Caust | জটিল রোগ, শোক বা অন্য কোনরুপ মানসিক আঘাতের ফলে পক্ষাঘাত। |
Caust | বহুকালস্থায়ী শোক ও দুঃখের ফলে মন বিষণ্ণ ক্ষুব্ধ ও নিরাশাপূর্ণ। |
Caust | শরীর ছিরে ফেলার মতো বাতের ব্যথা, উত্তাপে বিশেষত বিছানার উত্তাপে উপশম। |
Caust | বার বার প্রস্রাবের বেগ, হাঁচি, কাশি বা নাক ঝড়লে অসাড়ে প্রস্রাব হয়ে যায়। |
Caust | ডান পাশে কোমরের ভিতরের দিকে সূচ ফোটানোর মত ব্যথা ও লিভারের নিচে, কিন্তু ইলিয়ামের উপরে, হাতের মুঠার ভিতর চেপে ধরার মতো সর্বদা ব্যথা। |
Caust | পোড়ার দাগ আবার পাকে ও উহাতে ব্যথা হয়। |
Caust | বসে পায়খানা করতে কষ্ট হয় কিন্তু দাড়িয়ে করলে সহজেই পায়খানা করা যায়। |
Caust | শরীরের টানটান অনুভূতির সঙ্গে পক্ষাঘাত, বিশেষত প্রসারক পেশীর (Extensor muscle) পক্ষাঘাত। যাদের চুল কালো, বেশী শক্ত অথচ দুর্বল, সোরাদোষযুক্ত গায়ের চামড়া অত্যন্ত হলদে ও ময়লা, যাদের শ্বাস- যন্ত্র ও মূত্রযন্ত্র সংক্রান্ত অসুখ হওয়ার প্রবণতা, তাদের অসুখে উপযোগী । যে শিশুদের চুল ও চোখ কাল, নরম প্রকৃতি ও অনুভূতি প্রবণ, দাঁত ওঠার সময় যাদের মলদ্বার, কুঁচকি প্রভৃতি স্থানের ছাল উঠে যায় (লাইকো) বা ঐ সময় আক্ষেপ বা খিচুনি হয় তাদের ক্ষেত্রে উপযোগী (ষ্ট্যানাম) । মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের স্নায়ুতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগত ক্রিয়ার ব্যাঘাত হয়ে বা ক্ষয়কারী রোগ হয়ে বা মানসিক আঘাতে পক্ষাঘাত হলে ব্যবহার্য । মাথার খুলির চামড়া, গলা, শ্বাসনালী, রেক্টাম, মূত্রযন্ত্র, যোনি, জরায়ু প্রভৃতি স্থান হেজে যায় ও ঘা এর মত ব্যথা হয় (থেৎলে যাওয়ার মত ব্যথা- আর্নিকা, মচকে যাওয়ার মত—রাস-ট) । বিষাদভাব, দুঃখিত, হতাশা, শোক দুঃখ পেয়ে হতাশ সাথে কান্না, “সামান্য কারণেই শিশু কাঁদতে থাকে।” অপরের কষ্টে অত্যন্ত সহানুভূতি দেখায় । অনেকদিন যাবৎ দুঃখ কষ্ট ভোগ করার ফলে অসুস্থতা (এসিড-ফস) পর্যাপ্ত ঘুম না হয়ে, রাত জেগে অসুখ হলে (কক্কুলাস, ইগ্নে), আবেগ, ভয়, আতঙ্ক ও আনন্দ হঠাৎ হলে (কফিয়া, জেলস্); রাগ বা বিরক্ত হয়ে চর্মোদ্ভেদ বসে গিয়ে রোগ হলে প্রযোজ্য। শিশু দেরীতে হাঁটতে শেখে (ক্যাল্ক-ফস)। শিশু দৃঢ়ভাবে হাঁটতে পারে। সহজেই পড়ে যায় । কোষ্ঠবদ্ধতা — বারে বারে নিস্ফল মলবেগ (নাক্স-ভ); দাঁড়ালে ভালভাবে মল ত্যাগ করতে পারে; অর্শ হয়ে মলত্যাগে বাধা, আঠাল, চটচটে চর্বির মত মল, শিশু রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে, এইসব লক্ষণের সাথে কোষ্ঠবদ্ধতা। কাশলে, হাঁচলে, নাক ঝাড়লে এমনি এমনি