অত্যধিক জল পড়ে যেন জল বেগে বার হচ্ছে (রাস)। কোষ্ঠবদ্ধতা – মল শক্ত, ভেড়ার নাদির মত গোল গোল বল-এর মত (ওপি প্লাম্বাম); কোষ্ঠবদ্ধতা ও উদরাময় পর্যায়ক্রমে হয় । উদরাময় — রাতে কাদা কাদামত, হাল্কা ছাই রঙের, উজ্জ্বল হলদে রঙ, বাদামী বা সাদা জলের মত, আঠালো, অসাড়ে মলত্যাগ হয় । মুখ, কপাল, নাক ও গাল সুস্পষ্টভাবে হলদে হয়ে যায় গায়ের চামড়া হলদে শুকনো, ধুসর, কোচকানো, হাতের তালুতেও এই রকম হয়ে থাকে (সিপিয়া)। লিভারের অসুখ, জন্ডিস—ডান কাঁধে ব্যথা। নিউমোনিয়া—ডান ফুসফুসে সাথে লিভারের রোগ (মার্ক)। কাশিতে আক্ষেপ হয়—কাশলে ছোট ছোট শ্লেষ্মার টুকরো ছিটকে বার হয় (ব্যাডি; কেলি-কা)। বেশীর ভাগ ডানদিকেই রোগ হয় যেমন ডান চোখ, ডান ফুসফুস, ডান হাই পোকনড্রিয়াম ও তলপেট, ডান নিতম্ব, ডান পা বরফের মত ঠান্ডা, বাঁদিকে স্বাভাবিক (লাইকো)। লিভারের অসুখের ইতিহাস বা টিউবারকুলার ধাতুর লোকেদের বহুদিনের বাড়তে থাকা ঘা হলে ব্যবহার্য । পিত্ত পাথুরী— যাতে ডান স্ক্যাপুলার নীচে ব্যথা থাকে (পিত্ত পাথুরী থেকে প্রচন্ড ব্যথার আক্রমণে = কার্ডুমেরি)। সম্বন্ধ – লিভারের অসুখে ব্রায়ো দিয়ে কুফল হলে এ ওষুধ প্রযোজ্য । ‘তুলনীয় – একোন, ব্রায়ো, লাইকো, মার্ক, নাক্স-ভ, স্যাঙ্গু, সিপিয়া, সালফার । এরপর আর্স, লাইকো, সালফার ভাল খাটে, প্রায়ই আরোগ্য সম্পূর্ণ করতে একটির প্রয়োজন হয় । শক্তি – ɵ, ১x, ৬, ৩০। জন্ডিস – রোগ নয় কিন্তু অন্য রোগের লক্ষণ, গায়ের চামড়া, চোখের সাদা অংশ, সমস্ত শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী যেমন মুখের হাঁ, নাকের ফুটো ইত্যাদি হলদে রঙ হয় কারণ রক্তে বিলিরুবিন-এর মাত্রা বেড়ে যায় (হাই পারবিলিরুবিনেমিয়া)। পিত্তবহা নালী বন্ধ হয়ে, লোহিত কণিকা বেশী পরিমাণে নষ্ট হয়ে (হোমোলাইসিস) বা লিভার সেল এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে জন্ডিস হতে পারে । ক্লিনিক্যাল লক্ষণ ছাড়াও Ultra Sonography ও Computed Tomography-র সাহায্যে অসুখের কারণ নির্ণয় করা হয়। কমন বাইল ডাক্ট-এ পাথর হয়ে পথ বন্ধ হওয়া বা প্যাংক্রিয়াসের মাথায় ক্যাপার হয়ে কমন বাইল ডাক্ট যেখানে ডুওডেনামের সাথে মিলছে সেই স্থানে আটকে গিয়ে বিলিরুবিন লিভারে না গিয়ে রক্তে মিশে জন্ডিস হতে পারে ।স্বাভাবিক সূর্যের আলোয় জন্ডিসের পরীক্ষা করতে হয় ।পালস্ বীট সাধারণতঃ কমে মিনিটে ৪০ বার হয় (Ref : Syllabus of Diagnosis- W. F. Baker) অসুখ মারাত্মক হলে হলদে রঙের সাথে নীলচে আভা থাকে। জন্ডিস পরীক্ষার সময় গাল স্বাভাবিক রঙের সাথে জন্ডিস এর হলদে ভাব মিশে যেতে পারে কিন্তু চোখের কনজাংটিভায় হলদেভাব জন্ডিস নির্দেশক লক্ষণ। ঘন কমলা রঙ বা বাদামী রঙের প্রস্রাব Obstructive Jaudice-এর নির্দেশক লক্ষণ-N. chamberlein.] |