প্রস্রাব বার হয় (পালস, স্কুইলা, ভিরেট্রাম)। কাশি — সাথে বুকে হাজাভাব ও ক্ষতবোধ, শ্লেষ্মা তুলতে পারে না তা গিলে ফেলতে বাধ্য হয় (আর্ণিকা, কেলি-কা); জলপানে কাশির উপশম; শ্বাস ছাড়ার সময় কাশি (একোন); কাশি সাথে নিতম্বস্থানে ব্যথা, হুপিং কাশি কমে তারপর কাশি রাতে প্রধানতঃ শ্লেষ্মা ওঠে। স্বরভঙ্গ – সাথে হাজাভাব ও গলা বসে যায়—সকালে বাড়ে । (সন্ধ্যায় বাড়ে–কার্ব-ভে, ফস)। রাতে কোন অবস্থাতেই শান্তি পায় না, একটুও চুপ করে থাকতে পারে না (ইউপেটো, রাস-ট)। সর্বদা নড়াচড়া করে যদিও নড়াচড়াতে কোন উপশম হয়, গা ভালভাবে ঢেকেও গরম বোধ হয় না, কিন্তু গরমে কোন উপশম নাই। মৃর্চ্ছাভাব হয়ে দেহের শক্তিলোপ, দুর্বলতা ও কম্পন, ক্ষতচিহ্ন, বিশেষতঃ পোড়া ঘায়ের দাগ আবার পেকে ওঠে, নূতন করে ঘা হয়, পুরান ঘা আবার পেকে ওঠে, রোগী বলে-“পুড়ে যাওয়ার পর থেকে ঐ ঘা ভাল হয়নি।” ঋতুস্রাব – শীঘ্র শীঘ্র, পরিমাণ খুব কম কেবল দিনে স্রাব হয়, শুলে বন্ধ হয়ে যায়। পক্ষাঘাত — এক অঙ্গের, স্বরযন্ত্র, জিব, মুখ, চোখের পাতার, হাত পায়ের, মূত্রথলীর, সাধারণতঃ ডানদিকে হয়, ঠান্ডা হাওয়া বা ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা লেগে, টাইফয়েড ও টাই ফাস জ্বর বা ডিপথেরিয়ার পর পক্ষাঘাত পক্ষাঘাতের লক্ষণ ধীরে ধীরে দেখা দেয় । চোখের উপর পাতা ঝুলে পড়ে-চোখ খুলে রাখতে পারে না (কালো, জেলস, গ্র্যাফাই) [উভয় চোখের পাতা = সিপিয়া]। বাতরোগ – সঙ্কোচক পেশীগুলো কুঁকড়ে থাকে, সন্ধিগুলিতে আড়ষ্টভাব, টানভাব, যেন ছোট হয়ে গেছে (এমন-মি, সাইমেক্স, গুয়াইকাম, নেট-মি)। আঁচিল — বড় এবড়ো, থেবড়ো, বোটার মত ঝুলে থাকে, একটুতেই রক্ত বার হয় রস বার হয়, সারাদেহ ছোট ছোট আঁচিলে ভর্তি, চোখের পাতায়, মুখে, নাকের উপর আঁচিল। রোগ হলে রোগী সাময়িকভাবে উপশম পায় তারপর একই রকম থাকে (সোরিন, সালফ)। সম্বন্ধ – অনুপূরক = কার্ব ভেজ, পেট্রোসেলি । শত্রু সম্বন্ধ — ফস, কখনই ফস-এর আগে বা পরে দেওয়া উচিৎ নয়। এসিড বা কফিয়া কখনই সামঞ্জস্য খায় না । তুলনীয় – শ্লেষ্মা গিলে ফেলে = আর্নিকা চোখের পাতা ঝুলে পড়ে = জেলস্ এ্যাফাই, সিপিয়া । স্বরভঙ্গে = রুমেক্স, কার্ব-ভে যখন বৃদ্ধি লক্ষণ সকালে না হয়ে সন্ধ্যায় বাড়ে। অনেকদিন ধরে স্বরলোপে= সালফ । বৃদ্ধি – পরিষ্কার সুন্দর আবহাওয়ায়, বাইরের খোলা হাওয়া থেকে গরম ঘরে আসলে (ব্রায়ো) ঠান্ডা বাতাস বিশেষতঃ ঝাপটা লেগে, ঠান্ডা লেগে, ভিজলে বা স্নান করার ফলে । উপশম – ভেজা স্যাঁৎসেঁতে জলহাওয়াতে, গরম বাতাসে । শক্তি — ৩০, ২০০ হতে উচ্চশক্তি, ০/১ হতে ০/৩০ শক্তি । |